জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না,জীবন তার নিয়মেই চলে।

★আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে, এই পৃথিবীতে সবচেয়ে কষ্টের মুহূর্ত কোনটা?

-আমি নিদ্বিধায় উওর দিব,সন্তানের কাধে বাবা মায়ের লাশ বহন করার চেয়ে কষ্টের আর কিছুই হতে পারে না।সেই ছোটবেলা থেকে যে বাবা মা আমাদের এত কষ্ট করে বড় করেছে,লালন পালন করেছে,আমাদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য কত কিছুই না করেছে।সেই বাবা মা যখন মারা যায়,তখন কষ্টে আমাদের বুকটা ফেটে যায়,দুনিয়ার সব কিছু আধার মনে হয়।তখন কি আমরা বাঁচি না,হাসি না?একটা সময় ঠিকই আমরা বাঁচতে শিখে যাই।বাবা মা আর সন্তানের সম্পর্ক কত মধুরই না হয়।এই সম্পর্কের মতো বৈধ সম্পর্ক আর একটা ও হতে পারে না।যেখানে বাবা মা মারা গেলে, আমাদের কিছুদিন পর সবকিছু ঠিক হয়ে যায়,আমরা নতুন করে বাঁচতে শিখি,সেখানে প্রেম নামক একটা অবৈধ সম্পর্ক ব্রেকআপের কারনে, কেনো আমরা আমাদের নিজের জীবনটা শেষ করে দিব?

আমরা যদি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)জীবনী পড়ি।তাহলে দেখতে পাবো তার মতো,উত্তম স্বামী আর একটা ও হতে পারে না।তার স্ত্রীদের তিনি যথেষ্ট পরিমান ভালোবাসতেন।তার স্ত্রীর মাঝে হযরত খাদিজা (রাঃ) কে তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন।এবং তাদের সম্পর্ক ছিলো বৈধ ও পবিত্র।খাদিজা (রাঃ)তার স্বামীকে অনেক ভালোবাসতেন,সবসময় মাথার ছাতার মতো পাশে থাকতেন।সেই খাদিজা (রাঃ)যখন মারা যায়,তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ)এর জীবন কিন্তু থেমে থাকে নি।তিনি আরো দশজন মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন।এবং তাদেরকে ও অনেক ভালোবেসেছিলেন।যেখানে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)তার মাথার ছাতা খাদিজা (রাঃ) কে হারিয়ে ও নতুন করে বাঁচতে পারছে।সেখানে আপনি কেনো একটা মিথ্যা অবৈধ সম্পর্কের জন্য নিজের জীবনটা নষ্ট করে দিবেন?

মনে রাখবেন জীবনটা আপনার,আর আপনার জীবনের ভালো-মন্দ আপনাকেই বুঝতে হবে।আপনি যার জন্য জীবন দিতে চাচ্ছেন,সে কিন্তু আপনার জন্য একটু ও কষ্ট পাবে না,বরং মুখ লুকিয়ে হাসবে।একটা বার ও কি আপনার মনে হয় না,যে বাবা আপনাকে এত কষ্ট করে বড় করেছে,আপনি মারা গেলে সেই বাবা মা কতটা কষ্ট পাবে।পাগল ও নাকি নিজের ভালোটা বুঝে,তাহলে আপনি কেনো নিজের ভালোটা বুঝেন না?যে আপনাকে বেঁচে থাকতেই ভালোবাসে নি,আপনার কি মনে হয় আপনি মরে গেলে সে আপনাকে ভালোবাসবে?কখনোই না।মৃত্যু কোনো সমাধান হতে পারে না।একটা কথা মনে রাখবেন সৃষ্টিকর্তা যা করেন ভালোর জন্যই করেন।হয়তো আপনার জন্য এরচেয়ে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।

Related Posts

12 Comments

মন্তব্য করুন