জানলে সত্যি অবাক হবেন, কুকুরের জন্ম হয়েছিলো কোথা থেকে?

সুপ্রিয় পাঠক/পাঠিকাগণ আসসালামুয়ালাইকুম। আশাকরি সবাই ভালো আছেন। মহামারী কোভিড-১৯ এ সকলেই নিজ নিজ অবস্থানে সুস্থ থাকুন, সতর্ক থাকুন। আমি আজ আপনাদের কাছে উপস্থিত হয়েছি একটি রহস্যময় বিষয় নিয়ে। কুকুর সৃষ্টির রহস্য নিয়ে।

মহান রাব্বুল আলামিন তার অশেষ কৃপায় আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীতে তিনি অসংখ্য পশুপাখি, জীবজন্তু, কীটপতঙ্গ সৃষ্টি করেছেন। তার অসংখ্য সৃষ্টির মধ্যে অতি ক্ষুদ্রতম একটি প্রাণী কুকুর। প্রিয় ভিউয়ার্স আজ আপনাদেরকে সেই কুকুর সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে বলছি।

পরম দয়ালু আল্লাহ তায়ালা জ্বিন জাতিকে তার এবাদত করার জন্য সৃষ্টি করলেন। কিন্তু তাদের দ্বারা উহা সুষ্ঠুভাবে  বাস্তবায়িত না হওয়ায় তিনি আরও একটি নতুন জাতি সৃষ্টির মনস্থ করলেন। অতঃপর তিনি হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করলেন। হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করার ফলে ইবলিশ  খুবই ঈর্ষান্বিত  হয়ে পড়ল। কারণ ইবলিশের খুবই অহংকার ছিল। আমরা সকলেই জানি যে, ইবলিশ শয়তান সামান্য জ্বিন থেকে ফেরেশতাদের সর্দার হিসেবে স্থান দখল করে নিয়েছিল। সে তার আনুগত্যের দ্বারা অনেক উঁচু মর্যাদার অধিকারী হয়েছিল। আসমান-জমিন,আরেশে মু’য়াল্লাহর নিকটে সর্বত্রই তাঁর ইবাদতের স্থান ছিল।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে তার কৃত সেজদার সংখ্যা যে কত ছিল তা কারও পক্ষে গণনা করা সম্ভব নয় মোটকথা আসমান যমীন ও আরশে মুয়াল্লার নিকটে এমন কোনো স্থান ছিল না যেখানে ইবলিস অসংখ্য সেজদা করেনি। ইবলিশের এ ধরনের ইবাদত এর ফলেই তাকে প্রথম আসমানে আবেদ, দ্বিতীয় আসমানে জাহেদ, তৃতীয় আসমানে ও চতুর্থ আসমানে ওলী এবং পঞ্চম আসমানে মুত্তাকী কিন্তু ষষ্ঠ ও সপ্তম আসমানে শয়তান এবং লাওহে মাহফুজে ও আরশে মুয়াল্লার চারপাশে ইবলিশ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। ইবলিশ এরূপ বিশেষ মর্যাদা লাভ করার পর সে মনে মনে ভাবতে লাগল,  আসমান-জমিনে, জ্বিন ও ফেরেশতাদের জগতে তার প্রভাব অতুলনীয়। তার মনে অহংকারের সূত্রপাত হতে লাগলো, সে চিন্তা করতে লাগল তার প্রতিপত্তি ও ক্ষমতার সাথে মোকাবেলা করার মতো আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নেই। এর কিছুদিন পরেই আল্লাহ তায়ালা আদম আলাইহিস সালাম এর দেহ তৈরি করে রেখে দিলেন। একদা ফেরেশতাগণ ভ্রমণ করতে করতে সেখানে গিয়ে হযরত আদম আলাইহিস সালামের দেহ দর্শন করে ভীত এবং বিস্মিত হলো। কারণ তারা এর আগে কখনো এরূপ অবয়ব দেখেনি। ফেরেশতাগণ তাদের ওস্তাদ ইবলিসের কাছে গিয়ে এই নতুন বস্তু সম্পর্কে বলল। ফেরেশতাদের কথা শুনে ইবলিশ তাদেরকে নিয়ে আদম আলাইহিস সালামের দেহ দেখতে গেল।

অতঃপর সেখানে গিয়ে ইবলিশ ওই বস্তুটির  ভিতর-বাহির ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করল এবং ফেরেশতাদেরকে বলল, তোমরা এটা দেখে এত ভয় পাচ্ছ আমি তার ভিতর-বাহির দেখে এলাম। এর ভিতরটা একেবারে খালি। যদি আল্লাহ তায়ালা  এই বস্তুটিকে তার এবাদত করার উদ্দেশ্যে বানিয়ে থাকেন,তাহলে তার সে আশা সফল হবে না। কারণ সে নিজে ও তার বংশধরগণ সর্বদা পেটের জ্বালায় অস্থির থাকবে আল্লাহর ইবাদাত করার মত অবসরই মিলবে না। একথা বলে ইবলিশ ঘৃনায় থু থু নিক্ষেপ করল। বর্ণিত হয়েছে যে, ইবলিশের নিক্ষিপ্ত সেই থু থু থেকে দুনিয়ায় ঘৃণিত কুকুর জাতের সৃষ্টি হয়েছে।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন