টেস্ট গড় ৯৯.৯৪! এ যেন এক আক্ষেপের নাম – স্যার ডন ব্র্যাডম্যান

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি খেলা হল ক্রিকেট। আর দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাটি জনপ্রিয়তাতো আরো বেশি। আজ আপনাদের শুনাবো এক কিংবদন্তীর গল্প যাঁর নাম ডন ব্র্যাডম্যান ;যিনি অষ্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ছিলেন। আসুন  একটু কষ্ট করে জেনে নেই ইতিহাসের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার স্যার ডন ব্র্যাডম্যান  সম্পর্কে । যার জন্ম না হলে হয়তো টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের খবরাখবর জানার জন্য পিছে ফিরে তাকাতে হতো না । বর্তমানের টেস্ট ক্রিকেটে অনেকেই নিজেদের ক্যারিয়ারে অনেক সেঞ্চুরি জমা করছে আর আমাদের কিছু আকর্ষণীয় ম্যাচ উপহার দিচ্ছে ।কিন্তু  স্যার ডনের সময় কেবল তিনিই টেস্ট ক্রিকেটের সময়টাকে চষে বেরিয়েছেন রেকর্ড গড়া কিছু ম্যাচ খেলে । তার টেস্ট অভিষেক হয় ১৯২৮ সালের নভেম্বর মাসে ব্রিজবেনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ।

– স্যার ডনই বোধহয় একমাত্র ক্রিকেটার যার ব্যাটিং মানেই এক একটা মাইলফলক। ১৯৩০সালে এ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ৯৭৪ রান করে ছিলেন এবং এটাই ছিল সেই সিরিজের সর্বোচ্চ রান । অভিষেক টেস্টেই সর্বোচ্চ রান করে ইংল্যান্ড সফর শেষ করেন।

– স্যার ডন  ১৯৩৫/৩৬ সালে সাউথ আফ্রিকা সফরে খেলতে পারেনি অসুস্থতার জন্য  ।তারপর সুস্থ হওয়ার  পর তিনি তাঁর দলকে সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন স্কয়াস জিতাতে সফল ভুমিকা রাখেন ।যদি তার ক্যারিয়ারে কিছু অপূর্ণ থাকে তবে সেটা তাঁর  শেষ টেস্টই বলতে হবে ।কারণ মাত্র ৪ রানের জন্য তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের এভারেজ ১০০ হতে পারে নি । লক্ষ্যটি ছিল খুব ছোট কিন্তু তা সফল হয়নি যা হয়তো তাঁর কাছে বা তাঁর ভক্তদের কাছে চিরদিনের জন্য আক্ষেপ হিসেবে রয়ে গেলো । 

– ব্যাটিং গড় ৯৯.৯৪ রান রেখে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে হলো স্যার ডনকে । তবুও তিনি সেরাদের তালিকার শির্ষেই থাকবেন ।এক বছরে তিনি ছয়টির বেশি টেস্ট খেলতে পারেন নি । মাত্র দুইবার পেরেছিলেন ছয়টির বেশি টেস্ট খেলতে এবং এই দুইবারেই ১০০০ রানের উপরে করতে পেরিছিলেন । যে বছর তিনি আটটি টেস্ট খেলেছিলেন তখন তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ১২২.৩৮

 -ব্যাডম্যানের  ক্যারিয়ারে রয়েছে ২৯টি টেস্ট সেঞ্চুরি,  ১২ টি ডাবল সেঞ্চুরি এবং ২টি ত্রিপল সেঞ্চুরি যা তাঁর অবস্থান টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে সবচেয়ে উঁচুতেই রাখবে। তাঁর সর্বোচ্চ রান হলো ৩৩৪ ।তাছাড়া দুটি ত্রিপল সেঞ্চুরি করে ব্র্যাডম্যানের পাশে আছেন আরো দুজন।  

– তাঁর টেস্ট ক্রিকেটের অবসর ঘটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ১৯৪৯ সালে ।  

 

আপনাদের কেমন লাগলো?  কমেন্ট করুন। ভালোলাগলে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ। 

Related Posts

20 Comments

মন্তব্য করুন