বন্ধুরা, তোমাদের নবম দশম শ্রেণিতে যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়তেছো, তাদের কাছে অবশ্যই একটা জীববিজ্ঞান বই আছে। তোমরা এই বইয়ের খুঁটিনাটি পড়ার আগে কিছু প্রশ্নের উত্তর তোমাদের অবশ্যই জানতে হবে। এই প্রশ্নগুলো খুবই সাদামাটা। তবে জীববিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে এসব প্রশ্নের সম্মুখীন প্রায় হতে হয়।
অনেক সময় এসমস্ত প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই জানা থাকে না। ফলে নানান সমস্যায় পড়তে হয়। এই সাদামাটা প্রশ্নগুলোর মধ্যে কমন ২টি প্রশ্ন হলো জীববিজ্ঞান কেন পাঠ করবো? জীববিজ্ঞানের শাখা কেন তৈরি হলো? এগুলোর উত্তর জানতে নিচের ২ টি লিংকে ক্লিক কর।
জীববিজ্ঞানের শাখার প্রয়োজন কেন?
বন্ধুরা, পড়াশোনায় কিছুটা সাহায্য করার জন্য জীববিজ্ঞান বইয়ের ১ম অধ্যায় নিয়ে আবারও আলোচনা করতে চলে আসলাম। আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে, জীববিজ্ঞানের সমস্ত শাখাগুলোকে যে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে ভৌত বা মৌলিক জীববিজ্ঞান। তো চল আর দেড়ি না করে শুরু করি।
জীববিজ্ঞান আমাদের একটা প্রয়োজনীয় বিষয়। এই বিষয়টাকে দিন পাল্টানোর সাথে সাথে বহু শাখায় বিভক্ত করা হয়েছে। এসমস্ত শাখাকে আবার মোট ২ ভাগে বিভক্ত করে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এই ২ ভাগের এক ভাগ হলো ভৌত বা মৌলিক জীববিজ্ঞান।
ভৌত বা মৌলিক জীববিজ্ঞান কি? আসলে জীববিজ্ঞান অনেক শাখায় বিভক্ত। এই শাখাগুলোর মধ্যে যে সমস্ত শাখাগুলোতে জীববিজ্ঞানের তত্ত্বীয় বিষয় আলোচনা করা হয়, সেসমস্ত শাখাগুলোকে বলা হচ্ছে ভৌত জীববিজ্ঞান। এবার ভৌত জীববিজ্ঞান সম্পর্কে ডিটেইলসে বলি।
আমাদের জীববিজ্ঞান আজ এতটা বিস্তার লাভ করেছে যে, এর শাখাগুলো মৌলিক আবার ফলিত ২ ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। ফলে মৌলিক ভাগের মধ্যে সেসব শাখা পড়ে গেছে, যারা একেবারে মৌলিক পর্যায়ের। অর্থাৎ, যাদেরকে জীবন-সংশ্লিষ্ট কোনো কিছুর প্রায়োগিক দিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। এই সমস্ত শাখাতে সাধারনত জীবের ভিতরের দিকের বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জীবের মূল ভিত্তি, কার্যকলাপসহ জীবের যেসব বিষয় নিতান্তই মৌলিক পর্যায়ের, যে বিষয়গুলো অধ্যয়ন না করলে জীববিজ্ঞানের মূল ভিত্তি কি তা জানা যায় না, যেগুলোকে বাদ দিলে প্রায়োগিক বিষয়গুলোর কথা কল্পনাই করা যায় না, যে বিষয়গুলোর জন্য জীববিজ্ঞানের প্রায়োগিক বিষয়গুলোর উৎপত্তি, সামগ্রিকভাবে যেগুলো ছাড়া জীববিজ্ঞান একেবারেই অচল, সে সমস্ত বিষয়গুলো এই ভৌত বা মৌলিক জীববিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত।
তাহলে বুঝা গেলো ভৌত জীববিজ্ঞান কি। এখন আসি, এই ভৌত জীববিজ্ঞানে কতোগুলো শাখা বিদ্যমান রয়েছে।
এই ভৌত জীববিজ্ঞানে যে সমস্ত শাখা আছে, তাদের তালিকা তোমরা তোমাদের বইয়ের ৪ নং পৃষ্ঠায় পেয়ে যাবে। তবে আমি তোমাদের সুবিধার্থে ওই তালিকাটা নিচে দিয়ে দিচ্ছি।
১) Morphology (অঙ্গসংস্থান বিদ্যা)
২) Taxonomy (শ্রেণীবিন্যাস বিদ্যা)
৩) Physiology (শারীরবিদ্যা)
৪) Histology (হিস্টলজি)
৫) Embryology (ভ্রূণ বিদ্যা)
৬) Cytology (কোষ বিদ্যা)
৭) Genetics (বংশগতি বিদ্যা)
৮) Evolution (বিবর্তন বিদ্যা)
৯) Ecology (বাস্তু বিদ্যা)
১০) Endocrinology (এন্ডোক্রাইনোলোজি)
১১) Biogeography (জীবভূগোল)
এখানে শুধু আমি শাখাগুলোর নাম লিখেছি। এই শাখাগুলো সম্পর্কে কোনো বর্ণনা দিই নি। তোমরা যদি এই শাখাগুলো সম্পর্কে জানতে চাও, তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে। আমি এগুলো সম্পর্কে পরবর্তীতে লিখব।
ধন্যবাদ সকলকে।