ছাত্র রাজনীতি কি?
ছাত্র রাজনীতি হচ্ছে ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজনীতি করা। ছাত্রদের যেসব অধিকার আছে,সেগুলো বাস্তবায়ন করা,ছাত্রদের নিরাপত্তা দেওয়া ছাত্র রাজনীতির অন্তর্গত। কিন্তু আজকাল ছাত্র রাজনীতি বলতে নিজের স্বার্থের জন্য ছাত্রদের ব্যবহার করা,ছাত্রদের ভালো মন্দ বিচার না করা, নিজের সার্থের জন্য নিজের বন্ধুকে মারতে বলা ইত্যাদি বুঝায়।
অনেকে বলবে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সফল হয়েছে।আরেহ ভাই আমি সেটা মানছি।তখনকার ছাত্র রাজনীতি আর এখনকার ছাত্র রাজনীতি মিলিয়ে দেখেন,তখনকার দিনে এতো ভাই লীগ এই লীগ সেই লীগ ছিলো নাহ,অন্যায় দেখামাত্র এক সাথে সবাই রাজপথে নেমে আসতো।আর এখন,একপক্ষ রাজপথে আসলে আরেকপক্ষ চায় তাদেরকে সরিয়ে দিতে। যতক্ষন পর্যন্ত না ছাত্ররাজনীতি সাধারণ ছাত্রদের পক্ষে না আসবে ততক্ষন পর্যন্ত ছাত্ররাজনীতির অপব্যবহার চলতেই থাকবে।এক ক্যাম্পাসে ৫ জন ছাত্রনেতা ৫ রকমের মতামত না দিয়ে একজন ছাত্রনেতা একটা সঠিক মতামত দিতে হবে।
যারা ছাত্রনেতা, তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা;
*শুধু মাত্র নিজের পক্ষের ছাত্রদের মতামতের অগ্রাধিকার না দিয়ে,অন্যান্য ছাত্রদের মতামতের ও অগ্রাধিকার দিন।
*সব সময় ছাত্রদের দিয়ে নিজেদের “show off & show down” করা বন্ধ করুন।
*ভালো কাজ করুন দেখবেন সবাই আপনাকে এমনিতেই চিনবে।
*যখন তখন হুট হাট করে ছাত্রদের ডাকবেন নাহ,কারন আগে তাদের পরিবার তারপর আপনি।কিছু করার আগে কমপক্ষে ৪/৫ দিন আগে বলে দিবেন যাতে ঐদিন তার কোনো দরকারি কাজ থাকলে সেটা করেই তারপর যেনো আপনার কাছে আসতে পারে।
*নিজের পিছনে ছাত্রদের ঘুরিয়ে নিজের শক্তি দেখাবেন নাহ।
যারা কর্মী হিসেবে জড়িত তাদের উদ্দেশ্যে;
*নিজের বড় ভাইয়ের কথা মত কাউকে মারতে যাবেন না,একবার ভাবেন আপনি যাকে মারতে যাচ্ছেন সে ও কারো না কারো ভাই।
*নিজের শক্তির জোরে নিজের কাছের কাউকে মারবেন না।
*আজ আপনি যার জন্য এসব করতেছেন,সে বা তিনি একসময় আপনার পাশে নাও থাকতে পারে।
*সব সময় আপনার বন্ধুদের পক্ষে কথা বলুন(বন্ধুটি যে দলের হওক না কেনো)।
*নিজের স্বার্থের জন্য কাউকে ফাসাবেন না।
আজ আপনি অন্যকে মারলে কাল ঠিকই আপনি মার খাবেন।
পরিশেষে বলবো,
উক্ত বিষয় গুলো মেনে চললে দেখবেন ছাত্ররাজনীতির অপব্যবহার বন্ধ হবে এবং ছাত্ররাজনীতি ছাত্রদের পক্ষেই থাকবে।