ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি নিয়ে কিছু কথা। ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে। আর ক্যালসিয়াম শরীরের কোষ শোষণ করে কাজে লাগাতে দরকার হয় ভিটামিন ডি। এসব আজকাল প্রায় সবাই জানে। হাড় ক্ষয় রোধ করতে হাড় মজবুত করতে ওষুধের দোকান থেকে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর কৌটা কিনে খাওয়া অনেকের এখন নৈমিত্তিক ব্যাপার।কিন্তু আসলে বয়স হলেই কি ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর বরি খাওয়া উচিত????
কর্মরত একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও 600 ইউনিট ভিটামিন ডি হলেই চলে। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের লাগে একটু বেশি। তবে গবেষণায় দেখা গেছে এমনকি উন্নত পশ্চিমাবিশ্বের নারীরা প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় 500 মিলিগ্রাম কম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করে থাকে।
জেনে রাখা ভালো যে, ওষুধ পত্র ছাড়া আমরা কিভাবে এগুলো বেশি করে খেতে পারি???
১.দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে ক্যালসিয়াম আছে। এর এক কাপ ননী বিহীন দুধ বা এক কাপ সোয়া দুধে পাবেন 300 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। এককাপ টকদই থাকে আরও বেশি 400 মিলিগ্রাম এর মত।
২. আধা বাটি রান্না করা সবুজ পাতা ওয়ালা শাক খেলে 100 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খাওয়া হবে।
৩. এক গ্লাস কমলার রসে একশ পঞ্চাশ থেকে দুইশ মিলিগ্রাম।
এছাড়া ক্যালসিয়াম আছে কাঁটাযুক্ত মাছ ব্রকলি ইত্যাদি খাবারে।
তারপরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালসিয়াম বড়ি সেবন করা যাবে বটে। তবে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও আছে। সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হল গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। ক্যালসিয়াম কার্বনেট বরি তাই খাওয়ার পরপর খাওয়া উচিত। বেশ কিছু ওষুধ অন গ্রেট ক্যালসিয়াম শোষণ কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে যেসব ওষুধ এসিডিটি কমাতে ব্যবহৃত হয়। একসঙ্গে 500 মিলিগ্রাম এর বেশি ক্যালসিয়াম ওষুধ সারা দেহে শোষিত হয় না। বেশি মাত্রায় ওষুধ খেলে লাভ হয় না। ক্যালসিয়াম অঙ্গে শোষণ করতে ভিটামিন ডি লাগে। তাই ভিটামিন ডি কম থাকলে এটি সহ খেতে হবে। ডিমের কুসুম এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।
তাই কেউ যদি ক্যালসিয়ামের ওষুধ খায় তাহলে তার জন্য উচিত হবে ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ টা খাওয়া।