ছাত্র ও ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

মানুষের দায়িত্ব তিনটি,সৃষ্টিকর্তার প্রতি দায়িত্ব,বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্ব এবং মানবজাতির প্রতি দায়িত্ব। ছাত্ররা হলো দেশ ও জাতির ভবিষ্যত।ছাত্রজীবনে একজন ছাত্রের মূল দায়িত্ব হলো শিক্ষা অর্জন করা এবং নি নিজেকে ভবিষ্যৎ বিশ্বের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যথাযথভাবে গড়ে তোলা। ছাত্রজীবনে একজন ছাত্রের উচিত ছাত্রজীবনে সব ধরনের ভালো গুণ চর্চা করা।এবং নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো ও পালন করা।এই দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলো শুধু শুধু ব্যক্তিগত ভাবে ই সীমাবদ্ধ নয় বরং তাকে তার, সমাজ,দেশ,বিশ্ব এমনকি মানবজাতির প্রতি।এই দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলোর যথাযথ পালন করা একজন ছাত্রের একান্ত দায়িত্ব ও এবং এগুলো যথাযথভাবে পালন করলে সে সফলতা অর্জন করতে পারে।একজন ছাত্রের বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকে।একজন ছাত্রের প্রধান দায়িত্ব হলো জ্ঞান অর্জন করা।আর জ্ঞান অর্জন করার জন্য একজন ছাত্রকে বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে হয়।তাকে শুধুমাত্র পাঠ্যবইয়ে সীমাবদ্ধ থাকলে ই চলবে না তাকে অবসর সময়ে বিভিন্ন ধরনের ম্যাগাজিন, গল্প- কবিতা উপন্যাস পড়তে হয়।এগুলো পড়ার মাধ্যমে সে তার জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে এবং বিশ্ব সম্পর্কে জানার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলে।দ্বিতীয় কাজ যা একজন ছাত্রকে অবশ্যই করতে হয় তা হলো তাকে তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য করনীয় সকল কাজ যথাযথভাবে সম্পাদন করতে হয়।তাকে সব সময় সময়ের৷ যথাযথ ব্যবহার করতে হয়।কখনো কোনো কারণে সময় নষ্ট করার অধিকার তার নেই।তাকে নিয়মিত ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে হয়।প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন সম্পুর্ন করতে হয়,গুরুজনদের সকল আদেশ নিষেধ মেনে চলতে হয়।আবার তাকে অবশ্যই সব সময় তার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হয়।কারণ স্বাস্থ্যই সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে কোনো কাজে ই সফলতা অর্জন সম্ভব নয়।স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য তাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হয়।তাকে অবশ্যই সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলো তে অংশ নিয়ে নিজের মানসিক বিকাশও বৃদ্ধি করতে হয়।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তাকে অবশ্যই সততা, সত্যবাদিতা, বিনম্রতা,ভদ্রতা এবং দানশীলতা অনুশীলন করতে হয় জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে।অল কথায় তাকে নিয়মশৃঙ্খলা মেনে জীবনযাপন করতে হয়।একজন ছাত্রকে এটা কখনো ভুললে চলবে না যে সে একটা পরিবারের অংশ,সে একটা সমাজের অংশ, সে একটা একটা দেশ একটা বিশ্বের অংশ। তাকে অবশ্যই সকলের প্রতি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হয়।একজন ছাত্র তার অবসর সময় গরিব -দুঃখীদের সাহায্য সহযোগীতা করে কাটায়।সে অসহায় নিরক্ষর মানুষদের শিক্ষার জন্য ও সময় দেয় অনেক।সে তাদের পরিবেশ রক্ষা,সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে শিক্ষা দেয়।।একজন আদর্শ ছাত্র বন্যা,ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস সহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাড়ায়।তাদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করে।ছাত্ররা প্রভাবশালীদের থেকে ত্রান সংগ্রহ করে, ফান্ড থেকে তাকা যোগাড় করে অসহায়দের জন্য। অসহায় মানুষদের সেবা করেন,তাদের জন্য খাদ্য,বস্ত্রের ব্যবস্থা করেন, আহত লোকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন,বস্ত্রহীনদের বস্ত্র দান করেন এবং অন্যান্য প্রয়োজনের খেয়াল ও রাখে।বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাসকারী মানুষদের জীবনের মান উন্নত করার মূল দায়িত্ব ছাত্ররাই পালন করে।বাংলাদেশের বেশিরভাগ সাধারণ মানুষেরা এখনো শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। একজন ছাত্রের দায়িত্ব হলো তাদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা।তাদের সাধারণ শিক্ষা প্রদান করা,উন্নত পন্থায় চাষাবাদ ইত্যাদি।বিশেষ করে গ্রামের মানুষেরা শিক্ষার আলো থেকে অনেক দূরে। তারা পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছু জানে না,জানে না কি করে উন্নত পন্থায় চাষাবাদ করতে হয়,তারা কুসংস্কারাচ্ছন্ন জীবনযাপন করে।একজন ছাত্র তাদের শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসে।তাদের শিক্ষার গুরুত্ব বোঝায়।তাদের অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে আসে।
ছাত্ররা হলো সর্বসাধারণের সেবক।তারা সমাজের ধারক এবং বাহক।তারা সমাজের শান্তিরক্ষক তাদের কর্তব্য হলো কোনো রূপ স্বার্থ ছাড়া সমাজের সেবা করে যাওয়া।সমাজের কল্যাণার্থে নিজেদের উৎসর্গ করা।

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন