চাঁদ সম্পর্কে চমকপ্রদ কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য , যা হয়তো আপনার অজানা

চাঁদ হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ এবং সৌর জগতের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম প্রাকৃতিক উপগ্রহ। আজকের এই পোস্টটি  চাঁদ সম্পর্কে আরো কিছু চমকপ্রদ বৈজ্ঞানিক তথ্য নিয়ে সাজানো হয়েছে । তাহলে চলুন জেনে নিই চাঁদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য ।

🌙 চাঁদের ব্যাস: ৩,৪৭৫ কি.মি.

🌙 চাঁদের ভর: ৭.৩৪২×১০^২২ কেজি

🌙 পৃষ্ঠতলের  তাপমাত্রা: -২৩৩ থেকে ১২৩°C
🌙 কক্ষপথ: পৃথিবী
🌙 পৃথিবী হতে চাঁদএর গড় দূরত্ব: ৩,৮১,৫০০  কিমি

🌙 আয়তনে পৃথিবী চাঁদের চেয়ে প্রায় ৫০ গুণ বড়।
পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করতে চাঁদের সময় লাগে ২৭ দিন ৭ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট (প্রায়)।

🌙 চাঁদ কোন বায়ুমণ্ডল নেই। এর মানে হল যে চাঁদ পৃষ্ঠ মহাজাগতিক রে, উল্কা এবং সৌর বাতাস থেকে সুরক্ষিত নয় । এছাড়াও চাঁদে বিশাল তাপমাত্রা বৈচিত্র রয়েছে । বায়ুমণ্ডল না থাকার কারণে চাঁদে কোনো শব্দ শোনা যায় না এবং চাঁদের আকাশ সবসময় কালো দেখায় ।

🌙 পৃথিবীতে জোয়ারের উত্থান ও পতন চাঁদ দ্বারা সৃষ্ট হয়। অর্থাৎ, চাঁদের আকর্ষণের ফলেই পৃথিবীতে সাগর, মহাসাগরে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়। পৃথিবী-চাঁদের যে কক্ষপথ রয়েছে তাতে বিভব শক্তি কমে যায় জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির জন্য যে পরিমাণ শক্তি শোষিত হয় তার কারণে । যার ফলশ্রুতিতে প্রতি বছর আমাদের গ্রহ (পৃথিবী) থেকে চাঁদ প্রায় ৩.৮ সেন্টিমিটার  দূরে চলে যাচ্ছে।

🌙 চাঁদের পৃষ্টে পা রাখা প্রথম মানব হচ্ছেন নিল আর্মস্ট্রং । তিনি ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই অ্যাপোলো-১১ মহাকাশযান নিয়ে চাঁদের বুকে অবতরণ করেন। নিল আর্মস্ট্রং এর সাথে চন্দ্র অভিযানে অংশ নেন মাইকেল কলিন্স এবং এডউইন অলড্রিন । এদের তিনজন-ই মার্কিন নভোচারী । অ্যাপোলো-১১ চন্দ্রপৃষ্ঠে যে স্থানে অবতরণ করেছিল সেই স্থানকে “Sea of Tranquility” বা, শান্ত সমুদ্র বলা হয়।  অ্যাপোলো-১১ হচ্ছে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণকারী প্রথম মানুষবহনকারী মহাকাশযান। যদিও চন্দ্রপৃষ্ঠকে স্পর্শকারী প্রথম মহাশূন্যযানের নাম হচ্ছে “লুনা-২” ।

🌙 চন্দ্রগ্রহণ: চাঁদ পৃথবীকে আবর্তন করার সময় যখন সূর্য এবং চাঁদের মধ্যবর্তী স্থানে পৃথিবী অবস্থান করে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে । এই ঘটনাকেই বলা হয় চন্দ্রগ্রহণ ।

🌙 চাঁদে যেকোনো বস্তুর ওজন পৃথিবীর ওজনের ছয় ভাগের এক ভাগ। পৃথবীতে যদি কোন বস্তুর ওজন ৬০ নিউটন হয় , তবে বস্তুটিকে চাঁদে নিলে এর ওজন হবে ১০ নিউটন। কাজেই পৃথিবী হতে কোন প্রাণীকে চাঁদে প্রেরণ করলে সেটি নিজেকে হালকা অনুভব করবে।

চাঁদ সম্পর্কিত এই তথ্যগুলো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই ভাল থাকুন।
ধন্যবাদ।

Related Posts

4 Comments

মন্তব্য করুন