চীনা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের চাঁদের মাটিতে তুলার গাছ জন্মিয়েছে

চীনা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের চাঁদের মাটিতে তুলার গাছ জন্মিয়েছে 

 

চীনা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের চাঁদের মাটিতে তুলার গাছ জন্মিয়েছে

এই সংবাদ টা আমাকে চমকে দিয়েছে , আসোলে আমি কি বলবো , চিনারা আর কি করবে ।

চীন মানেই বিভিন্ন ধরনের আবিষ্কার ,বিভিন্ন অদ্ভুত জিনিসের উপর গবেষণা ,আর তাদের অদ্ভুত সফলতা ।

মহাকাশ গবেষণা তো অনেক দেশই করে থাকে । তারা মহাকাশের বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করছে আবার সফলতা পাচ্ছে আবার কেউ সফলতা পাচ্ছেন না । এরই ধারাবাহিকতায় এবারের মহাকাশ গবেষণার কাজ করছে চীন । তারা চেষ্টা করেছে চাদের মাটিতে কোনো উদ্ভিদ জন্মানোর , অবশেষে তারা জন্মাতে পেরেছে ।

ব্যাপারটা কে জানার জন্য পুরোটা পড়ুন । চিনারা ল্যান্ডারে বীজ উৎপন্ন করেছে । বীজ ফেটে রাশি রাশি তুলো বেরিয়ে আসলো । কিন্ত এই বীজ উৎপন্ন চাঁদের মাটিতে হয়নি , চাঁদের মাটিতে নিয়ে যাওয়া চিনা ল্যান্ডারে  একটি বিশেষ ধরনের “ক্যাপসুলে” রয়েছে তাতে প্রাণের বিকাশের জন্য ক্যাপসুল  কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা আছে গবেষণাগারে আর তাতে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা, পরিবেশসহ সবকিছুর উপযোগ মাত্রা ছিল ।

চাদের এলাকার পরিবেশ টা কেমন ? জানেন কি?
তো চলুন , জেনে আসি ,

চাদের তাপমাত্রা একেবারে পরমশূন্য ১৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস , এটাতো একেবারে হাড় হাড্ডি জমানো তাপমাত্রা, আবার ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও রয়েছে যা আপনাকে জালিয়ে দিতে সক্ষম তো এরকম পরিবেশে কি আর গাছ জন্মাতে পারে ? কিন্তু  চিনা ল্যান্ডার তার নাম ‘চাঙ্গে-৪’ এখানে একটি পরিবেশ তৈরি করেছেন একটি ট্যাবলেটের মাধ্যমে সেখানে তুলার একটি গাছ জন্মানো হলো , সেই গাছ টি কিছুক্ষণ বেচে ছিল , তারপরে আবার মরেও গিয়েছিল ।
এই গাছ টাকে তো আর চাদের  মাটিতে জন্মানো হয়নি সেইজন্য বিজ্ঞানীরা এখোনো টেনশনে আছেন যে , সত্যি সত্যি কি চাঁদের মাটিতে কোনো ফসল জন্মানো যাবে ? কি রকম চাঁদের পরিবেশ আমরা সবাই তো জানলাম ।

এই গাছটি কিভাবে জন্মা লো আর কিভাবে মারা গেলো সেটার একটা ভিডিও আছে চাইলে  আপনারা দেখতে পারেন । এর ভিডিও টি দেখতে চাইলে এই লিংকে আসেন , আর দেখেন ঃ

https://youtu.be/oGrMudKx838

১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই  চাঁদের মাটিতে সর্বপ্রথম একজন মানবের পদচিহ্ন পড়েছিল, আমরা অনেকেই জানি ” অ্যাপোলো-১১”
নামক বাহনে চড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসী নিল আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, “এটা একটা মানুষের ছোট্ট পদক্ষেপ কিন্তু একটা সভ্যতার জন্যে বড় উল্লম্ফন “। নিল আর্মস্ট্রং এখোন আমাদের মাঝে নেই আমরা  জানি ,তবে তিনি কথাটি সত্য বলেছিলেন । তারপর থেকে অনেকেই চাঁদের মাটিতে পদ চিহ্ন রেখেছে ।
আর চিনা বিজ্ঞানীরা তার চেয়েও আগের পদ চিন্তা করেছে আর চেষ্টা করেছে । হয়তো তারা গবেষণা করে করে একসময় চাঁদের মাটিতে জন্মানোর জন্যে ফসল তৈরী করতে পারবে ।

আমার একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে , যেখানে প্রতিনিয়ত টিপস এন্ড ট্রিকস এবং আর্নিং বিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করে থাকি, আপনি চাইলে আমার চ্যানেল টিকে সাবস্ক্রাইব করে আসতে পারেন । এখানে তার একটা লিংক দিয়ে দিলাম ।
https://youtu.be/8xwbVjOhWyU

আর আমার আর্টিকেল গুলো আপনাদের কেমন লাগে আপনারা চাইলে কমেন্ট করতে পারেন , আমি আমার আর্টিকেল গুলো আরো ভালো করার চেষ্টা করবো।

Related Posts