জেনেটিক ইউজেনিক্স (পার্ট-১-ডিজাইন শিশু, জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং)

হ্যালো বন্ধুরা।আজকে “ডিজাইন শিশু ” নিয়ে জানা যাক। সবাই অনেক কিছুই ডিজাইন করে; পরিধেয় বস্ত্র থেকে শুরু করে ঘর, বাড়ি, বাগান এমনকি বাহ্যিক অবয়বও।তাই বলে কি ডিজাইন শিশু!! শুনতে একটু অদ্ভুত মনে হলেও তা হয়ে উঠতে পারে বাস্তবতা। খুব সহসাই আপনি চমকিত হয়ে উঠতে পারেন ডিজাইন শিশু তৈরির কোনো আকর্ষনীয় বিজ্ঞাপনে-
“আপনি কি সন্তান নিতে ইচ্ছুক? আপনি কি চান আপনার সন্তান হবে সুশ্রী, সুঠাম দেহের অধিকারী, বংশগত রোগমুক্ত ও উন্নত আই-কিউর অধিকারী?!! আপনি কি চান পছন্দের লিঙ্গের (ছেলে না মেয়ে) সন্তান! তাহলে দেরি না করে আজই চলে আসুন আমাদের ক্লিনিকে।”

মূলত উল্লেখ্য উক্তি গুলোর মধ্যে ডিজাইন শিশু কেমন হবে তার কিছু বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে। এটি মূলত এমন এক শিশু যার জেনেটিক নকশা কৃত্রিম ভাবে জেনেটিক ইন্জিনিয়ার দ্বারা নির্ধারিত হবে এবং টেস্ট টিউব বেবি প্রযুক্তির (in vitro fertilization) সমন্বয় ঘটানো হবে।বিশেষজ্ঞরা আশা করেন খুব শিগ্রই এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার হবে যার মাধ্যমে কোনো কিছুর জিনোম সিকুয়েন্স জানা যাবে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জিব্রা ফিশের রংয়ের জন্য দায়ী জিন এবং সেগুলো সাথে সম্পর্কিত মানব জিনসমূপ নিরূপণ করেছেন।

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধে প্রত্যাশা করা হয়েছে, নব আবিষ্কৃত প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি ভ্রুণকোষে বিদ্যমান প্রতিটি ক্রোমোজোমের কয়েকশ রোগের জিন সৃষ্টিকারী মিউটেশন নির্ণয় করা সম্ভব।ইতোমধ্যে একটি একটি মাইক্রো চিপ আবিষ্কৃত হয়েছে যার মাধ্যমে ১৫০০’র মতো জেনেটিক বৈশিষ্ট্য একসাথে নিরূপণ করা যায়। এসব বৈশিষ্ট্য হলো হৃদরোগ থেকে শুরু করে স্থূলতা,চুল ও চোখের রং, উচ্চতা, ল্যাকটোজ পরিপাকে ত্রুটি ইত্যাদি।

ডিজাইন শিশুর ধারণাটি উন্নত ও অভীষ্ট সন্তানের অভিপ্রায়ে ভবিষ্যতের জন্য কল্পিত একটি সম্ভাব্য প্রযুক্তি। প্রথমত যেই প্রক্রিয়ায় বা প্রযুক্তির মাধ্যমে ভ্রুণের জেনেটিক নকশা নির্বাচন করা হবে তার নৈতিক দিক ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার বিষয়টির উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।” আফ্রিকার মালেতে ধানের একটি বুনো প্রজাতি “Orayza longistaminata” এর সন্ধান পাওয়া গেছে ।

ভারতের একজন বিজ্ঞানী আর সি চৌধুরী এ প্রজাতির মধ্যে প্রথম ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট রোগের প্রতিরোধী জিন, Xa21 শনাক্ত করতে সক্ষম হন। এ জিনটি পরবর্তীতে Oryza sativa তে স্থানান্তর করতে সক্ষম হওয়া যায়। এখন এ জিনটির ব্যবহার পেটেন্টধারি ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করছে! অথচ এ জিনটি কিনা নেয়া হয়ে ছিল এক বুনো প্রজাতির ধান থেকে!!”
বলা হয়ে থাকে জিন কিংবা জেনেটিক কোড এমন একটি অকল্পনীয় কম্পিউটার প্রোগ্রাম যার কাছে কিনা পৃথিবীর সকল সফটওয়্যারই নগন্য।

অনেকক্ষণ ত হলো ইউজেনিক্স, টেস্ট টিউব বেবি , ডিজাইন শিশু নিয়ে কথা তাহলে এখন চলো আরেকটি মজার টপিক এ প্রবেশ করি!”জিন এখন পেটেন্টিং হচ্ছে! “এই পেটেন্ট হলো একধরনের মেধাস্বত্ব। জেনেটিকেলি মডিফাইড করে অনেক নতুন আবিষ্কার ও সম্ভব হয়ে যেটি আমাদের জানার বাহিরে নয়! জি এম শস্য এর একটি উদাহরণ । জিন পেটেন্টিং দিয়ে কি হয় তার একটি বাস্তব উদাহরণ এর সাথে পরিচিত হওয়া যাক!

Related Posts

30 Comments

মন্তব্য করুন