জেনে রাখুন বৈদ্যুতিক প্রিপেইড ডিজিটাল মিটার ব্যবহারের কিছু তথ্য

আসছে সবার ঘরে ঘরে বৈদ্যুতিক এনালগ মিটারের পরিবর্তে প্রিপেইড ডিজিটাল মিটার। আমরা অনেকেই এর পরিচালন ও ব্যবহার সম্পর্কে অবগত নই। তাই, আপনাদের অবগতির জন্য আজকের আলোচনা। আশা করি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ডিজিটাল মিটার ইনস্টলমেন্টপর প্রথমে ১০০০ টাকা রিচার্জ করলে সেক্ষেত্রে ব্যালেন্সে আপনি পাবেন ৭৯২ টাকা। ভাবছেন কম কেন? জেনে নিন তার কারনসমূহঃ

১। আপনি যখন মিটারটি পরীক্ষা করছিলেন সে সময় আপনার মিটারে ১০০ টাকা রিচার্জ করে দেওয়া হয়েছিল। তাই আপনার বাড়িতে মিটারটি ইনস্টলেশন করার পর রিচাজের সময় ১০০ টাকা কেটে নেয়া হবে। এই এমাউন্ট কাটা হবে শুধু প্রথম বার।

২। ডিমান্ড চার্জ নানক একটি চার্জ আগে থেকেই ছিলো। যেটি আগে প্রতি কিলো ওয়াটে ২৫ টাকা করে নেয়া হতো। ডিজিটাল মিটারের ক্ষেত্রে এখন ১৫ টাকা করে নেয়া হবে। এই চার্জটি কাটা হবে প্রতি মাসে এক বার।

৩। ডিজিটাল প্রিপেইড মিটারের ভাড়া প্রতি মাসে একনার ৪০ টাকা করে নেয়া হবে।

৪। ভ্যাট কাটার চার্জ অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থাৎ আগেও ছিল ৫% ছিলো এখনো ৫% ই থাকবে।

৫। সার্ভিস চার্জ আগের মতোই ১০ টাকা প্রতি মাসে একবার নেয়া হবে।

বিশেষ করে উপরে উল্লেখিত কারণে ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রথমবার ১০০০ টাকা রিচার্জ করলে সকল চার্জ বাদে ৭৯২ টাকা থাকবে। একই মাসে দ্বিতীয় বার রিচার্জে শুধু ৫% ভ্যাট কাটা হবে। তাই গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

স্থিতি বিষয়ক আরও কিছু তথ্যঃ

১। ইউনিট ব্যবহারের তথ্য জানতে আপনার মিটার থেকে ৮০০ ডায়াল করুন।

২। মিটারের বর্তমান ব্যালেন্স জানতে ৮০১ ডায়াল করুন।

৩। যে কোনো মূহুর্তে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স পেতে ৮১০ ডায়াল করুন।

৪। ডিজিটাল মিটারটি চালু অথবা বন্ধ করার প্রয়োজন হলে ৮৬৮ ডায়াল করুন।

৫। মিটারটির কিলোওয়ার্ট জানতে ৮৬৯ ডায়াল করুন।

প্রিয় ভিউয়ার্স, আশা করি পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকলে ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার সম্পর্কে আর জানার তেমন কিছু বাকী থাকবে না। সবাই ভালো থাকবেন।

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন