জীবন ছায়া (গল্পের চতুর্থ পর্ব )

সুমন আর অনিক বিয়ের বাজার করে একটা রেস্টুরেন্টে গেলো খেতে খাওয়ার সময় একটি মেয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো সুমন ভাই তুমি এখানে আমার ভাবিটি কোথায় সুমন বলে আরে নীলা তুমি এখানে | হ্যা আমি আর  আমার হাসব্যান্ড এখানে এসেছি |অনিক বলে আপনি নীলা সুমনের ক্লাসমেট নীলা বলে হ্যা |আপনি কে? আরে নীলা ও আমার বন্ধু অনিক |অনিক এস. এস. সি পরীক্ষা পর ওর বাবা চলে যাওয়ার পরে অনিক বিদেশ চলে যায় |তাই তোদের সাথে পরিচয় হয়নি |

নীলার স্বামী রাছেল বলে সুমন ভাই কেমন আছেন সুমন বলে ভাই ভালো আপনি, ভালো ভাই আমি ভালো আছি | রাছেল বলে সুমিকে নিয়ে আসতেন |সুমন একি বলছেন সুমি ত আমার ক্লাসমেট ওকে নিয়ে আসতে যাবো কেন |অনিক ঠিকইতো বলেছে সুমন সুমিকে নিয়ে এখানে আসতে যাবে কেন | নীলা বলে অনিক আপনিতো অনেকদিন বিদেশ ছিলেন আপনি জানেনা আপনার বন্ধু সুমি এই কথা বলতে সুমন চিৎকার দিয়ে ধমক দিয়ে নীলাকে চুপ করিয়ে দেয় | অনিক কে নিয়ে তাড়াতাড়ি করে এই রেস্টুরেন্টে থেকেই বেরিয়ে যায় |

  • কিরে সুমন সুমির কথা বলতে তুই আমাকে নিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকেই বেরিয়ে গেলি কেন আমায় বল |
  • সুমন, ও কিছু না ভাই চল তাড়াতাড়ি বাসায় যায় |
  • পর দিন সকালে অনিক ঘুম থেকে ওঠে থেকে তার বাসার সামনে একটি চিঠি   পরে আছে সে চিঠিটা তুলে খুলে,
  • চিঠিটা ছিল,

অনিক আমি জানি তুমি এই চিঠিটা পড়ছ |অনিক আমি সুমি, আমি হয়তো এই কথা গুলো তোমাকে ফোনে বলতে পারতাম কিন্তু বলতে পারিনি অনিক তুমি খুব ভালো ছেলে |আমি চাইনা তুমি আমার জন্য কষ্ট পাই |আমি এই চিঠিটা এই কারণে লিখেছি তোমাকে কষ্ট না দেওয়ার  জন্য হয়তো তুমি চিঠি পরে একটু কষ্ট পাবে, কিন্তু পরে তোমার জন্যই আমার লিখা এই চিঠি |

অনিক আমি সুমন নামের একটি ছেলেকে ভালোবাসি |সুমন আজ বেকার বলে আমার বাবা তোমার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছে |সুমনকে ভুলে আমি তোমার হতে পারবোনা, সুমন আমার হৃদয় গাঁথা মালা |

অনিক আমি তোমার হতে পারবোনা আমি যদি কারোই হয় সুমনের হবো |

সুমন নিঃশ্বাস বিশ্বাসে রয়েছে আমার আমি তারে কি করে ভুলবো |আমি এই দিন রবিবার সুমনদের বাড়িতে দেখেছিলাম আমি জানিনা সুমন আর তোমার মাঝে কি সম্পর্ক |আমি সুমনের কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু সুমন আমাকে ফিরিয়ে দেয় আমি এই কষ্ট সহ্য করতে পারিনাই তাই তোমাকে লেখা আমার এই চিঠি |

চিঠিটা পরে অনিকের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পরে গেলো অনিক মনে মনে বলে যাচ্ছে এ হতে পারেনা এ হতে পারেনা |

Related Posts

16 Comments

মন্তব্য করুন