আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশাকরি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই ভাল আছেন।
শুরু হয়েছে কাঁঠালের মৌসুম।তাই রাস্তায় রাস্তায় কাঁঠালে সয়লাব হওয়ার কথা।যদিও করোনার প্রকোপের কারণে এবার কাঁঠালের পরিবহন কমে গেছে,তারপরও রাস্তায় রাস্তায় কাঁঠাল কম দেখা যাচ্ছে না।যদিও একটু কটু গন্ধ ফলটি থেকে বের হয়,তারপরও এই ফলের স্বাদে কোন তুলনা হয় না।এই খাঁজকাটা খোসাযুক্ত ফলটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এর বিচিও খেতে সুস্বাদু।প্রচুর ভিটামিন খনিজ যুক্ত ফলটির বিচি অত্যন্ত উৎকৃষ্ট খাদ্য।আমরা এই ফলটির বড় বড় বিচি গুলো শুকিয়ে,ভর্তা করে,আচার করে ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারি।তবে এই ফলের বিচি খাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এটি পরিষ্কার করা।এটি যদি ঠিকমতো পরিষ্কার করা না হয় তবে এই উৎকৃষ্ট খাদ্যটি গ্রহণ করা সম্ভব নয়।তাই এটির বিচি সঠিক উপায়ে পরিস্কার করা জানতে হবে।আপনি যদি কাঁঠালের বিচি সঠিকভাবে পরিস্কার না করেন তবে এটির স্বাদ আপনার কাছে কটু হয়ে যাবে।তবে সুখবর হচ্ছে এমন এক পদ্ধতি আছে যেটির মাধ্যমে আপনি খুব কম সময়ে কোন জটিলতা ছাড়াই সহজে কাঠালের বিচি পরিস্কার করে নিতে পারেন।তাই চলুন জেনে নিন কিভাবে সহজে কাঁঠালের বিচি পরিষ্কার করবেন-
প্রথমেই আপনাকে কাঠাল হতে সব বিচিগুলো আলাদা করে নিতে হবে।তারপর আপনি পরিস্কার পনিতে সব বিচি ধুয়ে বিচির উপরে সাদা খোসা ছাড়িয়ে নিন।বিচিগুলোর সাদা খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া হলে এবার পরিস্কার একটি পাত্র বা পাতিলে বেশি করে পরিস্কার পানি নিয়ে সেখানে সব বিচি দিয়ে দিন।পাতিলে পানি এমনভাবে নিবেন যাতে সব বিচি পানির ভেতর ডুবে থাকে।এবার পাত্রটি চুলায় বড় আচেঁ বসিয়ে দিন।বিচিগুলোর উপর ব্লক না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।সব বিচির উপর ব্লক চলে আসলে নামিয়ে পাত্রের পানি ছেঁকে নিন।এবার হালকা ডলা দিয়ে দেখুন,বিচিগুলোর উপর লাল খোসা উঠে যাবে।চাইলে চালনিতে নিয়ে হালকা ডলা দিতে পারেন।এবার এই বিচিগুলো রোদে শুকিয়ে যেকোনভাবে খেতে পারেন-পুড়িয়ে,ভর্তা করে,আচার করে।চাইলে এয়ার টাইট বলা জিপ লকার বক্সে রেখে ৬-৭ মাস সংরক্ষণ করে খেতে পারবেন।
আমার পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বেশি বেশি শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।