নিজেই বদলে ফেলুন নিজের জীবন।

আয়নাতে নিজের মুখটা দেখেছিস ও কোথায় তুই কোথায়? কে দেবে আমাকে চাকরি? আরে এইসব কাজ আমার দারা সম্ভব না। সকালে ঘুম থেকে উঠা এবং এক্সারসাইজ  করা আমার দ্বারা হবে না আমি তো সকালে ঘুম থেকে উঠার জন্য জন্মায়ইনি।যদি সকালে উঠে আয়না দেখে মনে এসব চিন্তা মাথায় আসতে থাকে তাহলে যথারীতি দিনটা এভাবে ই কাটে। দ্যা ওয়ে ইউ থিংক দ্যা ওয়ে ইউ অ্যাক্ট।উদাহরণস্বরূপ কারো চেহারা দেখে যদি তাকে প্রথমেই চোর চোর মনে হয় তাহলে তার সাথে আমরা কি রকম ভাবে ব্যবহার করি এবং কাউকে দেখে যদি শুরুতেই ইনোসেন্ট এবং মহাত্মা গান্ধীর মতন মনে হয় তাহলে তার সাথে আমরা কিভাবে ব্যবহার করি।জরুরী নয় যে যার মুখ দেখে চোর চোর মনে হয় সে আসলেই চোর অথবা যাকে দেখে মহাত্মা গান্ধীর মত মনে হয় সে আসলেই তেমন। খেলাটা যে উল্টো হতে পারে সেটা আমরা ভেতর ভেতর সবাই জানি। কিন্তু তবুও মাথার মধ্যে যেমন কীটদষ্ট থাকে আমরা সেরকমই ব্যবহার করতে থাকি।এখন যদি আমি আছি পয়েন্টের কোথায় বলি যে কোন জিনিস যেটা আপনি পেতে চান কিন্তু পেতে অসুবিধে হচ্ছে এরকম ধরুন কারো সাথে রিলেশনশিপে আসার কথা অথবা পছন্দের চাকরি কথাই হোক, সিক্স প্যাক তৈরি করার কথা, এসব কিছুর পিছনে একটা মূল কারন হল আপনার একটা ভাবনা । যে ভাই আমার দ্বারা হবে না আমি এতটাও ভালো নেই। লুইস হে বলেন,”যদি আপনি আপনার এই ভাবনাটাকে বদলে নিতে পারেন তাহলে আপনি নিজে নিজে জীবনে কি কোন সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।”লসএঞ্জেলসের অধিবাসীদের লুইসের মা তার জন্মানোর কিছু বছরের মধ্যেই লুইস এর বাবার থেকে ডিভোর্স নিয়ে নেয়। আরেকটা নতুন বিয়ে করে নেয়, যেটা হয়তো তার লাইফের সবথেকে বড় ভুল ডিসিশন ছিল।নিজে সদ্ব্যবহার বসে থাকার সময় লুইসকে পাঁচ বছর বয়সেই তাদের প্রতিবেশী একজনের কাছ থেকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়। 15 বছর বয়সে তার সৎ বাবার কাছে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়।এসব অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার জন্য লুইস 15 বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং এক জায়গায় গিয়ে ওয়েট্রেসের কাজ করা শুরু করে। সেখানে এক বছর পর সে একটা বাচ্চা জন্ম দেয়। তখন তার কাছে এত টাকা পয়সা ছিল না যে সে বাচ্চার দেখাশোনা করতে পারে। তাই বাধ্য হয়ে সে নিজের বাচ্চাকে এক দম্পতি যারা বাচ্চা এডপ্ট নেওয়ার কথা ভাবছিলেন তাদের কাছে তুলে দেয়। তারপর লুইস শিকাগোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। এরপর সে কখনো তার বাচ্চার সাথে দেখা করেনি। এর কিছুদিন পর শিকাগোর থেকে নিউইয়র্ক এসে লুইস মডেলিং শুরু করেন। সেখানে এক হাইপ্রোফাইল ইংলিশ ম্যানের সাথে তার পরিচয় হয় যার তাকে খুব পছন্দ হয়ে যায় লুইস তার সাথে বিয়ে করে নেয়। 14 বছর পর ইংলিশ ম্যানের সাথে লুইস এর ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে লুইস চার্চ of religious সাইন্সে জয়েন করেন এবং সেখানে তিনি প্রথম এই কথা শুনেন আপনি আপনার জীবন পাল্টে দিতে পারেন শুধু মাত্র আপনার চিন্তাধারা বদলে। এবং হাস লুইস আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন লেখিকা লেকচারার এবং স্পিকার। এবং আজও উনি মানেন যে এই একটি বাক্য উনার জীবনটা বদলে দিয়েছে।
