আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই?আশা করি সকলে ভালো আছেন। ভালো আছে বললে ভুল হবে। কারণ অনেকেই আতঙ্কে আছেন।কখন কি থেকে কি হয় এই নিয়ে।ভেবে দেখুনতো মানুষের জীবণটা সত্যিই কল্পনাতুল্য নয়।আজ আপনি যা যা ভেবে দেখেছেন কাল সেটা পূরণ নাও হতে পারে।কিন্তু তাই বলে থেমে থাকলে চলবে না।এগিয়ে চলতে হবে কারণ এগিয়ে চলার নামই জীবন।
বর্তমানে সারা বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের আক্রমণের কারণে সকলে লকডাউনে রয়েছেন।লকডাউনে অনেকে কাজ করলেও অনেকের কাজ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। অনেকে নিজের ক্ষতি পুষিয়ে নেবার চিন্তা করছেনতো অনেকে আবার ভেঙে পরেছেন।এই অবস্থায় আপনার দৈনন্দিন অভ্যাসগুলো পাল্টে যাচ্ছে। তাই আপনি চাইলেও নিত্য নতুন কিছু অভ্যাসে নিজেকে যুক্ত করতে পারেন।
আগের সময় এক রকম ছিল এখন আলাদা। তাই আপনি বিরক্ত হতে পারেন।সেই জন্য প্রয়োজন নতুন কিছু শখ বা অভ্যাসের। যার মাধ্যমে আপনার সময় যেমন কাজে লাগবে। সেই সাথে নতুন কোন কাজ শিখা হবে।আজ আমি আপনাদের এমন কিছু অভ্যাস তৈরির উপর গুরুত্বরোপ করব যার মাধ্যমে আপনি আপনার এই কোয়ারেন্টাইনের সময়টি মজার করে উপভোগ করতে পারেন। নিচে সেই সকল অভ্যাস সম্পর্কে আলোকপাত করা হলোঃ
১.শারীরিক ব্যায়ামের চেষ্টা করুন প্রতিদিনঃ
আমরা অনেকেই করোনার কারণে প্রত্যেকে যে যার বাসায় অবস্থান করছি।এতে অতিরিক্ত খাবার দাবার এর ফলে আমাদের শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে অনেকের।তাই এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আপনি ব্যায়াম করতে পারেন।যেহেতু লকডাউন তাই ঘরের কাজ করতে পারেন।ঘরে বসেই ইউটিউবের বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে ওয়ার্কআউট করতে পারেন। এতে আপনি শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকবেন সেই সাথে মানুসিক ভাবে সুস্থ থাকবেন।
২.প্রতিদিন অন্তত রান্না শিখুনঃ
আমাদের শারীরিক সুস্থতা নির্ভর করে ভালো খাবারের উপর। ভালো খাবার মানে হলো ভিটামিন, প্রোটিন এবং মিনারেল জাতীয় খাবার।তাই আপনি চাইলে নিজেই রান্না শিখতে পারেন। আজ হবে না, কিন্ত কাল হবে।এইভাবে প্রতিদিন চেষ্টা করতে করতে একসময় আপনি ভালো রাধুনি হয়ে উঠবেন।
৩.বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুনঃ
বলা হয়ে থাকে বই মানুষের উত্তম বন্ধু।কারণ তোমার প্রিয়জন তোমাকে ছেড়ে যেতে পারে।কিন্তু বই কখনোই তোমাকে ছেড়ে যাবে না।তাই সবসময় বই পড়ুন।বই পড়লে আপনার জ্ঞান সমৃদ্ধ হবে।সেই সাথে নিত্য নতুন বিষয়ের প্রতি ধারণা জন্মাবে।
৪.ড্রিইং করুনঃ
আপনার যদি থাকে সৃষ্টিশীল মানুসিকতা তাহলে আপনি ড্রইং শিখতে পারেন।আপনি এই নিয়ে ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন।আশা করি আপনার কাজে লাগবে।
৫.ডাইরি লেখার অভ্যেস গড়ে তুলুনঃ
আপনি চাইলে এই কোয়ারেন্টাইনে ডাইরি লিখার অভ্যেস গড়ে তুলতে পারেন।আপনি সারাদিন কি করবেন, কি কি করেছেন তা আপনি আপনার ডাইরিতে লিখে রাখবেন।একসময় এইসবই আপনার স্নৃতি হয়ে থাকবে।
৬.আলসেমি পরিহার করুনঃ
বলা হয়ে থাকে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। তাই আলসেমিতা পরিহার করুন।নিজেকে কোন না কোন কাজে আত্নোনিয়োগ করুন।