আসসালামু আলাইকুম পাঠকবর্গ। আশাকরি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আজ এই পোষ্টটির মাধ্যমে আপনাদের পিক্সার্টের বিভিন্ন টুলস সমন্ধ্যে বলবো। মোবাইল ফটো ইডিটিং এর সবচেয়ে বেষ্ট সফটওয়্যার পিক্সার্ট। আপনার ফটোকে নেক্সট লেভেল লুক দিতে সক্ষম এই এপ। এই এপের মাধ্যমে আপনি আপনার ফটোর ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ, বিভিন্ন লোগো এড, বিভিন্ন সাইন এড, বিভিন্ন ম্যাটেরিয়াল এড থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু করতে পারবেন। পিক্সার্টে মোট ইডিটিং টুল রয়েছে ১৭ টা। আজ আপনাদের পিক্সার্টের বিভিন্ন কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুলস স্বমন্ধ্যে বলবো। যেসব টুলস ব্যাবহারের মাধ্যমে আপনি পিক্সার্ট ব্যাবহার করে ভালো ফটো ইডিট করতে সক্ষম হবেন।
১. টুলস : এই টুলস নামক অপশনটায় বিভিন্ন আলাদা আলাদা ইডিটিং টুল পাবেন। যেমন: ক্রপ, ফ্রি ক্রপ, শেপ ক্রপ, ডিস্প্রেশন, ক্লোন, রিমুভ, স্ট্রেচ, মোশান, সিলেকশন, কার্ভস, এডজাস্ট, ইনহ্যান্স, টিট শিফট, প্রাস্পেক্টিভ, রিসাইজ, ফ্লিপ রোটেট। এর মধ্যে ক্রপ,ফ্রি ক্রপ, শেপ ক্রপ এবং এডজাস্ট বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী টুলস। ক্রপ দিয়ে ছবির সাইজ ঠিক করতে পারবেন। ফ্রি ক্রপ দিয়ে মুলত ছবির নির্ধারিত অংশ বাছাই করতে পারবেন। শেপ ক্রপ দিয়ে ছবিকে বৃত্তাকার, চতুর্ভুজাকার, ত্রিভুজাকার এবং আরো বিভিন্ন শেপে রুপান্তর করতে পারবেন এই যেমন লাভ,স্টার এমন আকর্ষণীয় কিছু শেপ। এডজাস্ট টুল দিয়ে ফটোর ব্রাইটনেস,কন্ট্রাস্ট, স্যাচুরেসন, হাইলাইট, শ্যাডো কমাতে বাড়াতে পারবেন।
২. ইফেক্টস : এই টুলস দিয়ে আপনি ফটোর লুক চেঞ্জ করতে পারবেন। এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের প্রিসেট রয়েছে যা এপ্লাই করে আপনি ফটোর লুকস নিয়ে যেতে পারবেন নেক্সট লেভেলে। এমনকি এই টুলস দিয়ে ফটোর কালার গ্রেডিং বা কালার চেঞ্জ ও করতে পারবেন। এরজন্য ইফেক্টস এ গিয়ে কালার অপশনে গিয়ে কালার রিপ্লেস বাছাই করতে হবে তারপর একটা প্লাস আইকন সহ বড় সার্কেস আসবে ওই সার্কেলটাকে ফটোর যে কালারের কালার রিপ্লেস করবেন তার উপরে রাখুন তারপর “Replace Hue” থেকে কালার স্টিক স্লাইড করে রঙ পছন্দ করে। কালার গ্রেডিং করুন আপনার ফটোর!
৩. বিউটি : এই অপশনের মাধ্যমে আপনি স্কিনটোন ফর্সা করতে পারবেন, স্কিনের স্মুথনেস বাড়াতে পারবেন, স্কিনের ব্রন মেছতা পরিষ্কার করতে পারবেন, চুলের রঙ পরিবর্তন করতে পারবেন, চোখের রঙ পরিবর্তন করতে পারবেন, দাতের হলদেটে ভাব পরিষ্কার করতে পারবেন। এই সব কাজগুলোই করতে পারবেন ব্রাশ ঘষে ঘষে তবে চোখের রঙ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সার্কেল বসাতে হবে চোখের আকার অনুযায়ী।
৪. স্টিকার : এই টুলসের মাধ্যমে ছবিতে হরেক রকমের আকর্ষনীয় এবং জোশ জোশ স্টিকার বসাতে পারবেন। যার ফলে আপনার ফটো আরো এক্সপ্রেসিভ করে তুলতে পারবেন।
৫. কাট আউট : এই টুলসের মাধ্যমে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করতে পারবেন অতি সহজেই। শুধু অবজেকেটের চারপাশে মার্ক করবেন ব্রাশ ঘুরিয়ে। অবজেক্ট মানে হলো আপনার ফটোতে আপনার বডির অংশটা। তারপর উপরের তীরচিহ্নে চাপলেই আপনার ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ হয়ে যাবে। তারপরেও যদি কিছু অংশে ঘাটতি থাকে। তাহলে ব্রাশ দিয়ে ইরেজ এবং পেইন্টের মাধ্যমে তা রিকোভার করতে পারেন।
৬. টেক্সট : এর মাধ্যমে আপনি ছবিতে যেকোনো লেখা লিখে বসাতে পারবেন।
৭. এড ফটো : এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ছবি বসাতে পারবেন আপনার ছবির উপরে। বিভিন্ন প্রিসেট বা ম্যাটেরিয়াল ও বসাতে পারেন এই টুলসের মাধ্যমে।
৮. ফিট : এর মাধ্যমে ছবির চারপাশে বর্ডার লাগিয়ে সে বর্ডারের রঙ নির্ধারন করতে পারবেন। এমনকি বর্ডার আকারে গ্যালারির বিভিন্ন ছবিও ব্যাবহার করতে পারবেন।
৯. মাক্স : এর মাধমে ছবিতে আলাদা আলাদা ফিল্টার এবং প্রিসেট ব্যাবহার করতে পারবেন। যেমন: ডাস্ট,লাইট,বোকেহ,টেক্সচার, আর্টিস্টিক ইত্যাদি।
১০. ড্র : এর মাধ্যমে আপনি ফটোর উপরে আকিবুকি করতে পারবেন।
১১. ফ্রেম : এর মাধ্যমে ফটোতে আকর্ষনীয় ফ্রেম ব্যাবহার করতে পারবেন।
১২. কলআউট : এর মাধ্যমে ছবিতে ডায়লগিং টেক্সট বসাতে পারবেন বা কমিক্স সেয়িং হিসেবেও ব্যাবহার করতে পারবেন এই টুলস।
আশাকরি সবাই এই টুলসগুলোর ব্যাবহার বুঝতে পেরেছেন। কারো কোনো সমস্যা হলে তা কমেন্ট করবেন আমি চেষ্টা করবো তা সমাধানের। সবাই বাসায় থাকুন,সুস্থ থাকুন এবং সচেতন থাকুন।
ধন্যবাদ!