আসলে আমরা কিন্তু নতুন এক ডিজিটাল দুনিয়াতে চলে এসেছি। এ দুনিয়ায় হাবলা গোপলার কোন জায়গা নেই। এই দুনিয়া সহজ সরল মানুষের জন্য বড়ই কঠিন হয়ে গিয়েছে। সবাই এখন খুঁজে বেড়ায় তারুণ্য। এক কথায় বলতে গেলে সব জায়গায় এখন স্মার্টদের জয়জয়কার। এখন আপনি ভেবে দেখুন এ যুগে আপনি স্মার্ট থাকবেন নাকি সাধারণ মানুষের মতো থাকবেন। স্মার্ট আর সাধারন মানুষ এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। সাধারণ মানুষ হই স্মার্ট হতে পারে। হতে পারে ভালো কোন মানুষ।স্মার্ট শব্দটা শুনলেই আমরা মনে করি গায়ে জড়ানো পোশাকটা একটু মর্ডান হলেই আমরা স্মার্ট হয়ে যাই।
আসলে আপনি যদি ভিতর থেকে স্মার্ট না হয় বাইরে থেকে স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে ভেবে নিন আপনি একজন বোকা। আমরা সচরাচর মনে করে থাকি খুব ভালো পোশাক পড়ে থাকল লোকটি বোধহয় খুবই স্মার্ট। বিষয়টা কিন্তু ঠিক সেরকম নয়। স্মার্ট যে কোনো মানুষই স্মার্ট হতে পারে। যদি সেই ইচ্ছা করে। সময় আপনি দেখবেন আপনার পাশের লোকটি লুঙ্গি পড়ে আছে। অবতার চলনে-বলনে কথোপকথনে লোকে আপনার চেয়েও স্মার্ট। তাহলে বোঝা গেল স্মার্ট জিনিসটা আসলে মানুষের বাইরে বাইরের দেখে প্রকাশ পায় না, স্মার্ট ভেতর থেকে আসতে হবে। যেমন ধরুন আপনি কোথায় পড়ে আছেন। কিন্তু রাস্তায় দাঁড়িয়ে আইসক্রিম খাচ্ছে। লোকে আপনাকে কিভাব বে।
কেউ হয়ত মনে করবে আপনি পাগল নয় তো আপনার মাথা খারাপ। এখানেও কিন্তু আপনার আচরণের উপর নির্ভর করছে আপনার স্মার্টনেস।বোঝা যাচ্ছে স্মার্ট বলতে সচরাচর আমরা যেটা বুঝি সেটা হলো আপনি আধুনিক যুগের কিছু পোশাক পরলেন আর আপনি স্মার্ট হলেন বিষয়টা সে রকম নয়। স্মার্ট হওয়া কিন্তু খুব কঠিন কিছু নয়। যে কেউ চাইলে স্মার্ট হতে পারবেন। শুধু থাকতে হবে আপনার কিছু শিক্ষাগত যোগ্যতা।শিক্ষাগত যোগ্যতা বলতে আপনাকে জ্ঞান এর দক্ষতা বাড়াতে হবে। আপনি কীভাবে চলবেন কিভাবে বলবেন। এটা সম্পূর্ণই আপনার ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে। প্রথম আপনাকে আপনার ব্যক্তিত্ব টা ঠিক করতে হবে। ভালো ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন তাহলে আপনি সবকিছুতেই স্মার্ট হয়ে যাবেন। লোকে আপনাকে স্মার্ট ভাববে। তাহলে ব্যক্তিত্বই হচ্ছে স্মার্টনেস এর প্রথম শর্ত।
আপনি ব্যক্তিত্বহীন কিন্তু পোশাক-পরিচ্ছদে অনেক স্মার্ট। লোকে আপনাকে নিয়ে হাসবে। আপনি শুধু শুধু নিজেকে কেন হাসির পাত্র বানাবেন। দ্বিতীয় টা হল-তাকে প্রচুর অধ্যাবসায় করতে হবে। আপনি যদি চর্চা না করেন তাহলে আপনার জানা জিনিস তো আপনি ভুলে যাবেন। জন্য চেষ্টা আবার ধরাশায়ী আপনাকে নিয়মিত করতে হবে।একটি ছুরিতে যতই তার থাকুক না কেন আপনি যদি সেটা এক জায়গায় ফেলে রাখেন তবে একদিন না একদিন সেটা জং ধরে যাবে’ সে ক্ষেত্রে যদি সেটাকে নিয়মিত ব্যবহার করেন তবে সেটা ভালো থাকবে। এমনটাই কিন্তু স্বাভাবিক। তাই নিজেকে চর্চা করুন। প্রচুর অধ্যাবসায়ী হন। আপনি ভালো ভালো বই পড়তে পারেন।
টিপস-এন্ড-ট্রিকস এগুলো পড়তে পারেন। এখন অনলাইনে অনেক ধরনের লাইফ স্টাইল সম্পর্কে লেখা থাকে, সেগুলো আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সে অনুযায়ী আপনি নিজের জীবনকে পরিচালিত করুন। দেখবেন এর সুফল টা ঠিক তখনই পাবেন।আপনি জানেনই না আপনার এই ছোটো ছোটো অনলাইন টিপস গুলো আপনাকে সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে দিবে। এ ধরনের টিপস আপনি আমাদের grathor.com সাইটে পাবেন। একটু লগিং করে সময় পেলে পড়বেন। পাল্টে যাবে আপনার জীবন, সকলের মাঝে আপনি হয়ে উঠবেন স্মার্ট।
