ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাচার উপায়
এই সময়টাতে ডেঙ্গুর প্রভাব মহামারির আকার ধারণ করেছে । ঢাকায় এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি । শুধু ঢাকায় নয় পুরো দেশেই মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে । এক প্রতিবেদনে বলা হয় , পুরো দেশে লাখো মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ,এর মধ্যে ৩৫-৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে ।
ডেঙ্গু জ্বর থেকে আপনি চাইলে রক্ষা পেতে পারেন । কিন্তু যদি আপনি এই উপায়গুলো না জানেন তাহলে কিভাবে বাচতে পারেন । নিচের উপায়গুলোকে পলো করতে পারেন।
এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয় । আর এডিস মশা বেশির ভাগ সময় দিনের বেলায় কামড়ায় এতে দিনের বেলায়ই এ রোগে আক্রান্ত হওয়া সম্ভাবনা বেশি । বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা বৃষ্টির পরিষ্কার জল ৪/৫ দিন জমে থাকালে সেটাই এডিস মশা এর বংশ বিস্তারের স্থান । তাই আমাদের উচিত বাড়ির আশেপাশে পানি জমতে না দেয়া ,যদিও এখন বর্ষা কাল আর বৃষ্টির পানি জমতে পারে তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বৃষ্টির পানি যাতে না জমে ।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে,মশা বলে কথা এর কি কোনো গেরান্টি দেয়া যায়। তাই দিনের বেলা শরীর ভালোভাবে কাপড়ে ঢেকে বের হতে হবে, প্রয়োজনে মসকুইটো রিপেলেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে । এতে মশার হাত থেকে রক্ষা হতে পারেন ।
ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। যদি নেট না লাগান তাহলে বাইরে থেকে মশা আসার সুযোগ পাবে বেশি । আর দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
আপনাদের যে বাচ্চা গুলো স্কুলে যায় তাদের জন্য নিচের কাজগুলো করতে হবে ।শিশুদের মধ্যে যারা স্কুলে যায়, তাদের হাফপ্যান্ট না পরিয়ে ফুল প্যান্ট বা পায়জামা পরিয়ে স্কুলে পাঠাতে হবে। এতে আপনার শিশুগুলো ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে।
মশক নিধনের জন্য স্প্রে, কয়েল, ম্যাট ব্যবহারের সাথে সাথে মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য দিনে ও রাতে মশারী ব্যবহার করতে হবে ।
আর যদি কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় রোগীকে অবশ্যই সব সময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে, যাতে করে রোগীকে কোনো মশা কামড়াতে না পারে। যদি কোনো মশা কামড়ায় তাহলে ঐ মশা আবার ডেঙ্গু তে আক্রান্ত হবে আর অন্য কে কামড়ালে আবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হবে ,এভাবে ডেঙ্গু আরো বেশি করে ছড়াতে থাকবে ।
মহামারী রোগগুলি কে মোকাবেলা করার জন্য সচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরী একটা বিষয় । এই ভাবে আপনারা ডেঙ্গু থেকে বাচতে পারেন ।