দেখে নিন ভাইরাস টিকা তৈরি করার ইতিহাস

মানুষের যতরকম রোগ হয় , আজকালকার ডাক্তারেরা বলেন , তার সবগুলিই অতি ক্ষুদ্র জীবাণুর দ্বারা হয় । তবে এই জীবাণুর আবিষ্কার এবং তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যে টিকা দেওয়া হয় তার একটা সুন্দর ইতিহাস আছে । চলূন জেনে নেই ইতিহাসটা..
প্রায় ৯৪ বৎসর আগে পাস্তরের জন্ম হয়।অতি অল্প বয়স হতেই শিক্ষকদের মুখে তার প্রশংসা শুনা যায়। সে সময়কার বড় বড় বৈঙ্গানিক দের তিনি বিঙ্গান শিখিয়েছেন এবং সেই সময় হইতেই রসায়নবিদ্যায় তার নাম শুনা গিয়েছিল।৪৫ বৎসর বয়সে তখন তিনি অধ্যাপক নিযুক্ত হয়ে প্যারিসে আসেন।
তখন লোকে তাকে খুব বড় রাসায়নিক পন্ডিত হিসেবে জানত। কিন্তু দেখতে দেখতে তার চোখ পরলো আর একটা ব্যাপারে_ জিনিস পচে কেন? এই বেপার নিয়ে খুব ভাবতে লাগলেন। তার এতো বেশি বুদ্ধি ছিলো যে তিনি চেষ্টা করলে সব করতে পারতেন। সবাই ভাবতেন বস্তু নিজে নিজেই পচে যায়। কিন্তু তিনি বুঝালেন সব কিছুই জীবানু দিয়ে হয়। তিনি আরো দেখালেন গরম লাগিয়ে জীবানু মারা যায়।
পাস্তুর যদি জীবানু তারিয়ে জিনিস বাচানোর সংকেত না দিতেন তাহলে এখন যে এতো খাবার সংক্ষন করা হয় তা হতো না।
তখন খেয়ো জ্বরে দেশের গরু ছাগল মরতে লাগলো। তাই দেখে তিনি জর দুর করার জন্ন চেষ্টা করতে লাগ্লেন। খেও জ্বরের জিবানু সংগ্রহ করে নানান পরিক্ষা করতে লাগলেন। এর ফলে তিনি চিকিৎসা পদ্ধতি আবিস্কার করলেন।
তিনি বল্লেন রোগের বীজকে কাহিল করে টিকা দিলে রোগ সেরে যাবে।যার রোগ হয়েছে তার দেহ থেকে জীবানু নিয়ে সেগুলো কে সাবধানে বারতে দিয়ে তারপর অন্য প্রানির দেহে সেই জিবানুর সাহায্যে রোগ প্রবেশ করাতে হবে।এই প্রানিটি যখন রুগ্ন হবে এবং দেহে লক্ষ লক্ষ জীবানু দেখা দেবে তখন তার দেহ থেকে টিকার বীজ পাওয়া যাবে। জলাতংক রোগ এ-র জীবানু এত ছোট যে অনুবিক্ষন যণ্ত্রেও দেখা যায় না।
কিন্তু পাস্তুর বল্লেন দেখা যাক আর নাই যাক জীবানু আছেই।এখন তার সেই চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরন করেই টিকা তৈরি করা হয়।চারিদিকে এতো রোগের এতো টিকা তৈরি হচ্ছে তার মুলে রয়েছে পাস্তুর।
বর্তমানে সব থেকে বেশি ক্ষতি করছে যে ভাইরাস তা হলো করোনা ভাইরাস। দিন দিন এর সংক্রমণ বেরেই চলছে। মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না। আমরা জানি এই রোগ এর টিকা তৈরি হবেই ইনসাল্লাহ।এ-র মুলে থাকবেন পাস্তুর।
পাস্তুরকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল “তুমি সারাজীবন ধরে কি দেখলে এবং কি শিখলে? ” পাস্তুর বললেন “দেখলাম,এ জগতের বেপারে সব কিছুই অাশ্চর্য, সকল কিছুই অলৌকিক।

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন