“জীবন ফুলের গাছ মনে জন্মাতে হয় “

“জীবন ফুলের গাছ জমিতে নয় মনে “জন্মাতে হয়। সৃষ্টি কর্তার মহান শিল্পের কানুন গুল্মে মানুষের জন্য চমৎকার ফুলটি জীবন এবং চমৎকার এ ফুলের গাছ হলো বিশ্বাস। জীবন ফুলের সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং স্রষ্টা।মানুষ সে ফুলের বীজ সংরক্ষণ কর্তা এবং তাঁর ওপর বিশ্বাস নামের গাছের জন্মদাতা।সূর্য উদিত হলে শুকতারা ও তারকা কোনটি যেমন দেখা যায় না, তেমনি ভাবে মানুষকে উদিত সূর্যের মত ধারনা করা হলে তাঁর ভিতরগত তারকা সাদৃশ্য চিন্তা চেতনা স্বপ্ন বাসনা বলতে কোন কিছু দেখা ও সম্ভব নয়। মানুষের ‘মন’ তো আরো গভীরে থাকে যেমনি ভাবে সৌরজগৎ এরও বাহিরে বিশাল আরেক সৌরগোলকের জগৎ বিদ্যমান।

তাই মানুষের জীবন, মন ও বিশ্বাস কেবলমাত্র যার যেমন তাঁর তেমনই অনুভব মাত্র। ব্যক্তিমন ও অস্তিত্বশীল জগৎ এ নিয়ে এক অখন্ড সত্তা বা, সামঞ্জস্যপূর্ণ সমগ্রতা। যে কারণে ব্যক্তিমনকে অস্তিত্বশীল জগৎ থেকে পৃথক করে দেখার সুযোগ নেই, মনের জমিনে বিশ্বাস নামের গাছকে অস্বীকার করা কিবা জন্ম না দেয়ার কোন যুক্তিকতা নেই। “দৈবের কোন হাত পা নেই। ” একথা সত্য জেনে বুঝেও মানুষ তাঁর জীবনকে কতটা রক্ষা করতে পারি বৈশ্বিক বিপর্যয় বা আকস্মিক কোন ঝড়ের কবলে পড়ে? দৃশ্যত দুঃখ কষ্টের স্বাদ গ্রহণের পর কোন মানুষ যখন সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হয়,যেমন দারিদ্রের পরে স্বচ্ছলতা, দুর্ভিক্ষের পরে উত্তম উৎপাদন, মুষলধারে বৃষ্টি ইত্যাদি, তখন সে হাসি তামাশা করতে শুরু করে এবং একপর্যায়ে অকৃতজ্ঞতাশীল হয়ে স্রষ্টা কেন্দ্রিক জীবন ব্যবস্থা ভুলে সম্পদকেন্দ্রিক জীবন যাপন শুরু করে দেয়।

আর যখন মানুষকে বিপদ আপদে ঘিরে ফেলে তখন সে উঠতে, বসতে, শুইতে, জাগতে সর্বাবস্থাতেই প্রার্থনায় লেগে পড়ে মুক্তি পণ কামনা করে। অথচ প্রকৃত মানুষ তো সেই যে তাঁর বিশ্বাসের ফলে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করে স্রষ্টাকে সন্ধান করবে।এবং আত্মশুদ্ধি জীবনে স্রষ্টার পরিচয় ও তাঁর নিজের সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে সক্ষম হবে।সত্যাশ্রী মানুষ সবার মত করে এ পৃথিবীতে বিচরণ করে ঠিক কিন্তু তাঁরা থাকেন মহাজাগতিক অভিলাষী জীবনের অধিকারী। এবং তাঁরাই এ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর গাছ বিশ্বাস যেটা জমিতে নয় মনে জন্ম দিয়ে অমরত্ব লাভ করেছেন। আমরাও পেয়েছি ফুল ফল ও তাঁর ছায়া স্বরূপ জীবন পথের সঠিক দিক দর্শন।

নতুন দিন
মুহা. কবির হোসেন

রাতির পোহাল ঊষার আলো
আনলো নতুন দিন,
পুরনো হলো আশার আলো
বাজলো অরুণ বীন।

রঙিন ছিলো পুরনো গুলো
পুষ্প বেণী বন ,
গহীন অরণ্যে গো উজ্জ্বল
খুশবু হেনি রণ।

স্বপ্ন ভালোবাসা প্রেম ও
জন জীবন মন,
অসহ্য দুর্দশার ফ্রেমে গো
মরণ দংশনে খানখান।

অন্তিম পুরে ঋণ কী ছিল
সেই পুরোনো দিন,
জীবন থেকে পাওয়া গুলো
শোধ দিবো এদিন?

বিশ একুশ তো খেলো হুঁশ
তার বদলাতে বেহুঁশ,
আশু বাইশ-নি শুভ ফিসফিস
যার আদলে তেইশ!

নতুন তো ফুটলে টলমল
বুঝি সে পদ্ম-জল,
পুরনো হলে ঝড়ে উজ্জ্বল
যদিও ছদ্ম-ফল

হিত কথা :
সমস্ত সুখের মূলে রয়েছে বিশ্বাস, যা মনের অধিরাজ্যে অবস্থান করে বিকশিত হয়।

Related Posts

24 Comments

  1. প্রকৃত মানুষ তো সেই যে তাঁর বিশ্বাসের ফলে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করে স্র্রষ্টাকে সন্ধান করবে
    এবং আত্মশুদ্ধি জীবনে স্র্রষ্টার পরিচয় ও তাঁর নিজের সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে সক্ষম হবে।…..

    এটাই হলো মূল কথা। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করুন