“দাম্পত্য জীবন ভালবাসার সেতুবন্ধন”

পৃথিবীর উৎকৃষ্টতর সম্পর্ক গুলোর মধ্যে দাম্পত্য জীবন ভালবাসার সেতুবন্ধন, যা সর্বোৎকৃষ্ট সম্পর্কের পবিত্র ঝুলন শোভা স্বরূ। বিবাহ নামক সম্পর্কেের সুদীর্ঘ সুতো সুঁইে গেঁথে নারী পুরুষ দুজন দুজনের দুটি জীবন ধারা একটি গভীর রহস্যময় সম্পর্কের ধারা রচনা করে। ভালবাসার অমিয় এ সম্পর্কের ঝুলনে শোভায় পায় কেবল প্রেমময় ভালোবাসা।

যে “ভালোবাসা বিচ্ছেদের স্বপ্ন দেখে না।কারণ ভালোবাসার কোনো বিচ্ছেদ নেই, যদি বিচ্ছেদ হয় সে কেবল মিথ্যে মিথ্যে অভিনয়ে গড়া সম্পর্ক গুলোর।”
নারী পুরুষের দাম্পত্য জীবন একটি স্বপুস্পক উদ্ভিদের সাথে তুলনা করে বলা যায় যে, মানব মানবীর এ দাম্পত্যউদ্ভিদ এর সবচেয়ে সুন্দর স্বপ্ন থাকে এবং তার থেকে জীবনের পর্বে পর্বে সুখের শাখ,কান্ড, নতুন নতুন কুঁড়ি মুকুল এবং ভালবাসার প্রস্ফুটিত ফল। ভালোবাসার মানব প্রকৃতির দাম্পত্যউদ্ভিদ এ উদ্ভিদ হবে চরমভাবে শক্তিশালী। কারণ সে জ্ঞান বুদ্ধিদীপ্ত, যে কোন প্রতিকুলতা ও ঝড় বাদল মোকাবিলা করতে জানে।

ক্ষমা সহিষ্ণু মানসিকতা যার আছে,সে বিব্রত না হয়ে ধৈর্যের বাতাসে বাঁকতে পারে, কোন ডাল না ভেঙে পরম বন্ধনে দৃঢ় থেকে । তবে ভালোবাসা যখন এ হাসি খুশির সীমাবদ্ধতার জালে আটকে পরে তখন ভালোবাসার বিপরীত সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত হয় বিয়োগ ব্যথার মর্মান্তিক মর্মবাণী। ভালোবাসা নামে ছলচাতুরি, মিথ্যে মায়ার অভিনব অভিনয় হয় তখন আকস্মিক অপশক্তিধর হারিকেন এই গাছটি উপড়ে ফেলতে পরিচালনা করে এবং এটি ধ্বংস হয়ে যায়।

আর সে কে এই হারিকেন? নিশ্চয়ই সে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের অমানিশার ঘনকালো মেঘ, ঈর্ষার পরায়ণ বৃষ্টি, কথার শিলাবৃষ্টি, সম্পর্ক নাশকতার যৌতুক, অবিচার, ব্যভিচার, যে কারণে সৃষ্টিকর্তার লানৎ অবর্তীণ হয়।
অবজ্ঞা আর ভৎসনা তিরস্কারের তুষার, উগ্রতা ও একঘেয়েমি মনোভাব, হিংসা,কলহ, বিবাদ, পরোকিয়া প্রভৃতি পূর্ণাঙ্গ দাম্পত্য জীবন ব্যবস্থার মূলে ধ্বংসাত্মক কুঠাঘাতে সুখকে নস্যাৎ করে দেয়।

অথচ পূর্ণাঙ্গ দাম্পত্য জীবন ব্যবস্থার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো স্বামী স্ত্রী পরস্পরে বিনয় নম্রতা ও শ্রদ্ধাবোধ সহকারে যত্নশীল হওয়া এবং একে অপরকে সন্তুষ্ট ও খুশি রাখা। কেননা তাদের ফুল কুড়ি মুকুল সাদৃশ্য সন্তান সন্ততি পিতা মাতার অন্ধ অনুসরণ ও অনুকরণ করে।

পিতা মাতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট তথা মানবীয় গুণাবলী যত উন্নত হবে সন্তান সন্ততি ও ততো বড় উন্নত ও পবিত্র চরিত্র মাধুর্যতায় প্রস্ফুটিত হবে। তিক্ত হলেও সত্য যে, আজকে ভালোবাসা দুর্বিষহ প্রয়! নিতান্তই ধর্ম বিরোধী সমাজদ্রোহী ও অসমাজিক কার্যকলাপে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ করে চলেছে। যেটি অমানবিক এবং পাশবিক অভিশপ্ততার বিশেষ একধরনের ভাইরাস। এজন্য আবার কেউ কেউ বলে থাকেন -“ভালবাসা যা দেয়, তার চেয়ে বেশি কেড়ে নেয়”।

“খুশবু মম শুনি”
মুহা.কবির হোসেন

রঙ লালে ফুল কুড়ি
ঢঙ জানে না করি,
সঙ্গ পালে ভুল সারি
ভঙ্গ মনে তারি!

গন্ধ রূপে সঙ্গো পণে
তরু মন্ত্র জনে,
ফুল্গ ঝোপে ছন্দ মনে
মরু সন্ত রণে।

স্বপ্ন তারে গগন ঘরে
পুষ্প সম গুণী,
ফুটব ধারে স্মরণ করে
খুশবু মম শুনি।

গুণ জ্ঞানে প্রভু রঙে
ফুটবো আলো ফুল,
জন মনে প্রেম সঙ্গে
টুটবো কালো অমূল।

পূর্ণ চাঁদে জ্যোতি যেন
আমা হতে দে আলো,
ধন্য তাতে সতত মন
মহা জগতে নে ভালো।

“জীবন বাহন ফোন “

মুহা.কবির হোসেন

সময়োপযোগী জীবন বাহন ফোন
গুরুত্বপূর্ণ উপকারী উপকরণ,
সংবেদনশীল ফোনটি আমার মন
নিত্য সঙ্গী বলেই প্রয়োজন।

মিটায় জরুরত চিত্ত বিনোদন
শারীরিক মানসিক দিয়ে যোগান
অনুভূতিশীল লাগে এই ফোনটি
আপন থেকে ও আপন জন।

জীবন চাহিদার মৌলিক উপাদান
বলবো না বিশেষ সৌখিন,
ধারা পুত্র পরিবার প্রিয়জন
সে সবে ফোন অশেষ প্রয়োজন।

কারণ ফোনটি টেকসই সম্পর্কের
পরম সম্পর্কের সেতু বান্ধব।
যুগ সন্ধিক্ষণের প্রেক্ষাপটে এটির
জীবন অনুসঙ্গে যাদুকরী প্রভাব।

সময়ের চোখে জীবন মূল্যবান
জীবন দেখে সময়ের শান,
যোগাযোগ প্রাযুক্তির ইন্টারনেট ফোন
অবিস্মরণীয় এই যুগের মূল্যবান।

” বিনয়ের বিনিময়ে হয় বিনয়, নয়তো নিরবতা!তাঁর জয় আছে সর্বসময়। “

Related Posts

17 Comments

মন্তব্য করুন