আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালো আছেন।আজকে আমি আপনাদেরকে জানাব নতুন কিছু স্বাস্হ্যগত শব্দের খুঁটিনাটি।
বিশ্বব্যাপী চলছে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব।ফলে প্রতিটি দেশে চলছে লকডাউন,তারপরেও মানুষের মৃত্যুর মিছিল কমছে না।এই করোনাভাইরাসের বদৌলতে মানুষ নতুন কিছু শব্দও শুনেছে যা-কোয়ারেন্টাইন,লকডাউন,আইসোলেশন।এই সকল শব্দ সম্পর্কে অনেকে জানে আবার অনেকেই জানে না।যারা জানে না তাদের নিয়েই আজকের এই আয়োজন।চলুন দেখে নিই এই শব্দগুলো আসল অর্থ কি-
১।কোয়ারেন্টাইন:কোনো ব্যক্তি যদি ভাইরাস বা জীবাণুর সংস্পর্শে আসলে বা আসার সম্ভাবনা থাকলে তাকে বিশেষ ব্যবস্হায় ১৪ দিন এক জায়গায় আলাদা একা থাকতে হয়।এই ব্যবস্হাকে কোয়ারেন্টাইন বলে।এই সময় ঐ ব্যক্তির জায়গায় অন্য কোন ব্যক্তি সাথে থাকতে বা ঢুকতে পারবেন না,কেননা ঐ বাহিরের ব্যক্তির জায়গায় থাকা ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা থাকে।এই সময় ঐ জায়গায় থাকা ব্যক্তি তার সমস্ত কাজ যেমন- থাকা,খাওয়া,ঘরের কাজ ইত্যাদি একা একাই করে।সাধারণত কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত বা হওয়ার সম্ভাবনায় থাকা ব্যক্তিকে ডাক্তারের পরামর্শে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়।কোয়ারেন্টাইন বিভিন্ন ধরনের হয়-হোম কোয়ারেন্টাইন,স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইন ইত্যাদি।যখন কোন ব্যক্তি ঘরের সকল সদস্য থেকে আলাদা হয়ে নিজে এক রুমে ১৪ দিন আলাদা বন্দি থাকেন তখন তা হোম কোয়ারেন্টাইন।ব্যক্তি কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশফেরত বা ঐ ধরনের কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে তা পূরণ করতে হয়।আর স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা বলতে সকল সামাজিকতা থেকে দূরে থেকে ঘরে বন্দি থাকাকে বুঝায়।এক্ষেত্রে ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম,বরং সচেতনতা থেকে তিনি এটি পালন করেন।কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে আইসোলেশনে নিতে হয়।
২।আইসোলেশন:আইসোলেশন হচ্ছে বিশেষ রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষ ব্যবস্হায় হাসপাতালে আলাদা রুমে চিকিৎসা করাকে বুঝায়।কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাকা হয়।এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত,পা,মুখ,খাবার,মলমূত্র,জিনিসপাতি ইত্যাদি অন্য কারোর সংস্পর্শে আসা যাবে না।ডাক্তার,নার্স পিপিই পরে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা করে।
৩।লকডাউন:লকডাউন অর্থ হচ্ছে তালাবদ্ধ করে দেওয়া।অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি মতে কোনো অঞ্চলের বাসিন্দা ঐ অঞ্চলে ঢুকা বাহির হওয়া নিয়ন্ত্রণ করাকে লকডাউন বুঝায়।বাংলায় এর অর্থ দাড়ায় ‘অবরুদ্ধ’।কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রকোপ কোনো এলাকায় বেড়ে ঐ এলাকাকে লকডাউন করে দেয়া হয়।এর ফলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এলাকার বাসিন্দারা বের হতে পারে না।তখন ঐ এলাকার নিয়ন্ত্রণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে থাকে।
এই ছিল আমার পোস্ট।কারো যদি আমার পোস্ট ভালো লেগে থাকে তাহলে বেশি বেশি শেয়ার করবেন।ধন্যবাদ।