পৃথিবীর সবচেয়ে দামি জিনিস যার দাম শুনলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে বিশ্বের সবচেয়ে দামি জিনিস কী। ৯০% মানুষ বলবে ‍হীরা ‍‍হলো‍ বিশ্বের সবচেয়ে দামি জিনিস। কিন্তু আজ আমি আপনাদের এই ধারনা বদলে দিতে চলেছি। করন আজকে আমি আপনাদের যেসকল বস্তুর ব্যাপারে বলতে চলেছি তার দাম আপনি কখনো কল্পনাও করতে পারেননি। ঔষধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদার্থ যা আমাদের এই বিশ্বকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারে।

 

১. প্লুটোনিয়াম

সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক সংখ্যা বিশিষ্ট এই প্লুটোনিয়াম এর এক গ্রামের দাম ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। এটা খুবই তীব্র রেডিও এক্টিভ পদার্থ। বিভিন্ন ধরনের পারমাণবিক বোমা বানাতে এটি ব্যাবহার করা হয়। এই পদার্থ সামান্য পরিমাণে ব্যাবহার করে পুরো শহরের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। কিন্তু দূর্ভাগ্যবসত এই পদার্থ এখনো পর্যন্ত অনেক সামান্য পরিমাণে খুজেপাওয়া গেছে। তবে যে সকল জায়গায় ইলেক্ট্রোনিয়াম পাওয়া যায় সেই সকল জায়গায় প্লুটোনিয়াম খুঁজে পাওয়ার সম্ভবনা আনেক বেশি। আপনি জদি এটা কিনতে চান তাহলে একটা জিনিস মাথায় রাখবেন আপনি এটা বাড়িতে আনার সাথে সাথে আপনার বাড়িতে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দারা নজরদারিতে রাখবে।‌ কারন এই পদার্থ শুধুমাত্র ল্যাবে রাখা যায়। এই পদার্থের কছে গেলেই মানুষের ডিএনএ পরিবর্তন হতে শুরু করে।

 

২. সলিরীস

এটা এমন একটা ওষুধ যার এক গ্রামের দাম ২০ হাদার টাকা। এই ওষুধটি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ওষুধ। এর কারন একটাই। এই ওষুধটি দুটি খুব মারাত্মক রোগের চিকিৎসা করা হয়। তারমধ্যে একটি অসুখ হলো পারক্সিসমাল নোকারলাল হিমোগ্লোবিনুরিয়া। আরেকটি হলো এটিপিকাল ইউরেমিক সিন্ড্রোম। এই রোগ এতটাই খারাপ যে মানুষের মস্তিষ্ক নষ্ট করে দেয়। এই রোগের এক বছরের চিকিৎসা করতে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা খরচ হয়।

 

৩. টেফিট

এই পদার্থটি দেখতে হীরার মতোই সুন্দর। কিন্তু এ পদার্থটি হীরার থেকেও অনেক দুর্লভ। এই পদার্থটি অনেক দামি। এই পদার্থের এক গ্রামের দাম প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা। এই পদার্থটি আলাদা আলাদা রঙের পাওয়া যায়।আলাদা আলাদা রঙের বাবাই পদার্থ পুরো পৃথিবীতে তার আলাদা একটু পরিচিতি বানিয়ে ফেলেছে। এই পদ্ধতিটি শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কায় পাওয়া যায়। শুধুমাত্র সৌখিন মানুষেরা এসব পদার্থ রাখার শখ থাকতে পারে।

 

আমাদের আজকের আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে নিজের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং আর্টিকেলটি কেমন লাগলো এবং এর যদি দ্বিতীয় পর্ব চান তাহলে তার জন্য কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। যদি আপনাদের উৎসাহ পায় তাহলে শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে চলে আসবো।

Related Posts