প্রতিটা শিশুই আমাদের সম্পদ।আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।তাই প্রতিটা শিশুর প্রতি আমাদের সমানভাবে যত্নবান হতে হবে আমাদের সবাইকে।কারণ একটি শিশুর মানসিক মূল্যবোধ গড়ে উঠার প্রথম স্থান হলো পরিবার। তাই তার সঠিক মূল্যবোধ গড়ে তুলার জন্য পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ পরিবার মানুষকে গড়ে তোলার কারিগর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি শিক্ষার্থী এতটা সময় অতিবাহিত করে না যতটা সময় পরিবারের সাথে থাকে। যদি শিশুকে ছোটকাল থেকেই নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা যদি পরিবার থেকে প্রদান করা হয়ে থাকে তাহলে সে ভবিষ্যতের যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। বর্তমানে টিভি,সোশ্যাল মিডিয়াতে কমবেশি সকলেরই প্রদচারণ রয়েছে। এসকল মাধ্যমে হত্যা,নৈরাজ্য, খুন,ডাকাতি,এক্সিডেন্ট, ধর্ষন মহামারী আকারে ধারণ করছে। এই সকল জিনিসের পেছনে আমি বলবো শুধু একটি জিনিসের অভাব। তা হলো পরিবারের সঠিক শিক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধের অভাব। তাই এক্ষেত্রে আমাদের শিশুদের জন্য সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আমরা হয়তো ভারি ছোটবেলায় সে কিছু বুঝছে না কিন্তু তখন থেকে তার মাথায় এসকল জিনিসের প্রভাব পড়ে। যখন একটি শিশুর চারপাশের পরিবেশ অসুস্থ থাকবে তখন সেই শিশুটি আজ অথবা কাল ঠিকই অসুস্থ হয়ে যাবে। তাই বুঝলেনতো একটি শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশে পরিবারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি শিশু প্রথম কিন্তু তার পরিবারের উপর নির্ভরশীল। তাই তার সুস্থ এবং সঠিক শিক্ষাদান করা পরিবারের কিন্তু প্রধান দায়িত্ব এবং কর্তব্য। পরিবারকে ছোটবেলা থেকে তাকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তাকে কখনো খারাপ কোন ধরণের নৈতিক কাজে উৎসাহিত করবেন না। মনে রাখবেন শিশুরা আজ যা দেখছে তাই সে শিখবে। কখনো তার সামনে মিথ্যা কথা বলবেন না মিথ্যা বললেও তার মাঝে ছোটবেলা থেকে অপরাধ প্রবণতা তৈরি হবে যা ভবিষ্যতে তাকে খারাপ কাজের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। এখন আপনি বলতেও পারেন সুস্থ পরিবেশ বলতে কি বুঝাচ্ছি আমি? একটা উদাহরণ দিচ্ছি তাহলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে আপনাদের সামনে। একবার ভাবুনতো যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ সমূহ থেকে যুদ্ধ শেষ হচ্চে না কেন?তার একটাই কারণ বড়রা যে পথে যাচ্ছে শিশুরা তাদের অনুসরণ করছে। একসময় তারাই বড় হয়ে এসকল কাজে নিজেদের জড়িত করছে।একটা শিশুর বৃদ্ধির সঠিক এবং সুস্থ পরিবেশ সেই সকল দেশসমূহে বিদ্যমান নেই তাই তারাই নিজেরাই নিজেদের মারছে। আর এটাই হলো অসুস্থ পরিবেশ। এখন নিশ্চয় বুঝে গিয়েছেন সুস্থ পরিবেশ বলতে কি বুঝিয়েছি? তাই শিশু জন্মদানের পর যে আপনার দায়িত্ব শেষ তা মনে করবেন না।বরং শিশু জন্মের পর তার আশেপাশের সুস্থ সঠিক এবং সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব। সবসময় তার খোঁজখবর নিবেন।সে কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মিশছে। তাই সকল জিনিস কিন্তু বোঝাচ্ছে যে তার ভবিষ্যৎ জীবন কেমন হবে? তার শিক্ষার অংশ এটি। তাই আজ এখন থেকে নিজের শিশুর প্রতি আরো বেশি যত্নবান হউন।
ক্যালকুলেটরের চেয়ে স্প্রেডশিট প্রােগ্রামে কাজ করে সুবিধাজনক ।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ আসসালামুয়ালাইকুম আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই ও বোনেরা আপনারা আশা করি আপনারা সবাই ভাল...