তালাক হারাম নাকি হালাল! আসুন জেনে নেই।

আসসালামুওয়ালাইকুম বন্ধুরা।কেমন আছেন সবাই?আশা করি ভালো আছেন।

বন্ধুরা ধরুন আপনি বিয়ের পরে জানতে পারলেন যে আপনার স্ত্রীর বিয়ের আগে অন্যকোনো সম্পর্ক ছিল।তখন আপনার আসলেই করণীয় কি হবে সে বিষয় নিয়ে আজ কথা বলব।এরকম আসলে অনেক সময় দেখা যায় যে আপনি অনেক খোজ খবর নিয়েই বিয়ে করলেন কিন্তু তখন কিছু জানা না গেলেও পরে হয়ত জানতে পারলেন আপনার স্ত্রীর বিয়ের আগে চারিত্রিক সমস্যা ছিল ।বন্ধুরা এরকম অনেকের প্রশ্ন থাকে যে এরকম হলে কি করা উচিৎ। তো চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাকঃঃ-

বন্ধুরা যদি আপনার স্ত্রীর বিয়ের আগে চারিত্রিক সমস্যা ছিল কিন্তু বর্তমানে সে যদি এমন হয় যে,আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছে, আপনার কাছে ক্ষমা চেয়েছে এবং আপনার সাথে নতুন করে জীবন শুরু করতে চাইছে তাহলে তাকে অবশ্যই ক্ষমা করে নতুন একটা সুযোগ দেওয়া উচিৎ।

আর যদি দেখা যায় যে বিয়ের আগে আপনার স্ত্রী এমন কিছু করেছে যে তা ক্ষমার অযোগ্য। এবং সে কথা লুকিয়ে রাখার মাধ্যমে আপনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে তখন আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে আপনি সম্পর্ক টা রাখবেন কিনা।

আর যদি দেখা যায় যে তার বিয়ের আগে তার ছোট খাটো এফেয়ার ছিল সেরকম চরম পর্যায়ের কিছু ছিল না তাহলে তাকে বলুন যে সে পূর্বে যা করেছিল তা ভুল ছিল সে যেন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় এবং দ্বিতীয়বার কক্ষনোও এরকম ভুল না করে এবং তার সাথে নতুন করে শুরু করুন সব টা আবার।

কারন তালাক টা হচ্ছে ইসলামের সর্ব নিক্রিষ্ট হারাম। তাহলে বন্ধুরা আমরা যা বুঝলাম তা হলো তালাক টা হারাম নয়  তালাক টা জায়েজ। তবে হালালের লিস্ট করলে দেখা যাবে যে সর্ব নিম্ন পর্যায়ের হালাল।

আবার এরকম হাদিস ও আছে যে তালাক এর কথা উচ্চারন করলে আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে।তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছে এটা কতটা ভয়ংকর বেপার। আল্লাহ কক্ষনোই চাইবেন না একটা ফ্যামিলি ভেঙে যাক।

তো বন্ধুরা আশা করি লেখা টা আপনাদের ভালো লেগেছে?

ধন্যবাদ বন্ধুরা।

Related Posts