ছেলেদের সম্পর্কে কিছু বাস্তব কথা

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা করো না আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছে।আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভাল থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি সবসময়।

কবির ভাষায় একটি কথা রয়েছে বিশ্বের যা কিছু সৃষ্টি চির কল্যাণকর তার অর্ধেক করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।নারী পুরুষ মিলে আমাদের সমাজ আমাদের রাষ্ট্র এবং আমাদের বিশ্ব। কোন এককের গুরুত্ব আরেক পক্ষকে হেন করি।কিন্তু ছেলে মেয়ে নিয়েই আমাদের সমাজ। কোন এক জনের গুরুত্ব বেশি আরেকজন ওর গুরুত্ব কম তা মোটেও ঠিক নয়।

ছেলেরা সব সময় স্বাধীন চেতা থাকে।তারা নিজেদের কারো অধীনস্ত রাখতে চায় না।তারা হেসে খেলেই জীবন কাটিয়ে যখন দিতে চায় ঠিক তখনি তাদের উপর চাপিয়ে দেয় বিরাট এক বোঝা।সেই বিরাট বোঝা সামাল দিতে দিতে তারের জীবন পার হয়ে যায়।ছেলেরা হয়ে থাকে বাড়ির রক্ষা কর্তা। তাদের উপর থাকে পড়াশুনা শেষ এ প্রতিষ্ঠিত হবার বিরাট চাপ। সেই সাথে তাদের উপর থাকে পরিবারের দেখা শুনা করা এবং পরিবারের ভরণ পোষণ মেটানোর এক মহা দায়িত্ব।

তারা তাদের আবেগ অনুভুতিগুলো প্রকাশ করতে পারেনা ঠিকভাবে।তাদের
ছোটবেলা থেকেই মনকে শক্ত হওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে।তাদের প্রচন্ড পরিমাণে মানসিক চাপ নিতে হয়।সংসার, চাকরী,পরিবার সবকিছুর চাপ তাদের একসাথে নেওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে।ছেলেরা হয়ে থাকে গাছের ছায়ার মত।সবার খেয়াল রাখতে রাখতে হয়ত তাদের নিজেদের খেয়াল রাখা হয়ে উঠে না।কারণ সবার খেয়াল রাখতে রাখতে তারা তাদের নিজেদের সুঃখ দুঃখ, হাসি-কান্না ভুলে যায়।

দিনশেষ এ তাদেরও খারাপ লাগে। তাদেরও কষ্ট হয়।কিন্তু তারা নিজেদের কষ্ট গুলোকে লুকিয়ে রেখে সবার স্তরে নিজেদের বিলিয়ে দেয়। ছেলেদের মানসিক চাপের পাশাপাশি প্রচন্ড পরিমাণে শারীরিক চাপ নিতে।প্রচন্ড পরিমাণে খাতাখাটনি করতে হয় তাদের।মেয়েরা যদি ঘরের লক্ষী হয়ে থাকে ছেলেরা হয়ে থাকে ঘরের ছায়া।তাই ছেলে কিংবা মেয়ে সংসারে কারো অবদান কোন অংশে কম নয়।

ধন্যবাদ সবাইকে। সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।

মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts