সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম। আজ নতুন আরো একটি উপস্থাপনা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। বাস্তব জীবনে লালিত কিছু অবস্থা আপনাদের সামনে তুলে ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা করব এই লেখনীতে। এই ধরণীতে মানুষই পারে তার স্বীয় জীবনকে নিজের কর্ম দ্বারা প্রভাবিত করতে। পৃথিবীতে এক এক মানুষের জীবন যাপনের ধরন একেক রকম হয়। কারণ পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রকৃতির বা বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মানুষ রয়েছে। পৃথিবীর এক এক মানুষ যেমন এক এক রকম ঠিক তেমনি তাদের অভ্যাস, আচরণও এক এক রকম।
কিছু কিছু কাজ যেটি কোন কোন সময় অর্জন করতে হয় আবার কোনো কোনো সময় বর্জনও করতে হয়। তাইতো কবি বলেছেন “অর্জনে বর্জনে উঠ তুমি গর্জনে’- ভেবে দেখো পেয়েছো কি তোমারি এ জীবনে”
বাস্তব জীবনে কিছু কিছু কাজ অর্জন করা যেমন প্রয়োজন তেমনি কিছু কাজ বর্জন করারও প্রয়োজন রয়েছে। যখন দেখবেন নিজে নির্জনে থাকলে জীবনের সমূহ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তখন আপনাকে নির্জনতা পরিহার করে কলহলপূর্ণ পরিবেশে জীবন যাপন করা উচিত। পক্ষান্তরে কিছু কিছু কাজ যদি জনসম্মুক্ষে না করে নির্জনে করলে ভালো বা আপনার জন্য মঙ্গল হয় তবে তাই করুন। যদি বাস্তব জীবনে ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে, জীবনে সুখী হওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে কোলাহলকে পরিহার করে নির্জনে কাজটি সম্পাদন করুন।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ধর্মীয় মূল্যবোধ মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে দূরে রাখে, নিজকে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করে। আচরণকে পরিবর্তন করে, আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে, বিবেককে সজাগ করে তুলে। যদি নির্জনে থেকে আবেগ কে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তথা বিবেকের কাছে পরাজয় বরণ করে নির্জনে পাপ কাজে লিপ্ত হবার সম্ভাবনা থাকে তাহলে খানিকটা কষ্ট স্বীকার নির্জন স্থান থেকে সরগম স্থানে প্রস্থান করুন। দেখবেন কি অনাবিল তৃপ্তি আপনি পেয়েছেন, আরো দেখবেন ঐ পাপকাজের প্রতি ঘৃণা চলে এসেছে। মহান আল্লাহ্ তখন ঐ পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য আপনার মনে তার ভালোবাসা বা মহব্বতকে পুঞ্জিভূত করে দিবেন।
এ এক পরিক্ষীত অভিজ্ঞতা যেটি বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।আশা করি সফলকাম হবেন। অপরদিকে কিছু কাজ যেমন মহান আল্লাহর আরাধনা, তওবা-ইস্তেগফার বা নফল ইবাদাত, দান- সদকা, অসহায় কে সহায়তা করা ইত্যাদি নির্জনে করার চেষ্টা করুন। দেখবেন ইবাদতের সময় একাগ্রতা চলে এসেছে। রিয়া বা লোক দেখানো মনোভাব দূর হয়ে গিয়েছে। একই সাথে অহংকারও জীবন থেকে দূরে সরে গিয়েছে।
তাই আসুন আমাদের কাজকে অবস্থা বা পরিবেশভেদে বুঝে শুনে সম্পাদন করার চেষ্টা করি। স্বীয় বিবেক কে জাগ্রত করে, অপ্রত্যাশিত আবেগকে পরাভূত করে মানব জীবন পরিচালনা করার সর্বাত্বক চেষ্টা অব্যহত রাখি। তাহলে জীবন সুন্দর থাকবে, সুন্দর থাকবে আমাদের চরিত্র ও নৈতিকতা।