ছোটবেলায় ছিলেন এক সর্বভুক খেলোয়াড়। সব খেলাই পছন্দ হত তার। সে ভবিষ্যতে কি হবে তাঁর সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণাই ছিল না। কিন্তু যখন থেকে এসে ক্রিকেট খেলতে শুরু করে মনের ভেতরে ক্রিকেটকেই সে জায়গা করে দেয়। সে বুঝতে পারে যে তার ক্রিকেটার হতে হবে। শুধু ক্রিকেটার হলে চলবে না একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার হতে হবে। ছোটবেলা থেকে ধোনির ভাব ধারনা এমন ছিল যে, সে যাই করতে চায় তাকে সেই বিষয়ে বিশ্বসেরা, সর্বশ্রেষ্ঠ হতেই হবে। স্থানীয় ক্রিকেট টিমের যোগদান করার মাধ্যমে ধোনির ক্রিকেট কেরিয়ার শুভ সূচনা শুরু হয়। তার অসাধারণ প্রতিভা তখন মানুষের কাছে একা একা ছড়িয়ে পরতে থাকলো। কিন্তু তখন সেটি ছিল খুবই ছোট। গণ্ডির মধ্যে সে যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছে সেই পরিবারে থেকে ক্রিকেটার হওয়ার যেন ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে আকাশ ছোঁয়ার পরিমাণ ইচ্ছা। সে বুঝতে পারে ক্রিকেটার হয়ে ওঠা কোন সহজ কোনো ব্যাপার নয়। সেজন্য সে ক্রিকেটের জন্য ঘর ছাড়ে। আঠারো বছর বয়স থেকে এসে তার বন্ধুর সাথে শেয়ার করে একটি গেস্ট হাউসে থাকত এবং স্থানীয় ক্লাবগুলোতে নিয়মিত প্র্যাকটিস করত। তখন সে ক্রিকেটের খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। সে এমন পর্যায়ে ছিল যে সেখান থেকে ক্রিকেট খেলে আয় করাও সম্ভব নয়। তাই তাকে দুই বছর ট্রেনের টিকিট বিক্রেতা হয়ে কাটাতে হয়েছে। বন্ধুর বাইকটি ধার করে তাকে যেতে হতো প্র্যাকটিসের জন্য। প্রায় 30 কিলোমিটার দূরে প্র্যাকটিস করতে যেতে হতো তাকে। তবে এত দারিদ্রতা ও কখনো ধোনিকে তার স্বপ্নের লক্ষ্য থেকে পিছপা করতে পারিনি। ক্রিকেটের প্রতি মনোযোগ বাড়তে থাকে তার কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়ের শুরু করেন তিনি যা তিনি জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নিজের প্রথম বিশ্বকাপ টাও নিজের মত শুরু করতে পারেননি তিনি। তার দল রাউন্ডের প্রথম থেকেই বাদ পড়ে যায়। এজন্য সাধারন জনগন ক্ষিপ্ত হয়ে ধোনির ঘর বাড়ির ওপর আক্রমণ চালায়। এজন্য তাকে অনেকদিন পুলিশি নিরাপত্তায় থাকতে হয়েছে। ভক্তদের এমন আচরণ তাকে ব্যাপকভাবে ব্যথিত করে। যার প্রভাব তার ক্যারিয়ারে গিয়ে পড়ে। সে সব সময় চাইত ত তার দলে কিছু একটা করে দেখাতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই তিনি ভারতের জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন্সি শুরু করেন। নিজের দেশের 124 কোটি ভক্তের দায়িত্ব তার হাতে। এমন পাহাড়সম অবস্থাতেও কিভাবে ঠান্ডা থাকা যায় তাই মূলত দেখিয়েছেন ধোনি। তারই ফলস্বরূপ তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি জয় করেন। একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে তাঁর দলের সবকটি ট্রফি জেতার গৌরব অর্জন করেন এমএস ধোনি। আজ তিনি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন হিসেবে পরিচিত। তার মোট অর্থের পরিমাণ 111 মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আপনাদের যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন এবং এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং আমাদের অন্য পোস্ট পড়ার জন্য আপনার আমন্ত্রণ রইল।
ধন্যবাদ…
ধোনির “ধোনি ” হয়ে উঠার কাহিনী
📢 Promoted post: বাংলায় আর্টিকেল লেখালেখি করে ইনকাম করতে চান?
Dhoni is a good cricketer
Vlo
Nice post
wonderful
nice post
❤️
Nice
Ok