দুয়ারে দুয়ারিরা এসে হাঁক ছাড়লো। সিপাহীদের তরোয়াল ঝনঝন্ করে উঠল। রাজা রানী মন্ত্রীরা সব জেগে উঠলো। শেখ মহাসর গোল শুরু হয়ে গেল। সবার মুখে একটাই প্রশ্ন। এই ঘুমন্ত রাজপুরীতে কে এসে ওদের ঘুম ভাঙালো। রাজপুত্র আর রাজকন্যা দুজনে অবাক হয়ে দুজনের দিকে তাকিয়ে রইল। কেউ কাউকে চেনে না। রাজা ও রানী আনন্দে আওলাদে রাজকন্যাকে বুকে জড়িয়ে আদর করতে লাগলো। রাজপুত্রের দিকে তাকিয়ে রাজা বললেন, বাবা তুমি কোন দেশের রাজপুত্র আমাদের এই মরণ ঘুম থেকে জাগালে। পোজারা তো রাজপুত্রকে মাথায় করে নাচতে লাগলো। ওরা বলল প্রভু আপনি নিশ্চয়ই কোন দেবতা বা রাজপুত্র না হলে এভাবে আমাদের মুক্তি দিলেন। এক দৈত্য এসে এই জমজমাট সোনার রাজপুরী ঘুমন্ত পুরী বানিয়ে দিয়েছিল। এত বছর ধরে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম আপনি এসে আমাদের জাগালেন। বনের পশুপাখি জাগল গাছে ফুল ফুটল। আপনি আমাদের দেবতা সত্যিই দেবতা। ব্রাজা রাজপুত্রের হাত দুটো ধরে বললেন, বাবা তুমি যে উপকার করেছ তা আমি কি দিয়ে শোধ করবো। তবে তুমি যদি আমারই রাজকন্যা রাজত্ব নাও তাহলে আমি ধন্য হব। এতে তুমি না কোরো না। শুভ দিন দেখে রাজপুত্র ও রাজকন্যার বিয়ে দিন ঠিক হল। চারদিক যেন হইচই পড়ে গেল। ফুলেরা সব হাসতে লাগল। রাজপুত্রকে হিরে- মোহর মুক্তোর পাহাড়ে সাজিয়ে দিলেন রাজা। ধুমধাম করে দুজনের বিয়ে দিল। ওদিকে রাজপুত্রের বাড়িতে শোকের ছায়া অন্ধকার।
আসসালামুয়ালাইকুম। পর্ব ৩ এ পর্যন্তই। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।