বাংলাদেশে ড্রোন উড়ানোর নীতিমালা – ড্রোন কেনার আগে জেনে নিন

‘ড্রোন’ শব্দটি আমাদের অনেকের পরিচিতি। ড্রোন এর কথা শুনলেই এক প্রকারের আবেগের জন্ম হয় সিনেমাটোগ্রাফারদের মনে। উপরিভাগ থেকে খুবই চমৎকারভাবে দৃশ্য ধারণ করা যায় ড্রোন এর মাধ্যমে। এখন যেকোনো ইভেন্টে Drone Footage ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়াও ওয়েডিং ফটোগ্রাফারদের তো বর্তমানে ড্রোন ছাড়া কোনো ইভেন্ট হয়না। বর্তমান অধুনিক যুগে ড্রোন ফুটেজ এর ব্যবহার নানান ক্ষেত্রে দেখা যায়। গত আর্টিকেল এ আপনাদের ড্রোন দিয়ে এক লক্ষ টাকা প্রতি মাসে আয় করার একটি আইডিয়া দিয়েছিলাম।

উক্ত আর্টিকেল এ বলা আইডিয়া দ্বারা আপনারা একটি ড্রোন কিনে সেটিকে ঘিরে একটি ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে পারবেন। তবে ড্রোন আকাশে উড়ানোর আগে যদি উড়ানোর নীতিমালার বিষয়ে আপনি অবগত না থাকেন তবে, সামনের দিকে না এগিয়ে প্রথমে নিয়ম নীতি সম্পর্কে জেনে নিন। সরকারি পর্যায়ে Drone আকাশে উড়াতে গেলে আপনাকে অবশ্যই নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। আজকের আর্টিকেল দ্বারা আমরা এসব নিয়মনীতির বিষয়ে জানার চেষ্টা করবো। তাহলে আসুন শুরু করা যাক।

ড্রোন উড়ানোর নীতিমালাঃ

প্রথমত বেশি ওজনের ড্রোন উড়ানোর ক্ষেত্রে বিমানবন্দর থেকে নিতে হবে অনুমতি। প্রথমবারের মতো ড্রোন উড়াতে হলে অনুমতি নিতে হবে ৪৫ দিন আগে, যদি সেটি 5 কেজ ওজনের উপরে হয়। এবং জানাতে হবে কি কাজে, কখন কোথায় আর কেন ড্রোন উড়াবেন সে বিষয়ে। ড্রোন উড়ানোর নীতিমালার উপর ভিত্তি করে ড্রোনের চারটি বিভাগ তৈরি করা হয়েছে।

‘ক’ ভাগ হিসেবে ধরা হয়েছে বিনোদনের বা শিশুদের খেলার ড্রোনকে, যা অবশ্যই 5 কেজির মধ্যে হতে হবে এবং ৫০০ ফুটের উপরে উড়াতে পারবে না। ‘খ’ শ্রেণী হিসেবে ধরা হয়েছে অবাণিজ্যিক পর্যায়ের ড্রোনকে, যেগুলো কোনো বাণিজ্যিক পর্যায়ে ব্যবহার হবে না। ‘গ’ ভাগ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে বাণিজ্যিক পর্যায়ে ব্যবহৃত ড্রোন। এবং ঘ হিসেবে নেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয় বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের ড্রোন গুলোকে।

আরো বিস্তারিত নীতিমালাঃ Drone Laws In Bangladesh

ড্রোন নীতিমালা না মানলে কি হবে?

এখন অনেকের মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে যদি আমি কোনো নিয়ম নীতি না মেনে সরাসরি ড্রোন উড়াই তাহলে কি হবে? এতে কি কোনো সমস্যা হবে? এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ অবশ্যই আপনার সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। যেহেতু এটি একটি আইনি নির্দেশ। সেহেতু সবার জন্যেই এসব নিয়ম প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে আপনি যদি নিয়ম না মেনে উড়ান তাহলে আপনাকে মোটা অঙ্কের জরিমানা কিংবা অন্য কোনো শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে। আর তাই এখন সব ধরনের সিনেমাটোগ্রাফার, ব্লগার সকলেই ড্রোন উড়ানোর পূর্বে নিয়মনীতি অনুসরণ করে থাকে।

শেষ কথা

আর্টিকেলটা পরে নিশ্চই Drone উড়ানোর নিয়ম নীতির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এসব নিয়ম মেনে চললে, আশা করি ভবিষ্যতে আপনাকে এই বিষয়ে কোনো সমস্যাই পড়তে হবে না। আর্টিকেলটা শেষ করছি এইটুকুতেই, ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন