খাবার চুরির জন্য মারো খেয়েছেন ক্রিস গেইল

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। আজ আমরা তার পুরাতন ইতিহাস সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করবো। তার পাশাপাশি আমরা তার বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করবো।

তো চলুন শুরু করা যাক:

ক্রিস গেইল তার দর্শকদের মাঝে ক্রিস গেইল নামে পরিচিত হলেও তাঁর মুল নাম ক্রিস্টোফার হেনরি। 1979 সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের সবার কাছে প্রিয় ক্রিস গেইলের পারিবারিক নাম গেইল ফোর্স। তার বাবার নাম ছিল ডুডলি গেল।

ছোটবেলা থেকে দারিদ্রের মধ্যে বড় হচ্ছিল গেইল। বাবার অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। তাই মা আর্থিকভাবে অনেকটাই পরিবারের সাহায্য করতেন। কিন্তু তার পরেও পরিবার চলত না। গেইলদের সেজন্য মাত্র দশম শ্রেণীতে থাকাকালেই গেইলের পড়াশোনা শেষ হয়ে যায়। সেজন্য তাকে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হয়। বোতল কুড়িয়ে তিনি তার জীবিকা নির্বাহ করেছেন। অনেক সময় পেটের দায়ে চুরি করতে হয়েছে তাকে। খাবার চুরি করার সময় তিনি অনেকবার ধরা পড়েছেন। অথচ সেই গেলি এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন।

গেইলদের পরিবার ক্রিকেট সম্পর্কে খুব একটা অবগত ছিলনা। তবে তার দাদা খুব ভালো ক্রিকেট সম্পর্কে অবগত ছিল। মূলত তাদের পরিবারে তার দাদা ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যিনি ক্রিকেট সম্পর্কে অবগত ছিলেন।

সেই থেকে ক্রিস গেইল তার দাদার কাছ গেইল ক্রিকেটার হওয়ার উদ্যোগ শুরু করেন। ক্রিস গেইল ছোটবেলায় যে ক্লাবে অনুশীলন করতেন সেই ক্লাবের নাম ছিল লোকাস ক্লাব। সেই ক্লাবটি ছিল জ্যামাইকায়। মূলত সেই ক্লাবটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলের ক্রিকেটার হওয়ার ভিত গড়ে দিয়েছিল।

এরপর 1998 সালের যুবদলের হয়ে তিনি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। 2001 সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার প্রথম অভিষেক ঘটে। যদিও শুরুর দিকে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার ব্যবহার তেমন ভালো ছিল না। এজন্য তাকে খুব ভুগতে হয়েছে। শুরুর দিক থেকেই তিনি হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান ছিলেন। কিন্তু তবুও দলে খুব একটা জায়গা পেতেন না ক্রিস গেইল। তবে 2003 সালে 175 রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলার মাধ্যমে ক্রিস গেইল পূর্ণরূপে দলে যোগদান করা শুরু করে। তিনি 2003 সালে এক বছরে এক হাজার রান সংগ্রহ করে।

ক্রিস গেইলের অভিষেকের পর থেকে খুবই ধৈর্যের অভাব ছিল। সেজন্য টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা মনে করতেন যে ক্রিস গেইল হয়তোবা টেস্ট দলে তেমন কোনো সফলতা দেখাতে পারবেন না। কিন্তু তাদের ভাবনা উপেক্ষা করে 2005 সালে দলে যোগদান করার পর 300 রানের একটি ইনিংস খেলেন তিনি।

তারপরের কাহিনীটি আর কারোরই না জানা নয়। সর্ব প্রথম বারের মত আইপিএল খেলতে এসে কলকাতা দলের হয়ে খেলেছিলেন তিনি খেলেছিলেন। 2007- 2011 সাল পর্যন্ত তিনি তার দলকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। ওডিআই ক্রিকেটে তিন সর্বপ্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন। 2013 সালে তিনি আইপিএলে 66 বলে 175 রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। বর্তমানে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ 7.7 মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আপনাদের আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য আমন্ত্রণ রইল।

ধন্যবাদ….

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন