পৃথিবীতে জীবন চলার পথ কিন্তু খুব একটা সুন্দর নয়। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে এখানে লিপ্ত আছে শত শত কোটি মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা লড়াই করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে মুখ ফিরিয়ে নেন জীবন থেকে, বেঁচে থাকার আগ্রহ তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
কিছু দূর্ভাগা মানুষ নিয়ে নেয় আত্মহননের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত।নিজেকে সামলাতে না পেরেই এমনটা করে থাকেন তারা। তবে এতদূর যাবার আগে মানুষ ভাবে, যদি তাকে কেউ ভালো পরামর্শ দিতো! চরম দুঃসময়ে কীভাবে নিজেকে সামলাবেন, তার জন্য রইলো কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ
১. নিজেকে সুযোগ দিন। আপনি হয়তো অধৈর্য্য হয়ে পড়েছেন যে আপনার সময় খারাপ যাচ্ছে। কিন্তু জীবনের সবগুলো মুহূর্ত একইরকম হয়না। আজ হয়তো সময় খারাপ যাচ্ছে, কিন্তু কাল হয়তো কোন সুসংবাদ আসতে চলেছে। তার জন্য আপনাকে কালকের দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে হবে। তাই নিজের ওপর আত্মঘাতী না হয়ে বা আত্মঘাতী মূলক চিন্তা না করে সুসময়ের অপেক্ষা করুন।
২.জীবনের পরিধি কখনো ছোট মনে করবেন না । জীবন আসলে অনেক মহান। আপনি যদি জীবনকে শ্রদ্ধা করেন তাহলে জীবন থেকে আপনি অনেক কিছু পাবেন। কারো জন্য জীবন থেমে থাকে না। যদি আপনি ভালোভাবে বাঁচতে চান তাহলে অনেকেই আপনার সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে।
কিন্তু তার বদলে আপনি যদি নিজের ওপর আত্মঘাতী হন তাহলে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। যখন কেউ আত্মহত্যা করে তার জন্য দুদিন মানুষ সমবেদনা প্রকাশ করে, তারপর আবারও সব আগের মতো হয়ে যায়। তাই দুঃসময়ে নিজের শুভাকাঙ্খীদের সাথে দুঃখ ভাগ করে নিন, মন খুলে কথা বলুন।কোন না কোন রাস্তা ঠিকই পেয়ে যাবেন।
৩.সহানুভূতির আশা ত্যাগ করুন: যারা আত্মঘাতী হয় বা নিজের ওপর আঘাত করে তারা এটা এজন্য করে যেন অন্যরা তার জন্য আফসোস করে। আসলে এটা মস্ত বড়ো বোকামী। কারো মন পাওয়ার জন্য যদি নিজেকে আহত করতে হয়,তাহলে এমন সম্পর্ক থেকে ভালো কিছু আশা করতে নেই। সময় থাকতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। জীবন একটাই, এই জীবন নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবেন না। আপনাকে যে চায় না এমন কারো জন্য নিজের ক্ষতি করা মানে জীবনের সবচেয়ে বড় পরাজয়।
৪.হতাশাকে প্রশ্রয় দেবেন না। খারাপ সময় আসতেই পারে, তা বলে হতাশায় ভেঙে গুড়িয়ে যাওয়া কোন কাজের কথা নয়। হতাশাকে দূরে ঠেলে নতুন করে বাঁচতে শিখুন। মনের ভেতর ভেসে বেড়ানো অর্থহীন কথামালাকে গুরুত্ব দিলে জীবনে কখনো কোথাও গিয়ে পৌঁছাতে পারবেন না।
৫.বিশ্বাস রাখুন সৃষ্টিকর্তার ওপর। মনে বিশ্বাস রেখে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করলে কোন না কোন পথ পাবেনই। কথায় বলে, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর ‘। সৃষ্টিকর্তার ওপর অগাধ বিশ্বাস আপনাকে দিতে পারে অনাবিল প্রশান্তি। তাই কোন প্রকার সন্দেহ কে প্রশ্রয় না দিয়ে রোজকার প্রার্থনায় মনোযোগী হোন।দেখবেন আজ না হোক কাল সুফল পাবেনই।