আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে আছেন ভালো আছেন।আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সবসময়।
চলে এসেছে পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমূহ।তাই আমি নিয়ে এসেছি এসাইনমেন্ট সিরিজ।যেখানে সকল ক্লাসের পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট পাওয়া যাবে উত্তর সহ।শিক্ষার্থীদের যাতে এসাইনমেন্ট এর উত্তর খুজে সময় নষ্ট না করতে হয় সেই জন্য এই উদ্যোগ। এসাইনমেন্ট সিরিজের ধারাবাহিকতায় আমি ষষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়ে এসেছি পঞ্চম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট নিয়ে।আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।
#ষষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্টঃ
১.উত্তরঃহযরত উমর(রাঃ) এর খেলাফত থেকে আমরা অনেক শিক্ষা লাভ করতে পারি।
যেমনঃ
হয়রত মুহাম্মদ(সাঃ)এর আদর্শঃসমাজে ন্যায় বিচার ও সু শাসন প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে হযরত উমর (রাঃ) এর শাসন ব্যবস্থায় হয়রত মোহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শকে অনুসরণ করতেন।বিচারের মঞ্চে সবাই সমান যদিও সে অন্য ধর্মের হোক না কেন।
২.ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাঃহযরত উমর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ছিলেন খুব কঠোর। মদ্যপানের অপরাধে তিনি নিজ পুত্র আবু শামাকে শাস্তি প্রদানের মধ্য দিয় প্রমাণ করেছিলেন আইনের চোখে সবাই সমান।
৩.কোমলমতি হৃদয়ঃহযরত উমর(রাঃ)ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যেমন কঠোর ছিলেন অন্যদিকে তার হৃদয় ছিলো কোমল।প্রজাদের অবস্থা দেখার জন্য তিনি রাতের বেলা একাকি হাটতেন।
৪. কর্তব্য পরায়ণঃহয়রত উমর (রাঃ) ছিলেন একজন কর্তব্য পরায়ণ শাসক।তিনি নিজ কাধে খাদ্যসামগ্রী বহন করে প্রজাদের মধ্যে পৌছে দিতেন।
৫. নির্মাতাঃ হয়রত উমর (রাঃ) শুধু একজন শাসক ছিলেন না বরং একজন নির্মাতা ও ছিলেন।তিনি অসংখ্য মসজিদ,বিদ্যালয়, সড়ক,
সেতু,হাসপাতাল নির্মান করেছিলেন।
২.উত্তরঃইসলামের ২য় খলিফা উমর (রাঃ)একদিকে যেমন ছিলেন কঠোর অন্যদিএক ছিলেন কোমল হৃদয়ের অধিকারী। তিনি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন।তিনি ছিলেন হয়রত মোহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শে আদর্শিত একজন মহাপুরুষ।প্রজাহিতৈষী হিসেবে তিনি ছিলেন একজন মূর্ত প্রতীক।
অর্ধ পৃথিবী শাসন করা ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হয়রত উমর(রাঃ) খুব অনারম্ভর এবং সহজ সরল জীবনযাপন করতেন।খেজুর পাতায় ছিলো তার আসন ছিল না তার কোন ধরণের দেহরক্ষী।জাগতিক লোভ লালসা কিংবা জাকজমক তিনি কখনো আসক্ত হতেন না।তার মধ্যে ছিলো কঠোরতা এবং কোমলতা উভয়ের সংমিশ্রণ।শাসক হয়েও তিনি প্রজাদের অবস্থা দেখার জন্য রাতের আধারে বের হতেন।
খাদ্য সামগ্রী নিজ হাতে বহন করে তা প্রজাদের নিকট পাঠিয়ে দিতেন।তার শাসনামলে রাজ্যে কোন অভাব ছিল না।
বায়তুলমাল থেকে সেই পরিমান কাপড় গ্রহণ করতেন যে পরিমাণ কাপড় বরাদ্ধ ছিল।কৃষি কাজে ব্যাপক উন্নয়নের জন্য তিনি খাল কনন করেন।এত্ত বড় শাসক হয়েও তার মধ্যে কোন ধরণের বিন্দুমাত্র অহংকার ছিল না।তিনি প্রজাদের উন্নয়নে অনেক মজজিদ,রাস্তা,সেতু নির্মান করেছিলেন।
সুতরাং আমরা বলতে পারি প্রজাহিতৈষী হিসেবে হযরত উমর (রাঃ) একজন শাসক এর মূর্ত প্রতীক ছিলেন খলিফা উমর।
সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন