সিনেমাটোগ্রাফার হওয়ার সপ্নটা আমাদের মধ্যে অনেকের আছে। কেমন হয় যদি এই শখ কাজে লাগানোর মাধ্যমে কিছু প্রফিট অর্জন করা যায়? বিষয়টা অবশ্য মন্দ হয়না। ড্রোন নিয়ে আমাদের মধ্যে সবসময় এক প্রকার আকর্ষণ কাজ করে থেকে। আমাদের মধ্যে অনেকের ড্রোন চালানোর ইচ্ছে থাকে, কিন্তু সামর্থ্য এর অভাবে আমরা কিনতে পারিনা। উপর থেকে চমৎকার ভাবে যেকোনো দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা যায় ড্রোনের মাধ্যমে।
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো কিভাবে ড্রোন দিয়ে প্রতি মাসে অন্তত এক লক্ষ টাকা আয় করা যেতে পাড়ে এই বিষয়ে। এটিকে আপনারা পার্ট টাইম ব্যবসা হিসেবেও নিতে পারেন। কোনো প্রকারের ঝামেলা ছাড়া মোটামুটি ভালো মনের আয় করতে পারবেন এই বিজনেসে। চলুন ধাপে ধাপে বিস্তারিত জানা যাক।
ড্রোন দিয়ে আয় করবেন কিভাবে?
প্রথমত আপনার একটি ড্রোন এর প্রয়োজন হবে। তবে শুরুতে বাজেট কম থাকলে আপনি ড্রোন ভাড়া নিয়েও কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন সিনেমাটোগ্রাফার ড্রোন ভাড়া দিয়ে থাকে।
আচ্ছা, ড্রোন নাহয় জোগাড় করলেন, কিন্তু ইনকাম আইডিয়াটা কি?
ড্রোন দিয়ে ভালো মাপের আয় করার তিনটি ট্রিকস আপনাদের সাথে আজকে শেয়ার করবো। নিচে ধাপে ধাপে বিস্তারিত শেয়ার করছি।
১. অন্যের সিনেমাটোগ্রাফি তৈরি করে
যদি আপনার কাছে একটি ড্রোন থাকে তাহলে আপনার সিনেমাটোগ্রাফি করাটা আরো সুবিধাজনক হবে। বিভিন্ন ভিডিওগ্রাফার তাদের ইভেন্ট এর জন্য ড্রোন সিনেমাটোগ্রাফারদের ভাড়া করে থাকে। এই উপায়ে ভালো মানের উর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। একটা সময় আমাদের দেশে ড্রোন ভিডিও ফুটেজ এর ততটা চাহিদা ছিলনা। কিন্তু এখনকার ইভেন্টগুলি যেনো ড্রোন ভিডিও ফুটেজ ছাড়া হয়না।
এক্ষেত্রে আপনি যেকারো ইভেন্টে ড্রোন দিয়ে ভিডিও তৈরি করে দিতে পারেন। এর জন্য প্রথমে আপনি ড্রোন এর ব্যবহার আয়ত্ত করুন ভালোমতো। এরপর আপনি যেকোনোভাবে মিউজিক প্রডিউসর দের সাথে যোগাযোগ করুন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ওয়েডিং ফটোগ্রাফারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। বর্তমানে বিয়ের সিনেমাটোগ্রাফিতে ড্রোন ফুটেজ ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কম এমন জায়গায় ড্রোন কিনে পরিচালনা করতে পারলে ভালোই আয় হবে। প্রতি ইভেন্ট থেকে কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা করে পেলে এক মাসে অন্তত ২০ টা কাজ পেলেও প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন সহজেই।
২. ড্রোন ভিডিও সেল করে
Shutter Stock এর মত সাইটগুলো থেকে বিভিন্ন লোকেরা বিভিন্ন জায়গার ড্রোন ফুটেজ কিনে থাকে। এক্ষেত্রে আপনার যদি ঘুরাঘুরির ইচ্ছে থাকে তাহলে আপনি বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ড্রোন ফুটেজ কালেক্ট করতে পারেন, পরবর্তীতে আপনি সেগুলো বিভিন্ন প্রিমিয়াম সাইটে সাবমিট করতে পারেন। এটা দ্বিতীয় সেরা উপায় ড্রোন দিয়ে আয় করার।
৩. নিজেই সিনেমাটোগ্রাফি করে
একদম শেষ টিপস হচ্ছে নিজেই সিনেমাটোগ্রাফির কাজ শুরু করুন। আপনি আপনার সিনেমটোগ্রাফি ভিডিও ফেসবুক, ইউটিউবে আপলোড করার মাধ্যমে একটা দারুন ইনকাম সোর্স তৈরি করতে পারবেন।
বাংলাদেশে ড্রোন উড়ানোর নীতিমালা – ড্রোন কেনার আগে জেনে নিন
মূলত এই ছিল আপনাদের জন্য ড্রোন দিয়ে দারুন একটি ব্যবসায়িক আইডিয়া। আশা করছি আপনারা পার্ট টাইমে এই ভাবে ভালো পরিমাণের অর্থ আয় করতে পারবেন। তবে দক্ষতা অবশ্যই প্রয়োজন, বর্তমানে যেকোনো সেক্টরে প্রতিযোগিতা বেশি। যার দক্ষতা বেশি তার কাজের সুনাম বেশি। আর সুনাম বেশি হলে আপনাকে সকলে কাজ দিবে।