সালামুআলাইকুম, কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভাল আছেন।তো আজকে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব বাণিজ্যিক ডাটা প্রসেসিং এ কম্পিউটার কি কি অবদান রয়েছে বা ব্যবহার সম্পর্কে। আজকের এই পোষ্ট আপনারা জানতে পারবেন বাণিজ্যিক ডাটা প্রসেসিংয়ের কম্পিউটারের ব্যবহার। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি মানেই দেশের উন্নতি। ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন এর উপর দেশের উন্নতি অনেকটা নির্ভর করে। আরএ ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতির জন্য প্রধান শর্ত হলো দ্রুত যোগাযোগ এবং গ্রাহকদেরকে দ্রুত সেবা প্রদান করা।নিচে বাণিজ্যিক ডাটা প্রসেসিংয়ের কম্পিউটার ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
রেলওয়ে এবং বিমানের টিকিট বুকিং (In Railway and Airway for booking counter): সারা বিশ্বের এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রি বা বুকিং এখন কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত। যেকোনো টিকিট বুকিং সেন্টার থেকে টিকিট ক্রয় করলে অন্য টিকেট বুকিং সেন্টার হচ্ছে সেই সিটের টিকিট বিক্রি সম্ভাবনা থাকে না। কারণ কোন যাত্রী যে কোন স্টেশন থেকে টিকিট বুকিং করার পর কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এয়ারলাইনের সমস্ত বুকিং সেন্টার এসে তথ্য চলে যায়, যার ফলে কোন এয়ার কোম্পানিকে টিকিট বিক্রির জটিলতায় পড়তে হয় না। তাছাড়া কোনো এয়ারলাইনে নির্ধারিত ফ্ল্যাইটের আগমনের ও উড্ডয়নের খবর বিমান বন্দরে পৌঁছার সাথে সাথে তা সকল বুকিং স্টেশনে সহজেই পৌঁছে দিচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের রেলওয়ের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা চালু আছে । রেলওয়ে স্টেশন হতেটিকেট বেকারের সংখ্যা এবং শুন্য আসনের সংখ্যা অল্প সময়ে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কন্ট্রোলরুমে প্রেরণ করে। যা ম্যানুয়ালি অসম্ভব। যখন আমরা বলতে পারি কুমিল্লা স্টেশনে কয়টি আসন খালি যাবে। যার প্রেক্ষিতে শূন্য আসনের জন্য টিকিটের বিক্রি করা যাবে। আর এ কাজটি কম্পিউটার দক্ষভাবে করে থাকে, যার ফলে টিকিটের কালোবাজারি ও দুর্নীতি অনুচ্ছেদ হয়েছে।
ব্যাংকের কাজ পরিচালনা করা: কম্পিউটার দ্বারা ব্যাংকিং কাজ কর্ম সম্পাদন করা যায়। প্রতিদিনের দেনা, পাওনা, হিসাব নিকাশ, চেক জমা ও ভাঙ্গানোর হিসাব, অ্যাকাউন্ট নম্বর এর হিসাব ইত্যাদি কম্পিউটার দ্বারা কন্ট্রোল করা যায়।
একটি ব্যাংকের প্রধান অফিসের সাথে বিভিন্ন শাখা অফিসের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থাকলে প্রতিটি শাখার প্রতিদিনের হিসাব নিকাশ অর্থাৎ প্রতিবেদন খুব সহজেই হেড অফিসে জানাতে পারে। এছাড়া একজন আমানতকারী তার হিসাব নাম্বার ব্যাংকের কোন শাখায় থাকলে ওই ব্যাংকের যেকোনো শাখায় থেকে আমানত উত্তোলন করতে পারবে কিংবা জমা দিতে পারবে।
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক: যেখানে এক কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটারে নেটওয়ার্ক রয়েছে, সেখানে মানুষের গতি দ্রুত পাল্টাচ্ছে। এর নেটওয়ার্ক এর ফলে ঘরে বসে অফিস আদালতের কাজ, ব্যাংকের কাজ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের হিসাব নিকাশ ফলাফল, সংবাদপত্রে সংবাদ প্রেরণ, বিজ্ঞপ্তি প্রধান ইত্যাদি কাজ কম্পিউটার দ্বারা করা যায়। বর্তমানে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংবাদপত্রের সংবাদ সমূহ বিভিন্ন তথ্য লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের কাছে পৌছানো হচ্ছে প্রতিদিন।
পত্রিকা প্রকাশনায় কম্পিউটার: কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে প্রকাশনা শিল্পে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। পূর্বে যেখানে শত শত কর্মীকে দিনরাত পরিশ্রম করে সংবাদপত্রের অক্ষর বিন্যাস করতে হতো, এখন তা কয়েকজন কর্মী অনায়াসেই কম্পিউটার কম্পোজের মাধ্যমে সম্পাদন করতে পারে।
এছাড়াও কম্পিউটার দ্বারা কালারিং, পৃষ্টা সাজানো, ভুল সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন, প্যারা ও পৃষ্ঠা স্থানান্তর, লাইনো অক্ষর বোল্ড করা, ব্লক করা, পৃষ্ঠার নম্বর প্রদান,পৃষ্ঠার উপরে নিচে হেডার ফুটার প্রদান ইত্যাদি কাজ করা হচ্ছে। হলে পত্রিকা প্রকাশনা শিল্প সহজ থেকে সহজতর হচ্ছে।
ওয়ার্ড প্রসেসিং: চিঠিপত্র, দলিল দস্তাবেজ ইত্যাদি লেখার জন্য কম্পিউটারের ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয় এবং বর্তমানে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাথে চিঠিপত্র আদান-প্রদানের জন্য ইমেইল,কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ফ্যাক্স ইত্যাদির ক্ষেত্রে ওয়ার্ড প্রসেসিং এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
ই-কমার্স: আজকাল ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আজকাল ঘরে বসে ব্যবসা বাণিজ্যের কাজকর্ম করা যায়। পৃথিবীর এক প্রান্তে বসে অপর প্রান্তের যেকোন শপিং সেন্টারে ক্রয়-বিক্রয় করা যায় এবং জিনিসের দাম পরিশোধ করা যায়। এ ব্যবস্থাকে ই-কমার্স বলে কে।
বার কোড: বারকোড বলতে কমবেশি চওড়াবিশিষ্ট পর্যায়ক্রমে কতগুলো বার বার রেখাসমূহ কে বুঝায়। একে ইউনিভার্সাল প্রোডাক্ট কোড বলা হয়। দোকান থেকে বিকৃত জিনিসের প্যাকেটের উপর বার কোডের সাহায্যে জিনিসের নাম, নির্মাণ কারীর নাম এবং মূল্য ইত্যাদি লেখা হয়।অতঃপর একটি কম্পিউটার বারকোড রিডার এর সাহায্যে বার কোডটি পড়ে এবং তা কোন সংখ্যা বুঝায়, তা সহজেই জেনে নেয়া যায়।কম্পিউটারের মেমোরিতে প্রতিটি জিনিসের বারকোড নম্বর ও দাম রক্ষিত থাকে। এথেকে কম্পিউটার বিকৃত জিনিসের নাম ও দাম লিখে বিল তৈরি করে এবং সাথে সাথে বিকৃত জিনিসের স্টক আপডেট করে।
নকশা প্রণয়ন: বর্তমানে সকল প্রকার নকশা প্রণয়নের কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে।বাড়ি ঘরের নকশা থেকে শুরু করে মহাকাশযান নির্মাণ পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার হচ্ছে।
তো আজকের মত পোস্ট এখানে শেষ করছি ।কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং সেই সাথে সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ।
গ্রাথোর আর্নিং প্রোগ্রাম | পোস্ট লেখালেখি করে খুব সহজেই ইনকাম করুন
Nice post
Awsome
hi
Grathor is real
Valo
Nice post
nice
Gd
good
good
Nice
nc
Salam ta shotik vabe likhben…
আপনাদের টেলিকম অফিশিয়াল আছে
Nice
https://grathor.com/%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%9f-cookies-%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%95%e0%a6%a4/
❤️