জীবনের সমস্যাগুলো দূর করার বৈজ্ঞানিক উপায়

 

আপনি কি হতাশ? জীবনে কোনো স্বাদ খুঁজে পাচ্ছেন না? একঘেয়েমি ও নিরাশায় জরাজীর্ণ? তাহলে আপনি একদম ঠিক আর্টিকেলটি বেছে নিয়েছেন।

 

আমি আপনার সকল সমস্যার সম্ভাব্য ও বৈজ্ঞানিক সমাধান দিব।

 

ইন্ট্রোভার্ট এবং অসামাজিক লোকজনের মধ্যে পার্থক্য কী জানেন?

ইন্ট্রোভার্টরা নিজের জগৎ নিয়ে থাকে। নিজের পছন্দের কাজ করে একাকিত্বের সময়ে। তারা মূলত অন্যের সাথে মিশতে পারে না।

 

অন্যদিকে অসামাজিক লোকজন মানুষের সাথে মিশতে আসলে চায় না। এখানে ভাববেন না আবার যে অসামাজিক বলতে আমি সমাজবিরোধীদের বুঝিয়েছি।

 

অসামাজিক তারাই যারা মোবাইল, ইন্টারনেট, কম্পিউটার গেমসে চোখ বুজে থাকে। বাইরের জগতের শুভ্র আভা তাদের চোখে মুখে পৌঁছায় না।

 

এখন আপনিই ঠিক করুন আপনি ইন্ট্রোভার্ট নাকি অসামাজিক।

 

আপনি যদি ইন্ট্রোভার্ট হয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য আমার পরামর্শ হচ্ছে ইচ্ছেমতো কথা বলুন, প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে কথা বলুন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে না পারলে অন্তত উপস্থিত থাকুন।

 

আর যারা অসামাজিক তাদের নিজেদের সামাজিক করার মূলমন্ত্র নিজেদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে। দিনে মোবাইল ফোন ব্যবহারের একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন। আর প্রতিজ্ঞা করুন ঐ সময় ব্যতীত আপনি ফোন ছুঁবেন না।

 

অতিরিক্ত ইন্টারনেটে আসক্তির প্রভাবগুলো উপলব্ধি করুন। আর ভাবুন আপনি অল্প বয়সে চোখ হারাতে চান কি না-

 

আপনি খুবই ভদ্র, লাজুক স্বভাবের, ভালো মনের মানুষ?

এইটা মাথায় গেঁথে নিন পৃথিবীতে এখন ভালো মানুষগুলোর দাম নেই। চালাকরাই পৃথিবীতে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে।

 

কাউকে না করতে পারেন না? চক্ষুলজ্জায়? তাহলে এইটা ভাবুন না করতে না পারার ফলে আপনি ফ্যাসাদে পড়বেন, আপনার বড় ক্ষতি হতে পারে, আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। ব্যাস, আর কিছু লাগবে না। তখন আপনার ব্রেইন ই আপনাকে না করতে সাহায্য করবে।

 

আজকের কাজ আজকেই সেরে ফেলুন। কালকের জন্য ফেলে রাখবেন না। আজকে না করলে আগামীতে তা আপনার জন্য বিরাট বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। তখন কোনটা ছেড়ে কোনটা করবেন – আপনিই বুঝতে পারবেন না।

 

অন্যকে শ্রদ্ধা করুন। বন্ধুমহল কে জমিয়ে তোলার জন্য পরচর্চা করবেন না।

আপনি ভাবছেন, “বাহ! আমার কথাগুলো সবাই কত মনযোগ  দিয়েই না শুনছে!”

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা হয় না। বরঞ্চ আপনি তাদের কাছে আরও নিচের স্তরে নেমে যান।

 

কারো উপরে বেশি নির্ভরশীল হবেন না। নিজের কাজ নিজেই করতে শিখুন। মনে রাখবেন, এই যুগে কেউ কারো ভালো চায় না।

আপনি অন্যের উপর কাজ ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে আছেন? অথচ অন্যদিকে সে আপনার কাজকে কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না। আপনার কাজটি ফেলে রেখে দিয়েছে।

ফলে দিনশেষে দেখা যায় আপনার কাজের কাজ তো কিছু হলোই না বরং সময়গুলো নষ্ট হলো।

 

কাউকে চোখে বুজে বিশ্বাস করবেন না। যাচাই- বাচাই করুন, পরখ করে নিন। মনে রাখুন, আপনার আশেপাশেই ঘুরতে পারে আপনার শত্রু যাদের খালি চোখে চেনা যায় না। তারা ভালো মানুষের মুখোশধারী।

 

আজ এ পর্যন্তই। কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন।

 

Related Posts