জীবনে সফল হওয়ার ৭ টি উপায়

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই ভালো আছেন।  আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি আজকের টপিকটি সম্পূর্ণ চমকে দেওয়ার মতো।  আজকের টপিকটি হলো কিভাবে আমরা জীবনে সফল হবো?  তাহলে চলুন – আমরা সবাই চাই জীবনে সফল হতে।  কিন্তু অনেকে জীবনে চেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রম করে সফল।  আবার অনেকে আছে অলস ভাবে বসে থেকে জীবনে সফল হতে।  কিন্তু প্রশ্ন হলো সাফল্য কী? একটি উদাহরণের মাধ্যমে জানা যাক  সাফল্য কী?

সাফল্য হলো সোনার হরিণ বা রাতের শেষ রেলগাড়িটা। সবাি ছুটছে তার দিকে।  সবার মনে প্রশ্ন, হরিণের দেখ মিলবে কবে বা রেলগাড়িটা কি ধরতে পারবো? কেউ সাফল্যের জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা করে যান,  কেউবা মাঠে নেমেই গোল দেন।  আবার কেউ সাফল্যের জন্য পরিশ্রম না করে একঘেয়ে ঘানি টানেন।  সাফল্য বিষয়টিকে আকাশে ঘুড়ি উড়ানোর সাথে মেলানো যায়।  ঘুড়িকে যত উপরে উড়ানোর চেষ্টা করবেন ততই আপনাকে বাতাসের বিরুদ্ধে সুতায় টান দিতে হবে।  বাতাসের সঙ্গে তাল মেলালেই ভজকট।  মার্কিন লেখক,   বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা জেমস অ্যালটুচ্যার কোরা ডাইজেস্টে তাঁর পোস্টে সফল হওয়ার সাতটি উপায় সম্পর্কে বলেছেন।  তাহলে চলুন তাঁর সাতটি উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।

১/ স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে হবেঃ

শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য দুটোই গুরুত্বপূর্ণ।  স্বাস্থ্যের সঙ্গে কিন্তু আমাদের অভ্যাস  গুলো জড়িত।  খুব সহজে বদঅভ্যাসে জড়িয়ে পড়া যায়।  সুঅভ্যাসের জনয় সময় দিতে হয়৷ সাফল্যের জন্য শরীরের যত্ন নিতে হবে,  নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।  বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয়ে জোর আনতে হবে। সৃজনশীলতার বিকাশে নজর দিতে হবে।

২/ সরলভাবে ভাবুন,  শিখুন

সবকিছুকে সাধারন ভাবে ভাবতে শিখুন।  শিশুরা সবকিছু সরলভাবে ভাবার চেষ্টা করে বলে তারা জীবনের সরলতা খুঁজে পায়৷ তাদের মতো ভাবার চেষ্টা করুন।  তাছাড়া নিয়মিত ধ্যান করর অভ্যাস করলে আপনাট ভাবনা শক্তি ও সৃজনশীল মনপর জোর বাড়বে।

৩/ বেশি করে বই পড়তে হবে

মানুষ হিসেবে আমরা সবাই সবকিছু জানি না।  জানার জন্য বই পড়তে হবে।  ফিকশন,  নন ফিকশন সকল ধরনের বই পড়তে হবে।

৪/ বহুমাত্রিক সাফল্যের জন্য চেষ্টা করুন

মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট তরুনদের এক জায়গায় বিনিয়েগ করতে পরামর্শ দেন না।  তিনি অনেক জায়গায় বিনিয়োগের পরামর্শ দেন।  যেন একটি বিনিয়োগে ব্যর্থ হলে ও অন্য জায়গায় এগোনোর সুযোগ থাকে৷ একটি বিষয়ে সাফল্য এলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য বিষয়ে মনঃসংযোগ করুন।  আমেরিকায় মিলিয়নিয়াররা কমপক্ষে পাঁচটি ভিন্ন রকমের সূত্র থেকে আয় করে৷  আপনি কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷  অথচ উচ্চশিক্ষার সুযোগ থাকলেও পড়ছেন না৷  কিংবা আপনার লেখালেখির শখকে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছেন৷ সফল যাঁদের  আমরা উদাহরণ হিসেবে দেখি তাঁরা কিন্তু কখনোই একটি বিষয়ে আটকে থাকেননি।

৫/ হ্যাঁ – না বলুন ভেবেচিন্তে

সফল ব্যক্তিরা হ্যাঁ না বলেন ভেবেচিন্তে।  বুদ্ধিবৃত্তিক কিংবা সৃজনশীল যেকোনো সুযোগ মিললে হ্যাঁ বলুন৷  আনন্দ কিংবা মনন বিলাশ হতে পারে এমন কাজকে সব সময় হ্যাঁ বলুন।

৬/ সবকিছুই আজকের বিষয়

ভবিষ্যৎ কিংবা অতীত বলে তেমন কিছু নেই, বিষয়টি আপেক্ষিক৷ সাফল্যের জন্য আপনাকে আজ কাজ করতে হবে।  আজ যদি কাজ ভালো করেন তাহলে কিন্তু আপনার জন্য দারুণ একটা ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে৷  আর যদি আজকের দিনটিতে আপনি কোনো কাজই না করেন,  তাহলে কিন্তু আগামী কাল বলবেন আমার অতীতটা তেমন ভালো কাটেনি।  চেষ্টা করএন প্রতিদিন,  প্রতিমুহূর্তে নিজের জন্য কাজ করতে৷  কাজের সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিবার ও নিজের উন্নতির জন্য ঘড়িতে সময় রাখার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে৷  প্রতিদিন ১ শতাংশ হলে ও নিজেকে বদলে ফেলার চেষ্টা করতে পারেন৷

৭/ ভয় বনাম জড়তা

আপনি সবার সামনে কথা বলতে ভয়  পান৷  আবার যা বলতে চান তা ঠিকমতো বলতে পারেন না।  সফল ব্যক্তিরা নিজের ভয়কে জয় করতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।  আপনি যে বিষয়ে ভয় পান সে বিষয়টিকে ভয় হিসেবে মনে করলে তা আপনার জন্য আজীবনই জড়তা হয়ে থাকবে৷  ভয় কাটিয়ে জড়তা এড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন৷

এই সাতটি উপায় আপনি আপনার জীবনে প্রয়োগ দেখবেন একদিন না একদিন আপনি সফল হবেন -ই৷ আমি ও আমার জীবনে এই সাতটি উপায় প্রয়োগ করতেছি।  আমার জীবনে কিছুটা পরিবর্তন চলে এসেছে।  আপনারাও আপনাদের জীবনে প্রয়েগ করতে থাকেন দেখবেন সফল হবেন৷

আজ এই পর্যন্তই।  সামনে আরেকটি ভালো পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হবো ইনশাআল্লাহ।

পরিশেষে একটাই কথা,

ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান।

খোদা হাফেজ