আস্সালামুআলাইকুম। আজ আমি আপনাদের জাভাস্ক্রিপ্ট সম্পর্কে একটি বেসিক টিউটোরিয়াল এবং যথাযত গাইডলাইন দেব। আশা করি এই পোস্ট টি পড়ার পর আপনার জাভাস্ক্রিপ্ট নিয়ে আর দ্বিধায় পরতে হবেনা।
প্রথমেই আসি জাভাস্ক্রিপ্ট কি এবং এটি কেন শিখবো ?
জাভাস্ক্রিপ্ট হচ্ছে একটি ক্লায়েন্ট সাইড প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। এই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটি অন্যতম ল্যাঙ্গুয়েজ। এই ল্যাঙ্গুয়েজ কে ক্লায়েন্ট সাইড বলার কারণ এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেবহার করা হয় ইউজার্ এর ক্লায়েন্ট সাইড এ। অর্থাৎ একজন ব্যবহারকারী একটি ওয়েবসাইট এর যেই অংশ দেখতে পাই যেই অংশে জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও এখন জাভাস্ক্রিপ্ট অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রিতে তে ব্যবহার হচ্ছে। যেমন এটি দিয়ে এখন ক্রস প্লাটফর্ম মোবাইল এপ্লিকেশন তৈরি করা হচ্ছে এবং এটি দিয়ে ডেস্কটপ এপ্লিকেশন ও তৈরি করা হচ্ছে।
স্ট্যাক ওভারফ্লো (প্রোগ্রামারদের সবচেয়ে বড়ো কমিউনিটি ) ২০২0 এর সার্ভে মতে ডেভেলপার দের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্ট।
জাভাস্ক্রিপ্ট শিখার ধাপসমূহ
শুরুতেই একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর বেসিক জিনিস সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। যেমন: ভ্যারিয়েবল, ডাটা টাইপ, ফাঙ্কশন, লুপ, ক্লাস, অবজেক্ট, এরে ইত্যাদি। এসব বিষয় প্রায় সব ল্যাঙ্গুয়েজ এ একই , তাই একবার শিখলে আর শেখা লাগেনা।
এরপর জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে ওয়েব এ কি কি করা সম্ভব তা না ধারণা নিতে হবে , কারণ আমি মনে করি ডেভেলপমেন্ট এ যতক্ষণ কোনো এক জিনিসের প্রয়োজন মনে হবেনা ততক্ষন ওই জিনিসটা না শেখা। নাহয় দেখা যাবে ওই জিনিসটা শেখার পর ও যথেষ্ট ব্যবহার না করার ফলে ভুলে গেছি।
এরপর যেহেতো আমরা এইট ওয়েব এ ব্যবহার করবো তাই আমাদের ডোম ম্যানিপুলেশন সম্পর্কে ভালোভাবে শিখতে হবে এবং সাথে অসিনক্রোনাস প্রোগ্রামিং নিয়ে ভালো ভাবে ধারণা নিতে হবে।
এরপর আমরা জাভাস্ক্রিপ্ট এর নতুন ভার্সন গুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। একবার নতুন ভার্সন সম্পর্কে জানলে আপনি আর পুরোনো ভার্সন এ কোড লিখবেন না। মূলত নতুন ভার্সন এ আমরা আগে যেইভাবে কোড লিখেছি ওই নিয়ম তাকে অনেকটা সহজ করে দিয়েছে যাতে আমাদের প্রোগ্রামিং জীবনটা সহজ হয়। যেমন: নরমাল ফাঙ্কশন এর পরিবর্তে অ্যারো ফাঙ্কশন, ভার এর পরিবর্তে লেট্ এবং কনস্ট ইত্যাদি।
এরপর এপিআই নিয়ে কিভাবে কাজ করতে হয় এবং কিভাবে নেটওয়ার্ক রিকোয়েস্ট গুলো হ্যান্ডেল করবো, কিভাবে এরর গুলো হ্যান্ডেল করবো তা নিয়ে ভালো ভাবে ধারণা নিতে হবে। মূলত অসিনক্রোনাস প্রোগ্রামিং এই জায়গা টায় বেশি কাজে দিবে।
এরপর আসি কিছু অ্যাডভান্স টপিকস এর উপর, সেগুলো হলো: ইভেন্ট লুপ, প্রোটোটাইপ, কন্সট্রাক্ট ক্লাস, হইস্টিং, রেজেক্স ইত্যাদি।
এইগুলা যদিও আপনি সবসময় ব্যবহার করবেননা, কিন্তু এইগুলি আপনার কোড ডিবাগ করতে অনেক সাহায্য করবে।