তৃতীয়তঃ যে কথাটা আসে, যা বলবেন সত্যি কথা বলবেন, এবং খুব সাহস করে বলবেন। সত্যি কথা বলতে কিসের ভয়। দেখবেন আপনি যেখানে কথাগুলো বলেছেন সেখান থেকে চলে আসার পর, লোক গুলো আপনার আলোচনা করবে। লোকটি তো সত্যি কথাই বলেছে।দেখেন মজাটা এখানে আপনি বললেন সত্যি কথা কিন্তু প্রশংসাটা সত্যিই বচনের না হয় আপনারই হয়ে গেল। আপনি তাদের কাছে হয়ে গেলেন স্মার্ট। চতুর্থ নম্বর যেটা:____-সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। দেখবেন লোকজন পরিষ্কার পরিছন্নতা পছন্দ করে।নতুন কোন কিছু করা লাগবে না আপনি পুরাতন জিনিস পরিষ্কার হিসেবে পড়বেন। দেখবেন আপনার মাঝে একটু ব্যক্তিত্ব চলে আসবে। যেটা করে দিবে স্মার্ট আপনাকে।
পঞ্চমত:____কারো সাথে ঝগড়া করবেন না। কারো ঝগড়া মেটাতে ও যাবেন না। তাহলে আপনাকে যেকোন একটি পক্ষ নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি অন্য পক্ষের কাছে শত্রু হয়ে যাবেন। সুতরাং সবচেয়ে ভালো নীরব থাকা। যদি কেউ আপনার কাছে আসে আপনি পরামর্শ দিবেন। তাকি যথেষ্ট সম্মান করবেন। দেখবেন এক সময় আপনি তাদের কাছে বিশ্বাসী হয়ে যাবেন। হয়ে যাবে না স্মার্ট।
নাম্বার সিক্স:——– নিয়মিত চুলের শ্যাম্পু করুন। চুল সব সময় পরিষ্কার রাখুন। অবাক হলে একটু আঁচড়ে নিন।কারণ আপনি যখন মানুষের মাঝেই যাবেন তখন এই জিনিসগুলো মানুষ খেয়াল করে। হাতে সব সময় একটি ফোন রাখুন। পারলে যে কোন ব্র্যান্ডের একটি ঘড়ি পড়ুন। মুখে সব সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করে চলবেন। কথা বলার সময় হেসে হেসে কথা বলবেন। লোকের মাঝে হয়ে যাবেনে স্মার্ট।
সপ্তম তম:_______কঠিন কথাগুলো খুব সহজ নিয়ে বলার চেষ্টা করুন। এবং বলার সময় অন্যদের দিকে তাকিয়ে বলুন। চোখে চোখ রেখে কথা বলুন।এই জিনিসগুলো আপনি লাইফ স্কিল ডেভেলপমেন্ট এই সংক্রান্ত কিছু টিপস পড়ুন।দেখবেন আপনি খুব সহজেই অন্যের কাছে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারবেন।
অষ্টম তম:____প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কথা বলবেন না। কথা বলার চেয়ে কথা শোনার চেষ্টা করুন। কারন মানুষ বক্তার চেয়েছ তাকে পছন্দ করে সবচেয়ে বেশি। যেখানে শ্রোতা নেই সেখানে বক্তার কোন মূল্য নেই। অন্যকে মূল্যায়ন করুন। আপনি নিজেই মূল্যায়ন পাচ্ছেন। কথা বলার সময় মাঝেমাঝে প্রশ্ন করুন।দেখবেন সেই বক্তার কাছে আপনি প্রিয় শ্রোতা হয়ে যাবেন। তার কাছে আপনি হয়ে যাবেন স্মার্ট।
নবম তম:_____& আপনার বাজে অভ্যাস গুলো পরিহার করুন। যতটা সম্ভব গোপনে করুন। অন্যকে সম্মান করুন। প্রয়োজন হলে জিনিসগুলো হাইড করে রাখুন। কারণ দেখা গেলো আপনি এমন একজনের সামনে জিনিসগুলো করছেন যে লোকটি আপনাকে খুব ভালো ভাবতো। তার কাছে আপনার নিজের সম্মানটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।সে জন্য যতটা সম্ভব আপনার ব্যাট হবিট গুলো গোপনে গোপনে সচল রাখুন। দেখবেন আপনি লোকের মাঝে সব সময় ভালো হিসেবে চিহ্নিত হবেন। কেউ আপনাকে নেগেটিভ হিসেবে নেবে না পজিটিভ হিসেবে নেবে। আপনি হয়ে উঠবেন স্মার্ট।
দশম তম:______৳ ধূমপান পরিত্যাগ করুন।ধূমপান পরিত্যাগ করলে আপনি 100% স্মার্ট হয়ে যাবেন। কারণ যারা ধূমপান করে তাদেরকে মানুষ নেগেটিভ চোখে দেখে। ধূমপানের কারণে আপনার চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে। আপনার মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হবে। আপনাকে সচেতন ব্যক্তি হিসেবে মনে হবে না। মানুষের মাঝে নেগেটিভ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হয়ে যাবেন। যতটা সম্ভব ধূমপানকে এড়িয়ে চলুন। যেখানে ধূমপানের উৎসব চলছে সেখান থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। দেখবেন এক সময় ওই লোক গুলোই আপনাকে সম্মান করছে। আপনাকে দেখে তারা নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে। মানে হচ্ছে তারা আপনাকে সম্মান দিচ্ছে। আপনি সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হচ্ছেন। আপনি মানুষের মাঝে পরিচিত হয়ে উঠছেন স্মার্ট মানুষ হিসেবে।
আজ এতটুকুই পরেরবার বিস্তারিত আরও অনেক লেখা লিখব।