গ্রেপ্তার হলেন মানব পাচারকারী

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলেই যে যার অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই  কামনায় করি।
মানব পাচারকারী চক্রের পরিধি বর্তমানে অনেক বেড়ে গেছে। গতকাল মানব পাচারকারী চক্র হিসেবে ধরা পড়েছেন আওয়ামীলীগ এর একসময়ের মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ আরিফুর রহমান ওরফে হিমু। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে নড়াইল ২ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে সেই নির্বাচনের আগে তার এলাকায় তেমন ধরণের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় নি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপস্থিতি  হবার মাত্র এক বছর আগে তার এলাকায় তার সরব উপস্থিতি বাড়ে। তবে তিনি স্থানীয় কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত না হবার সুবাদে এলাকায় কারো সাথে তার তেমন চেনা জানা ছিল না। তবে নির্বাচনের সময় তার এলাকায় নিজের নামের ব্যানার এবং পোস্টের ছাপিয়ে তিনি সকলের নজরে আসেন। তবে তার নির্বাচনী মনোনয়ন প্রত্যাহার করার কারণে নির্বাচনের পর তার আর কোনোধরনের উপস্থিতি এলাকায় চোখে পড়েনি।
তবে গতকাল বিকেলে একজন মানব পাচারকারী হিসেবে জার্বের হাতে ধরা খাবার কথা প্রকাশ হলে তিনি  আবারো সকলের আলোচনায় আসে। জাতীয় নির্বাচনের আগে তার নির্বাচনী এলাকা লোহাগাড়ায় স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সামনে তিনি নিজেকে একজন বড় শিল্পপতি হিসেবে পরিচয় করিয়েছিলেন। কিন্তু একজন মানব পাচারকারী চক্র হিসাবে জার্বের হাতে ধরা পড়ার খবর শুনে অনেকে বিস্নয় প্রকাশ করেন।
এলাকায় তার কোনো ধরণের পরিচিতি না থাকায় তিনি জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পান নি। জার্বের ভাষ্যমতে তবে নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়েও তিনি নিজেকে বিভিন্ন জায়গায় সংসদ দাবি করেন। তার নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিন এর ভাষ্যমতে “তিনি আওয়ামী লীগের কোনো কর্মী নন। তার জন্য দলের নাম যাতে কোনো ধরণের সুনাম ক্ষুন্ন না হয় সেই দিকে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেছেন। নির্বাচনের আগে তিনি টাকা দিয়ে কর্মী কিনে এলাকায় এমন পোস্টের বানিয়েছেন এবং সেই সময় তাকে চেলেঞ্জ করা উচিত ছিল বলেও জানান তিনি। ”

নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায় ঈশানগাতী গ্রামে জন্ম হিমুর। তার পরিবার পরবর্তীতে ঢাকায় চলে যায়। নির্বাচনে আগ মুহূর্তে তিনি এলাকায় বিভিন্ন অর্থ সামাজিক খাতে সাহায্য সহযোগিতা করতে থাকেন। তিনি সুরাইয়া গ্রূপ নাম এক গ্রূপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিজেকে দাবি করতেন। তবে মনোনয়ন না পাবার ফলে তাকে আর এলাকায় ফিরতে দেখা যায় নি।
গতকাল মানব পাচারকারী গ্রূপের সহস্য হিসেবে এবং তার সাথে আরো ২ এর বিরুদ্ধে দুটি পৃথক  মামলা দায়ের করেন কাফরুল থানায়। তিনি করণে সময় ব্রুনাইতে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৬o জনের কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের সংগঠনটি চাকরি দেবার নাম করে মানুষকে লোভ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। জাল পাসপোর্ট বানানোর মতো অভিযোগ রয়েছে তাদের নাম এ। তাদের মূল হোতাকে ধরার জন্য ইতিমধ্যে নানান ধরণের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
(সূত্র:প্রথমআলো )

Related Posts