চলুন চলে যাই ১৭৫৭ সালে। জেনে আসি কেন পরাজিত হয়েছিল নবাব সিরাজুদ্দৌলা।কি হয়েছিল প্রতারক দের সাথে।

❤আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহর❤

আশা করি সবাই ভালো আছেন।আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি।আপনাদের সবাই কে স্বাগতম জানাচ্ছি আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষনীয় পোস্টে।সবাই সম্পূর্ণ পোস্ট টা পড়বেন।আশা করি পোস্ট টি সবার ভালো লাগবে।এবং পোস্ট টি পরে উপকৃত হবেন, কিছু জানতে বা শিখতে পারবেন। এখন মূল কথায় আসি।

এক স্বাধীন বাংলা থেকে আরেক স্বাধীন বাংলায় আসতে বহু দুর্যোগের পথ আমরা পাড়ি দিয়েছি। বহু লাঞ্ছনা বহু পিরণের গ্লানি আমরা সহ্য করেছি। দুই বাংলার ভেতরে তাই আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। আজ এই নতুন দ্বীনের প্রান্তরে দাড়িয়ে বিশমিত অতীতের পানে দৃষ্টি ফেরালে বাংলার শেষ সূর্য লিখিত দিনের সীমান্তরেখা আমরা দেখতে পাই নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে।

নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলার শেষ সম্রাট। 1757 সালে ইংরেজরা ক্ষমতা দখল করার আগ পর্যন্ত তিনি বাংলার শাসন করেছিলেন। আজ আমরা বাংলার মানুষ জানি না সেই ইতিহাস জানিনা কিভাবে পতন হয়েছে কি কারনে পতন হয়েছে নবাব সিরাজউদ্দৌলার। তাই আজ আমি চলে যাব সেই যুগে যুগে বাংলার শাসক ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং কীভাবে প্রতারণা করে তাকে যুদ্ধে পরাজিত করা হয়েছে সেই ইতিহাস খুলে বলবো আজ।

নবাব সিরাজউদ্দৌলার আমলে বাংলার শাসনভার ছিল তার হাতে। তাকে সহায়তা করার জন্য ছিল মীরজাফর, রাজবল্লভ, রায়দুর্লভ, উমিচাঁদ এবং মোহনলাল। তখন ইংরেজরা এদেশে ব্যবসা করার নামে মানুষের সাথে ডাকাতি শুরু করে। নবাব সিরাজউদ্দৌলা তা সহ্য করতে না পেরে তাদেরকে এই দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে রোষানলে নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে থাকে ইংরেজরা। সবাই নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে সিরাজউদ্দৌলাকে ত্যাগ করে চলে যায় শওকতজঙ্গের দিকে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইংরেজি যোগ দেয় তাদের দলে। তাদের সবার একই লক্ষ্য যেভাবেই হোক নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে যুদ্ধে পরাজিত করতেই হবে। তারা সবাই গোপনে এসব চিন্তা ভাবনা করতে থাকে। নবাব সিরাজউদ্দৌলা তাদের বলে দেয় তোমরা আমার সঙ্গ ত্যাগ করে ইংরেজদের দলে যেলে যেতে পারো। কিন্তু আমার পাশে থেকে আমার সাথে মিথ্যা আশ্বাস দিও না। তারা সবাই পবিত্র কোরআন ছুয়ে ওয়াদা করে যে তারা নবাব সিরাজউদ্দৌলার হয়েই থাকবে। কিন্তু যখন নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয় মীরজাফর, রাজবল্লভী, রাদূর্লভ, উমিচাঁদ তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। একমাত্র মোহনলাল তাদের বিরুদ্ধে লড়ে যায় এবং সততা টিকিয়ে রাখে। তাদের এই মিলিত চক্রান্তের কারণে নবাব সিরাজউদ্দৌলার যুদ্ধে পরাজিত হয় তার এবং নবাব সিরাজউদ্দৌলা শহীদ হন। সবচেয়ে বড় কথা হলো তারা তো তাদের স্বার্থ হাসিল করতে পারেনি।বরং সবাই কে অস্বাভাবিক ভাবে মরতে হয়েছে ইংরেজদের হাতে।

প্রতারণা কখনো ভালো ফল দেয় না। কিছু মানুষ এর প্রতারণার কারনে ২০০ বছর অর্তাচার সহ্য করতে হয়েছে কোটি মানুষ এর। সবাই সততা নিয়ে বেঁচে থাকার চেস্টা করবেন।

আশা করি পোস্ট টি সবার ভালো লেগেছে। পোস্ট টি তে যদি কোন ভুল থেকে থাকে। অথবা লিখায় কোন ভুল থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।আপনাদের যদি কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয় বা কোন কিছু জানার থাকে কমেন্ট করবেন। অবস্যই আমরা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। ভালো থাকবেন সবাই দোয়া করবেন সবার জন্য। এবং আরো ভালো ও গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের সাথে থাকবেন।কথা হবে পরবর্তী কোন এক পোস্টে।আল্লাহ হাফেজ।

🙋🙋🙋🙋🙋🙋🙋🙋🙋🙋
অথবা ভিজিট করুনঃ-https://www.youtube.com/channel/UC61bnbIVK3TWrGmVGLy4Dpg

Related Posts

28 Comments

মন্তব্য করুন