দেশেই তৈরি হল করোনা ধ্বংসকারী কাপড় কতটা যৌক্তিক?

দেশেই তৈরি হল করোনা ধ্বংসকারী কাপড় কতটা যৌক্তিক :

বিশ্বে করোনাভাইরাস এর প্রভাবে অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে হয়ে গেছে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে পাবোনা ভাইরাস নির্মূল এর জন্য ভ্যাকসিন তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে দিনের পর দিন দুপুর নিচ্ছেনা 100 শতাংশ সফলতা। তার মধ্যেই দেশের এক প্রতিষ্ঠান সুখবর দিল যে তারা করোনা ভাইরাস ধ্বংসকারী কাপড় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। যে কাপড় পরিধান করলে শরীরের ওপর যদি কোনো কারণে ভাইরাসের জীবাণু এসে পড়ে তবে তা দুই মিনিটের মধ্যে নির্মল করে দিবে বলে জানিয়েছে সে কাপড় তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। যদি সত্যিই এমনটা হয় তবে সেটা বাংলাদেশীদের জন্য একটা গর্বের বিষয় কারণ অন্য দেশে এ ধরনের কাপড় এখনো পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যায়নি। আর এই কাপড় তৈরি কৃত প্রতিষ্ঠান এর নাম হল যাবে এন্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড কোম্পানি।
এছাড়া কাপড় থেকে 20 থেকে 30 বাৱ দেওয়ার পরও এটি ভাইরাস নির্মূল এর সক্রিয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আর আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাজারে অনলাইনের মাধ্যমে ছাড়বে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে সকল ক্রেতা এ কাপড় টি কিনতে পারবে অনলাইনে অর্ডার করে। শরীরের কোন প্রকার ক্ষতি ছাড়াই করোনা ভাইরাস নির্মূলে সক্ষম হবে। আর এই কাপড় উদ্ভাবনের পিছনে সুইজারল্যান্ড এর দুটি প্রতিষ্ঠান ও সহযোগিতা করেছে।
এই নিউজটি বিভিন্ন টিভি চ্যানেল সংবাদপত্রে দেখলেও এখনো পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে এটি আসলেই যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম সে সম্পর্কে কোন প্রমাণ দেওয়া হয়নি। আর এই প্রতিষ্ঠানটি করোনা ভাইরাস বলতে আসলে কোন ভাইরাস কে বোঝাচ্ছে সেটি কি কোভিট 19 নাকি অন্য কোন ভাইরাস? কারণ হচ্ছে করোনা ভাইরাস এর একটি গ্রুপ হল কোভিট 19। তাদের এই ধরনের বিজ্ঞাপন অনেকটা ডেটলের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী বিজ্ঞাপনের মতো মনে হয়েছে আমার। কারণ ডেটল এর পিছনে স্টিকারে লিখা রয়েছে এটা করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয় কিন্তু তারা এটা স্পষ্ট করেনি যে কোভিট 19 থেকে সুরক্ষা দিবে।
উল্লেখ্য যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাৱ মতে, যে কোন ধরনের সাবান দিয়ে অন্তত 20 সেকেন্ড ধরে হাত পরিষ্কার করলে করোনা ভাইরাসের জীবাণু মরে যাই বা ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। আর এই বিষয়টি কাজে লাগিয়ে সকলে দাবি করে করছে যে তাদের প্রোডাক্ট এর মাধ্যমে করনা ভাইরাস ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। আর তাই কোন রকমে প্রমাণের তোয়াক্কা না করে এই ধরনের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
তবে আমি এসব প্রতিষ্ঠান এর বিরুদ্ধ নয় যদি সত্যিই এইসব প্রোডাক্ট কাজ করে তবে অবশ্যই সেটা অনেক খুশির সংবাদ। আমরা সবাই চাই যে এই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে যত দ্রুত সম্ভব রেহাই পেতে।
তাই কোন বিস্তর গবেষণা ব্যতীত এই ধরনের সংবাদ প্রচার না করাটাই আমার কাছে যৌক্তিক হিসেবে মনে করি। ধন্যবাদ।

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন