ডিজিটাল ইনকামের ডিজিটাল পদ্ধতি, তরুণদের আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দু : বর্তমানে আউটসোর্সিং

দিনদিন ডিজিটালের ছোঁয়া এ সবকিছুই ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। এখন ডিজিটাল তারা শুধুমাত্র ডিজিটাল পদ্ধতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এখন এখান থেকে ডিজিটালি ইনকাম করা সম্ভব। এটি এখন সময়ের দাবি। শুধু ডিজিটাল হলে হবেনা তরুণদের ডিজিটাল টা কে ব্যবহার করে ডিজিটাল ভাবে ইনকাম পদ্ধতি গুলো শিখতে হবে। অন্যান্য দেশে একটি এখন অনেক পুরনো মেথড। তবে আমাদের দেশে আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছে।

আমরা অনেকেই জানিনা ডিজিটালি আমরা এখানে অনেক কিছু শিখতে এবং জানতে পারি। সেইসাথে মোটামুটি একটি ভালো ইনকাম সোর্স তৈরি করতে পারি। দেশে বেকারত্বের হার দিন দিন বাড়ছে। এটি আমার দেশের বর্তমান সবচেয়ে বড় সমস্যা।আমাদের এখান থেকে উঠে আসতে হলে ডিজিটাল চিন্তা ভাবনা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প রাস্তা নেই। ডিজিটালি ইনকামের ব্যবস্থা কে বলা হয় এক কথায় আউটসোর্সিং।

এখন জানতে হবে আউটসোর্সিংয়ে বলতে কি বুঝি? মূল কথায় আসা যাক, আউটসোর্সিং হচ্ছে আপনি নিজের ইচ্ছামত ইন্টারনেট কে ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে নিজের পছন্দ মত কাজ করা।ওখানে আপনি কাজ করা আর অনেকগুলো মিডিয়া খুঁজে পাবেন। সেখান থেকে আপনি যা করলে যে কোন মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইনে কাজ করে অনেকেই সফলতা অর্জন করেছে। এতেই নতুন করে বলার কিছু নয়। আমরা ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করে ফেলেছি। এখন সবকিছু অফলাইন থেকে অনলাইনে বেশি জনপ্রিয়। ইচ্ছা করলেই এখান থেকে নিজেদের পছন্দের কাজগুলো অনায়াসে করে ফেলতে পারি। ডিজিটালি কাজ করতে আপনার যে সমস্ত জিনিসের প্রয়োজন হবে।

  • প্রথমত আপনার লাগবে একটি স্মার্ট ফোন/কম্পিউটার
  • দ্বিতীয়তঃ আপনার ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে
  • তৃতীয়তঃ আপনার থাকতে হবে কিছু দক্ষতা ও মেধা।

এখন আপনি শুরু করতে পারেন। আপনাকে সর্ব প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো আপনি কোন বিভাগে যোগ্য সেটা আপনাকে নির্বাচন করতে হবে অর্থাৎ আপনি কোন কাজটি খুব ভালো হবে করতে পারেন সেটি আপনাকে বুঝতে হবে। তখন আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে আপনি যে সমস্ত বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারবেন সেগুলো নিম্নরূপ

  • ব্লগ রাইটিং করতে পারেন
  • ইউটিউবে চ্যানেল খুলে নিতে পারেন। এবং সেখানে ভিডিও আপলোড দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন
  • সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক সেখান থেকেও আপনি ইনকামের অনেকগুলো রাস্তা খুঁজে পাবেন
  • আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনি ওয়েব ডিজাইনের কাজ করতে পারবেন।
  • মোটিফিকেশন আল-মুলক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
  • আপনি যদি কোন কিছু ডিজাইন করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি ভালো ভালো ডিজাইন তৈরি করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
  • বিভিন্ন টিউটোরিয়াল তৈরি করে সেগুলো থেকে খুব ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।
  • অনলাইনে বর্তমানে মার্কেটিং কি খুব জনপ্রিয়। আপনি অনলাইনে মার্কেটিং করতে পারবেন।
  • যে কোন একটি ইসপ খুলে বিজনেস করতে পারবেন।
  • অনলাইন ডেলিভারি করে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন
  • অনলাইন থেকে রিচার্জ এবং লোডের ব্যবসা করতে পারেন।
  • বিভিন্ন রকম ই-টিকিটিং সেবা অথবা অন্য কোনো সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবসা করতে পারবেন
  • নিউজ পোর্টাল তৈরি করে নিউজ প্রকাশ করতে পারবেন
  • ভালো মানের কোন ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন।
  • গ্রাফিক্স ও ফটোশপের কাজ জানা থাকলে আপনি এখান থেকে ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।
  • কনটেন্ট রাইটিং জব করতে পারবেন এখান থেকে। বর্তমানে এটি খুব জনপ্রিয় ও ভালো পরিমাণ আয় নিয়ে আসতে পারে।
  • অনলাইনে প্রোডাক্ট অর্ডার নিয়ে সেটি সাপ্লাই দেওয়ার বিজনেস করতে পারেন

অনলাইনে এখন বিভিন্ন প্রকার টিপস ও আইডিয়া শেয়ার করে ভালো পরিমাণে ইনকাম করা যায়।এছাড়াও আরও হাজার হাজার অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো করেও আপনি ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন এখান থেকে। শুধু থাকতে হবে আপনার ধৈর্য ও যে কোন একটি বিষয়ে অভিজ্ঞতা। আপনার কোন মূলধন বিনিয়োগ করতে হবেনা আপনার একাগ্রতায় আপনাকে নিয়ে যাবে সফলতার দ্বারপ্রান্তে।তবে আপনি যদি একদম আউটসোর্সিং পেশায় নতুন হয়ে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে বলব প্রথম প্রথম আপনি সহজ বিষয় নিয়ে চেষ্টা করুন।

এমন অনেক সহজ বিষয় আছে যেখানে আপনি খুব সহজেই সফলতা টাকে ছুঁতে পারবেন। এখন বর্তমান যুগে অনলাইনে প্রচুর কনটেন্ট এর দরকার হয়। আপনি কন্টেন্ট রাইটিং জনকে বেছে নিতে পারেন। এখানে খুব বেশি আপনাকে সময় দিতে হয় না। অল্প পরিমাণ জ্ঞান দিয়েই আপনি একাজটি খুব সহজে করে ফেলতে পারবেন।এই কাজটি করার জন্য খুব বেশি অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না তাই এই কাজের কথায় বর্ণনা করলাম।

এখন আপনাকে জানতে হবে কনটেন্ট রাইটিং কি-কি। আমরা অনেকেই ব্লক রাইটিং সম্পর্কে অনেক আগেই জেনেছি। বিষয়টি ঠিক এইরকমই। কনটেন্ট বলতে বোঝায় নতুন কোন কিছু নিয়ে বিশেষ কিছু ফিচার তৈরি করা। যেখান থেকে নিত্য নতুন আইডিয়া টিপস ও জ্ঞান অর্জন করা যায়। বর্তমানে ব্লগিং পেশাটা হিসেবে খুব মন্দ নয়। আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন।

ব্লগিং কি এবং ব্লগিং কেন করবেন?

বর্তমান সময়ে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ব্লগ রাইটিং। অনলাইনে প্রতিনিয়ত প্রতিদিন নতুন নতুন পয়েন্ট যোগ হচ্ছে। সেখানে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ নতুন নতুন কন্টেন্ট রাইটিং এর দরকার হয়। কনটেন্ট অনেক বিভাগের হয়ে থাকে, যেমন ধরুন: আপনি বিজনেস আইডিয়া খুব ভালো জানেন’সেটি শেয়ার করলেন/অথবা ভালো কোন টিপস/ভালো কোন অফার/নতুন কোন খবর/বিনোদন জগতের তারকা কথন/গল্প ভাবনা ও কবিতা/প্রযুক্তি/অনলাইন আউটসোর্সিং/বিজ্ঞান-সাস্থ্য/মডিফিকেশন মূলক বক্তব্য/মুক্তকথা/ও সফলতার গল্প/এরকম হাজার হাজার বিষয়ে আপনি কন্টেন্ট লিখে ফেলতে পারেন।

ব্লগিং:ব্লগিং হচ্ছে অনলাইনে যে কোন মাধ্যমে আপনার যেকোনো লেখা ডায়েরী হিসেবে অথবা ছবি হিসেবে অথবা লেখা হিসেবে প্রকাশ করার নামই হচ্ছে ব্লগিং। বর্তমান সময়ে অনলাইনে যে সমস্ত পেশাল সবচেয়ে বেশি কদর রয়েছে তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। মজার বিষয় হচ্ছে এখানে আপনি একবার লিখবেন আপনার লেখা হাজার হাজার মানুষ পড়বে। আপনার জ্ঞান অন্যের মাঝে ছড়িয়ে যাবে। আপনার এখান থেকে মোটামুটি ভালো একটি ইনকাম করার রাস্তা খুঁজে পাবেন। বর্তমানে অনলাইনে লেখকদের জয়জয়কার। প্রতিদিন প্রচুর কনটেন্ট এর প্রয়োজন হয় এখানে।সুতরাং এই চাহিদাগুলোকে কাজে লাগাতে আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল ব্লগার।

কোথায় ব্লগিং করবেন?

ব্লগে আপনি যেভাবে শুরু করতে পারেন, বর্তমানে দুই ভাবে ব্লগিং করা যায়। প্রথমটি হচ্ছে: নিজে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে।

দ্বিতীয়তঃ অন্যের ব্লগ সাইটে লেখা পোস্ট করে।

আপনি সর্বপ্রথম নিজে একটি ব্লগ সাইট তৈরি না করে অন্যের ব্লগ সাইটের লেখা শুরু করুন। কিছুদিন পরে যখন আমার অভিজ্ঞতা অর্জন হয়ে যাবে তখন আপনি নিজেই একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। মনে রাখবেন অভিজ্ঞতা ছাড়া কোন কিছু করতে যাবেন না তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আপনি আপনি সফলতা পাবেন না লেগে থাকুন। আস্তে আস্তে দেখবেন আপনি এখান থেকে ভালো রেসপন্স পাচ্ছেন। সময় দেখা যাবে আপনি ভালো মনের একজন কনটেন্ট রাইটার হয়ে গেছেন। মনে রাখবেন আপনি যে বিভাগে দক্ষ, সেই বিভাগ এই লেখার চেষ্টা করবেন। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার লেখার একটি অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে।

আয়ের এর উৎস

আপনি এখান থেকে মোটামুটি খুব ভালো পরিমাণ আয় করতে পারবেন। আই এর উচ্চতা নির্ভর করে আপনার মানের উপর।আপনি যত ভাল কনটেন্ট দিবেন ঠিক ততটাই আপনাকে মূল্যায়ন করা হবে। আমাদের দেশে এমন অনেক কনটেন্টার আছে যারা খুব ভালো পরিমাণ আয় করছে। আপনি ভালো পরিমাণ আয় করতে চাইলে আপনাকে ভাল ভাল কনটেন্ট লিখতে হবে । আপনার লেখা ভালো পরিমাণ বিয়ে হলে আপনি এখান থেকে ভালো পরিমাণ ইনকাম করবেন এটাই স্বাভাবিক।

প্রথম প্রথম কাব্যের যাবেন না অল্প পরিমাণ হলেও চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। কেউ একদিন সফল হয়নি প্রতিটি কাজের জন্য ধৈর্য দরকার। মোটামুটি ভালো টাকা পাবেন,একদম মন্দ নয়। ধরে নিন আপনি ভাল মানের একটি ওয়েবসাইটের লেখেন। সেখান থেকে প্রতিটি পোস্টের জন্য আপনাকে 50 টাকা দেওয়া হয়। এখন আপনি যদি দৈনিক দুটি পোস্ট লেখেন, সে ক্ষেত্রে ২*৫০-১০০ টাকা পাবেন। তাহলে মাসে দাঁড়ায় 3000 টাকা। এখন আপনি দৈনিক দশটি পোস্ট লিখলেন। সেক্ষেত্রে অংকটা দাঁড়ায় ৩০০০০ টাকা। এখন সেটা নির্ভর করে আপনার ওপর আপনি 3000 টাকা ইনকাম করবেন নাকি 30000 টাকা ইনকাম করবেন সেটা আপনি ঠিক করে নিন।

আপনি যত বেশি কনটেন্ট দিবেন ঠিক তত বেশি আপনার আসবে। তাহলে যদি কোনো ভালো মানের কনটেন্ট আর ভাল কনটেন্ট শেয়ার করে সেক্ষেত্রে পোস্ট এর মান 500 থেকে হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়। তাহলে ভেবে দেখুন একজন ভাল কনটেন্ট ব্লগ রাইটার মাসে কি পরিমান ইনকাম করতে পারে। আশ্চর্য লাগছে। এটি বাস্তবতা। আরও অনেক সাইট থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন তবে প্রথমেই অস্থির হয়ে উঠবেন না। ধীরে ধীরে আস্তে আস্তে জানতে চেষ্টা করুন আগে জানুন এবং যে জিনিসটি আপনি জানলেন সেটি মানুষের কাছে শেয়ার করুন। মনে রাখবেন আপনার লেখা থেকে যদি মানুষ কোন কিছু শিখতেই না পারে তাহলে সেই লেখার কোনো মূল্যই নেই। সুতরাং যখন লিখবেন তখন ভাল মানের কিছু লেখার চেষ্টা করবেন। রাতে এসে লেখা পড়ে অনেকেই স্বপ্ন দেখতে পারে।

এতকিছু থাকতে ব্লগিং কেন করব:আপনাকে একটি পরিষ্কার ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি আমি উপরে হয়তো বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন/তবে একটি কথা পরিষ্কার যদি অনলাইনে আপনি ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ব্লগিং পেশাটা কেই বেছে নিতে হবে/কারণেই পেশাটি শুধু আমাদের দেশে নয় সারা বিশ্বেই অনেক জনপ্রিয়/এবং এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই/ভবিষ্যৎ প্রজন্ম টা চলে আসতেছে শুধু তথ্য প্রযুক্তির যুগ/সেখানে প্রচুর কনটেন্ট এর দরকার হবে/শুধু তথ্য এবং প্রযুক্তি নিয়ে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ পোস্ট দিতে পারবেন/তাহলে যদি একটি বিভাগে এত পোস্ট দেওয়া যায় এরকম হাজারটি বিভাগ রয়েছে তো ভেবে দেখুন আপনি কেন ব্লগিং শুরু করবেন না/আধুনিক যুগে অনলাইন লগইন ছাড়া আপনি অফলাইনে খুব ভালো একটি সাড়া পাবেন না/সে ক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইনে ব্লগিং পেশাকে ভাল না লাগার কোন কারণ নেই!

কোথায় ব্লগ পোস্ট করবেন?

ব্লগ পোস্ট করার হাজার হাজার অপশন বর্তমানে আমার দেশে রয়েছে। আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কোন ভাষায় ব্লক লিখতে চান। বর্তমানে পৃথিবীতে জনপ্রিয় ভাষা হচ্ছে ইংরেজি। যদি আপনি ইংরেজি জানেন তাহলে তো কোন কথাই নেই। কারণ ইংরেজিতে লিখলে পোস্ট এর মান এবং ডিমান্ড দুটোই বেড়ে যায়।তবে সমস্যাটা হচ্ছে আমরা যারা ইংরেজি লিখতে জানি না। তাদের আফসোস করার কোনো কারণ নেই।

কারণ আপনি ইচ্ছে করলে এখন বাংলাতে ব্লগ পোস্ট করতে পারবেন।বাংলাতে ব্লগ পোস্ট করতে পারবেন কথাটি শুনে হয়তো আপনি খুশি হয়ে গেছেন।হ্যাঁ কথাটি একদম সত্যি আপনি এখন থেকে বাংলা প্রশ্ ব্লক পোস্ট লিখতে পারবেন। বাংলা ব্লগ পোষ্ট লেখার অনেকগুলো ওয়েবসাইট আছে। তবে এসব ওয়েবসাইটে কিছু না কিছু নিয়ম এবং নীতিমালা আছে। যদি আপনি সেই সমস্ত নিয়ম এবং নীতিমালা গুলো মেনে সেখানে লিখতে পারেন তাহলে তো ভালো। আর যদি চান নিজেই একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে সেখানে আপনি ব্লক পোস্ট করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সফলতার কাছাকাছি চলে যাবেন।আর যদি মনে করেন আপনার পক্ষে এখন ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে আপনি ভালো কিছু ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন।

কোন ওয়েবসাইট টি ভালো?

আমাদের দেশে অনেক রকম ওয়েবসাইট আছে।তবে সেখান থেকে ভালো ভালো কিছু ওয়েবসাইট আপনাকে বেছে নিতে হবে।আপনি একটু খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন যে ওয়েবসাইট গুলো খুব ভালো পেমেন্ট দেয় সেখানে আপনি লেখার চেষ্টা করবেন। এবং যে ওয়েবসাইটগুলোর ভিউয়ার এবং ফলোয়ার অনেক বেশি সেখানে জয়েন করার চেষ্টা করবেন। আর একটি বিষয় মনে রাখবেন সেটি হচ্ছে আপনি যে ওয়েব সাইট টিতে জয়েন করতে চাচ্ছেন সেটি কি আপনি যে বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন সেই বিষয়টি তাদের আছে কিনা।দেখা গেলো আপনি এমন একটি ওয়েবসাইটে জয়েন করেছেন অথবা রেজিস্ট্রেশন করেছেন যেখানে আপনার পছন্দের বিভাগটি নেই। তাহলে আপনি সেখানে কোন প্রকার লেখা লিখতে পারবেন না। কারণ সঠিক বিভাগ সিলেক্ট না করলে আপনার লেখা কখনোই অ্যাপ্রুভ হবে না। তাহলে আপনি কি করবেন?

চিন্তার কারন নেই:- আপনি চিন্তা না করে,আমি একটি ওয়েবসাইটের কথা বলছি যদি কিছুটা হল আপনার উপকারে আসে সে ক্ষেত্রে আমার লেখাটা সার্থক। আপনি যদি একদম নতুন হয়ে থাকেন। এবং আপনি যদি চিন্তা ভাবনা করে নিয়ে থাকেন। আপনি একজন ব্লক রাইটার হবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি কোন কিছু না ভেবে এই ওয়েব সাইটে জয়েন করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটটির নাম হল,grathor.com। আপনাকে অন্য কোন ওয়েবসাইটের নাম না বলে এই ওয়েবসাইটের নাম বলার কারণ একটি। সেটি হচ্ছে এই ওয়েবসাইটটি প্রকৃতপক্ষে লেখক তৈরি করার উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। বর্তমানে এর ভিউয়ার এবং ফলোয়ার অনেক বেশি। এবং জনপ্রিয়তার দিক থেকে এর নাম না বললেই নয়। ব্লগ রাইটিং এর একটি জনপ্রিয় নাম হচ্ছে এই grathor.com। এখানে আপনার মনের মত শত-সহস্র অনেক বিভাগ আপনি খুঁজে পাবেন।যেখান থেকে আপনি চাইলে আপনার মনের মত লেখা সিলেক্ট করে সেখানে পোস্ট করতে পারবেন।

একটু খেয়াল করবেন: সবচেয়ে বড় মজার ব্যাপারটা হচ্ছে এখানে আপনি যায় কিছু পোষ্ট করুন না কেন তার বিনিময়ে আপনি সাথে সাথে কিছু পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। যদিও যৎসামান্য তবুও আপনাকে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করবে। আপনি যখন নিজের মূল্যায়ন টা খুজে পাবেন তখন অবশ্যই আপনি এই ওয়েবসাইটটির ভক্ত হয়ে যাবেন। নতুনদের জন্য এটি অবশ্যই একটি বেস্ট প্ল্যাটফর্ম।

পরিশেষে বলব আপনি ঘরে বসে না থেকে বেকার না হয়ে ডিজিটাল দুনিয়ার ডিজিটাল মাধ্যম গুলো কাজে লাগিয়ে আপনি আউটসোর্সিং দুনিয়া থেকে ভালো পরিমাণ একটি আয় ঘরে তুলতে পারবেন। সুতরাং আর দেরি না করে আজই চলে আসুন। এবং গড়ে তুলুন আপনার ডিজিটাল ক্যারিয়ার। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করুন।আপনি হয়ে উঠতে পারেন ডিজিটাল দুনিয়ার একজন সফল ডিজিটাল কনটেন্ট রাইটার। তাছাড়াও আপনি অন্যান্য সাইটেও কার্য করতে পারবেন। সুতরাং আমরা আমাদের এই ডিজিটাল মাধ্যম কে কাজে লাগিয়ে আমরা এদেশের তরুণ যারা তারা নিজেদের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গঠন করে দেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের মাঝে মাথা তুলে দাঁড়াব। আবারো বলছি ঘরে বসে না থেকে ডিজিটাল মাধ্যম কে কাজে লাগিয়ে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আপনি সফল ব্যক্তিত্বে পরিণত হতে পারেন। সবাইকে ধন্যবাদ।

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন