ভালোবাসার ভিন্ন ধর্মী বিশ্লেষণ

” ভালোবাসা এমন একটা কিছু যা আমরা আবিস্কার করিনি। এটি অনুভব করা যায় , ইহা শক্তিশালি। আমরা ভালোবাসাকে পুরোপুরি বুঝেও উঠতে পারিনি, ভালোবাসা বিধাতার সৃষ্টি একটি শক্তি। এটার নিশ্চয়ই কোন মানে আছে। থাকতেই হবে। ভালোবাসাই হচ্ছে একমাত্র শক্তি ,যা স্থান ও কালের সীমারেখাকে অতিক্রম করতে পারে। ”
ভালোবাসা সবার জন্য না,
যাকে বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় তার বোধহয় ভালোবাসার অভাব নেই,
খোঁজ নিলে দেখবেন সেই মানুষটাই সব থেকে বেশী ভালোবাসা হীনতায় ভুগছে,
বাহ্যিক হাসির আড়ালে হৃদয়ের বিশাল শূন্যতা লুকনোর বৃথা চেষ্টা করে যায় প্রতিনিয়ত……
এত মানুষের ভিড়ে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ ই ভালো আছে,আর বাকিরা তো ভালো থাকার অভিনয় করছে মাত্র।
ইগো এর কাছে জিততে যেয়ে ভালবাসার নিকট হেরে যেতে হয়।
এত মানুষের ভিড়ে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ ই ভালো আছে,আর বাকিরা তো ভালো থাকার অভিনয় করছে মাত্র।
ভালো থাকার জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো ভালোবাসা।
কেউ চায় না তার জন্য কেউ মিছে মিছে ভালোবাসার বিশাল একটা পাহাড় গড়ে তুলুক ৷
দিনের শেষে মেয়েটি কোনো রাজকুমারের অপেক্ষায় থাকে না,সে চায়,কেউ একজন এক চিমটি সত্যিকারের ভালোবাসা নিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করুক, তার সকল বাচ্চামি আর পাগলামী বাঁধাহীন ভাবেই মানুক ৷
তেমনি ছেলেটিও চায়,দিনের শেষে কেউ একজন তাকে শাসন করুক,তার সাথে খুব করে ঝগড়া করুক,নিজের মতো করে আগলে রাখুক ৷ভালোবাসা হতে হবে একটি বৈধ সম্পর্কের মাধ্যমে, যেখানে সমাজ কখনো বাধা দেওয়ার সাহস করতে পারবে না,কেউ চোখ রাঙাতে পারবে না।
নির্দিষ্ট একটি বয়সে উপনীত হওয়ার পরে বিপরীত লিঙ্গের কারো প্রতি মোহ তৈরি হতে পারে,মোহের মধ্যে ঢুবে না গিয়ে পারিবারিক ভাবে ব্যাপারটি আলোচনার মাধ্যমে সুন্দর একটি বৈধ সম্পর্কের সৃষ্টি হলেই সমাজ থেকে নোংরা ভালোবাসা বিদায় হতে পারে।
ভালোবাসার মূল মন্ত্র হবে শ্রদ্ধা,বিশ্বাস। বিশ্বাস হচ্ছে অাত্নার খাদ্য, অবিশ্বাসের বীজ যে অাত্নায় বপন হয়নি সেই হবে সফল।প্রত্যক পুরুষের সফলতায় একজন নারী পিছনে থাকে।পিছনে থাকা নারীটার কাছ থাকে প্রাপ্ত আত্নবিশ্বাস ই একজন পুরুষকে ব্যাক্তি ও সামাজিক জীবনে সফল করে তোলে।
যার হৃদয়ে ভালোবাসার নামে নোংরা বীজের অঙ্কুর ফুটেছে সে তার চারদিকে শুধু অবিশ্বাসের ছায়া দেখবে,তাই ভালোবাসার আগে বিপরীত ভালোবাসাটা যাচাই করাটাও বাঞ্ছনীয়।

Related Posts

22 Comments

মন্তব্য করুন