নিজের জীবন বদলানোর জন্য এরকম কিছু কিওয়ার্ড আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
১. নিজের উপার্জনে বিশ্বাসগুলোকে বদলানোর জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকা: যেটা আমরা মানি আজ নয়তো কাল আমরা সেটাতে ই পরিণত হই, এজন্য কোনো কিছু বিশ্বাস করার আগে ভালো করে শিওর হয়ে নেয়া উচিত যে সে কথাটা সত্যি কিনা। অনেকে ভাবেন যে আমি অলস আমার দারা সম্ভব না,তাদের উদ্দেশ্যে বলবো আপনি যদি সত্যি অনুষ্ঠান তাহলে আপনার দ্বারা কি রোজ 3-4 ঘন্টা করে রোদের মধ্যে দাড়িয়ে ক্রিকেট খেলা সম্ভব হতো? আবার অনেকে ভাবেন যে ঘুম থেকে সকালবেলা উঠানোর জন্য অসম্ভব,তাদের উদ্দেশ্যে বলব কিন্তু প্রথমেই সত্যিই আপনি কোন অসম্ভব হতো তাহলে আপনারা এক্সামের দিনগুলোতে কিভাবে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতেন। ছোটবেলা আমাদের কোন অজানা অচেনা লোকের উপর বিশ্বাস করা উচিত না কিন্তু আমরা যত বড় হতে থাকি প্রতিদিনই আমাদের কোন না কোন অজানা অচেনা লোকের উপর বিশ্বাস করতে হয়। দাঁড়া কি বুঝা যায় কোন বিশেষ পদ্ধতিতে একদম ঠিক ছিল কিন্তু এটা এখন সম্পূর্ণ ভুল। ডিজে পুরোনো বিশ্বাসগুলোকে বদলে ফেলা নিজের জীবনকে বদলানোর জন্য অনেক বড় একটি স্কিল। বিশ্বাসগুলোকে বদলে সেগুলো কি কি শপিং করে একটি মেন্টাল হাউস ক্লিনিং এর মতন।আর এই সব কিছুর শুরু হবে ছোট্ট একটি ইচ্ছা থেকে, হ্যাঁ আমি বদলাতে  চাই।
২. নিজেকে বা অন্যকে ক্ষমা করে দেয়া: অনেক মানুষ নিজের অতীতকে আলো করে নিজের এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে। সাবানের বর্তমানটাকে উপভোগ করতে পারে না কারণ অতীতে তাদের সাথে কিছু খারাপ হয়েছিল। যেমন লুইস ও তার ভয়াবহ ছোটবেলার জন্য নিজের মা-বাবাকে ক্ষমা করতে পারছিলেন না।এরপর তিনি তার মা বাবার ছোটবেলার ব্যাপারে খোঁজ নেয় এবং খুব সহজেই তার মা-বাবাকে ক্ষমা করে দিতে সক্ষম হয়। তাই ক্ষমা করতে শিখুন।
৩. প্রতিদিন একটি দুইটি করে পজিটিভিটি বাড়িয়ে তুলুন: নিজের লাইফে পজিটিভ চেঞ্জ অানা অনেকটা বীজ বোনার মতন। আপনাকে দেখভাল করতে থাকতে হয় যাতে এটা পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পায়। আমাদের মনোযোগ জিনিসটার উপরে থাকে সে জিনিসটা ততবেশি করতে থাকে। এজন্য সব সময় আমাদের পজিটিভ জিনিসের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত।কি করতে চাই পাখি পেতে চাই এগুলো বাদ দিয়ে কি করবা এখন আমাদের কাছে কি কি আছে সেগুলোর উপর আমাদের বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। যা কিছু করার দরকার তা নিজের মনে নিজেকে প্রেজেন্ট Tense এ বলতে হবে। যেমন আমার খুশি থাকা উচিত এর বদলে আমি খুব খুশি এটা বলতে হবে।
এরকম ছোট ছোট  পরিবর্তনই পারে আপনার জীবন কে বদলে দিতে।
তো বন্ধুরা এই ছিল আপনাদের জন্য ছোট্ট একটি লাইফ টিপস। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।কেমন লেগেছে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন