তুমি কি সত্যি আমার !! দ্বাদশ পর্ব

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? ভালো তো? আমিও ভালো আছি। আজকে ” তুমি  কি সত্যি আমার !! ” গল্পের  দ্বাদশ তম পর্ব প্রকাশিত হবে। চলুন গল্পের মূল অংশে চলে যাই।

ঈতিশা এর মোবাইল নাম্বারটা নেওয়াই হয় নাই। একাদশ তম পর্বের পর থেকে…… তিশার মোবাইল নাম্বার না নেওয়ায় Facebook ছাড়া আর ওর সাথে কোথাও কথা হয় না। ঈতিশা Facebook এ সব সময় থাকে না। ঈতিশা তো আর আমার মতো বসে নেই ওর লেখা পড়া আছে তাই ব্যাস্ত থাকে। ভাবতেছি আজকে মোবাইল নাম্বার টা চাব।

Facebook এ এসে এস এম এস দিয়ে রাখলাম।
আমি: hi.
( এস এম এস দিয়ে বসে আছি। ৩০ মিনিটে ও এস এম এস দেখলো না। মনে হয় ব্যাস্ত আছে।)
ঈতিশা: হুম। বল।
( এস এম এস দিচ্ছিলাম সকালে reply দিল‌ বিকেল বেলা।)
আমি: কি কর? খুব ব্যস্ত মনে হয়?
ঈতিশা: তেমন কিছু না। খুব ব্যস্ত না। তবে পড়াশোনার চাপে আছি।
আমি: ও..
ঈতিশা: হুম। কিছু মনে করো না। আমার ফোনের mb শেষ। যদি কিছু বলার থাকে 01306…..54 এই নাম্বারে এস এম এস দিও।
আমি: আচ্ছা ঠিক আছে। [ এতো দেখছি মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। আমি মোবাইল নাম্বার নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেছি কিন্তূ বলতে পারি নাই। আর ও নিজেই আমাকে মোবাইল নাম্বার দিল। যাক অনেক ভালো হলো।]

Facebook থেকে আর কোন এস এম এস আসলো না। তারমানে ওর mb শেষ হয়ে গেছে। মোবাইল নাম্বার তো পেয়ে গেছি এখন মোবাইল এ এস এম এস দেই।
সেদিন মোবাইলে বেশ কিছুক্ষণ কথা বললাম।
পরের দিন শুক্রবার। ও আজকে অবসর সময় আছে। কলেজ, প্রাইভেট কোনটাই নাই। ওর মোবাইল নাম্বার এ এস এম এস দিলাম।
আমি: hi. কেমন আছো?
ঈতিশা:  হুম ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?
আমি: হুম আমিও ভালো আছি। কি করো?

ঈতিশা: নক কাটতেছি। তুমি কি করো?
আমি: আমি বসে বসে তোমার সাথে এস এম এস করতেছি।
ঈতিশা: ওহ্
আমি: হুম। তোমার বাসার সবাই কেমন আছে?
ঈতিশা: আলহামদুলিল্লাহ সবাই ভাল আছে। তোমার বাসার সবাই কেমন আছে?
আমি: আমার বাসার সবাই ও ভালো আছে।
ঈতিশা: আহ্… হাত কেটে গেল?
আমি: কীভাবে?

ঈতিশা: এস এম এস দেখতে গিয়ে নক না কেটে হাত কাটছি।
আমি: ও মা। বলে কি? আমার সাথে এস এম এস করতে গিয়ে তোমার হাত কেটে গেল। Sorry….
ঈতিশা: না না.. তোমার জন্য হাত কাটবে কেন? এখানে তোমার দোষ কিসের? নখ কাটার সময় আমি অমনোযোগী ছিলাম তাই এমন হয়েছে।
আমি: ছবি তুলে দাও তো দেখি। কতদূর কেটে গেছে।
ঈতিশা: সামান্য একটু কেটে গেছে। এত চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই। আমার মোবাইল এ তো mb নাই। কালকে দেখিও।
আমি : উফ্… কাটছি। { আবেগ ধরে রাখতে পারি নাই। আমার জন্য কেউ কষ্ট পাবে তা তো হয় না। অন্য কেউ হলে কথা ছিল। ঈতিশা কে কষ্ট দিছি অতএব আমিকেও কষ্ট পেতে হবে। নইলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না। তাই আমিও ব্লেট দিয়ে হাত কাটলাম।}

ঈতিশা: মানে!! কি কাঠছো?
আমি: না কিছু না।
ঈতিশা: তুমিও হাত কাটলে না কি?
আমি: হুম ।
ঈতিশা: কেন হাত কাটলে?
আমি: এমনিতে।
ঈতিশা: কোন কারন ছাড়া এমনিতে কি কেউ কখনো হাত কাটে?
আমি: হুম কাটে। আমি কাটি।
ঈতিশা: পুরাই পাগল। ছবি তুলে massenger  এ দাও। আর শোন, হাত ভালো ভাবে পরিস্কার করে ব্যান্ডেজ করে এসে এস এম এস করো।

হাত কাটার ছবি তুলে রাখলাম। জীবনের প্রথম কারো জন্য হাত কাটলাম। স্মৃতি হিসেবে তো রাখতেই হবে। হাত ব্যান্ডেজ করার পর। হাত কাটার আর কাটা যায়গার ছবি ঈতিশা কে পাঠিয়ে দিলাম। সবাই প্রেমে ধোঁকা খাওয়ার পর হাত কাটে আর আমি প্রেমের প্রস্তাব না দিতেই হাত কাটি। ঈতিশাকে এস এম এস দিলাম। বলল পরে কথা বলি। আজ মন চাইছে সারাক্ষণ ঈতিশার সাথে কথা বলি। আজকে মনে মনে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি। আজ আমার মনের কথা ঈতিশা কে বলবোই বলবো।

বলতে পারব তো? কি মনে হয় আপনাদের? Comment করে জানান। কীভাবে মনের কথা বলব বুঝতেই পারছি না। আপনারা পারলে একটূ সাহায্য করেন। Comment এ প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার উপায় বলে দেন। ধন্যবাদ আপনাকে এতক্ষণ ধরে আমার সাথে থাকার জন্য।

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন