আজ থেকে প্রায় সাড়ে 400 কোটি বছর আগে চাঁদ সৃষ্টি হয়। চাঁদ হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন যদি চাঁদ না থাকে তাহলে পৃথিবীর কি অবস্থা হবে? যদি চাঁদ না থাকে তাহলে পৃথিবীতে ধীরে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে। কিভাবে ধ্বংস হবে তা আমি আপনাদের জানিয়ে দিব। চাঁদ নিয়ে পৃথিবীতে এই পর্যন্ত যতগুলো হাইপোথেসিস হয়েছে তাতেই প্রমাণিত হয় যে চাঁদ না থাকলে পৃথিবী আসলেই ধ্বংস হয়ে যাবে। মোটামুটি আমাদের পৃথিবীর সাত ভাগ পানি এবং তিন ভাগ স্থল এই সাত ভাগ পানি কেউ যদি কন্ট্রোল করে থাকে তাহলে সেটা হচ্ছে আমাদের চাঁদ। চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে সমুদ্রের পানিকে এমন ভাবে আকর্ষণ করে যে জোয়ার ভাটার সৃষ্টি হয়। আমরা মাঝে মাঝে সমুদ্রের যে বিশাল ঢেউ গুলো দেখতে পারি তা দেখে আমরা ভাবি যে এগুলো বাতাসের কারণে হচ্ছে আসলে এগুলো হচ্ছে চাঁদের আকর্ষণের কারণে। আসলেই ভাবতে অবাক লাগে যে চাঁদ আমাদের পৃথিবী থেকে তিন লক্ষ 84 হাজার কিলোমিটার দূরে তার টানের কারণেই এত বড় জোয়ার ভাটার সৃষ্টি হচ্ছে।এই যে চাঁদ সমুদ্রের পানিকে মহাকর্ষ বলের প্রভাবে নিজের দিকে টানে ঠিক তেমনি ভাবে সূর্য কিন্তু এই পানিকে নিজের দিকে টানে। কিন্তু পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব অনেক বেশি হয় এইজন্য ঠিক তা চাঁদের মত এত বেশি টানতে পারে না। তার মানে কিন্তু চাঁদ এবং সূর্য দুজনেই পৃথিবীর এত ভাগ পানি কে নিজের দিকে টানছে। এখন যদি আমরা একটা হাইপোথিসিসের কথা বলি, ধরেন যে কোন একটা কারণে চাঁদ ধ্বংস হয়ে গেল তাহলে কি পৃথিবীর ঠিক আগের মতো অবস্থানেই থাকবে? তাহলে এক্ষেত্রে পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝখানে চাঁদ থাকছে না তারমানে পৃথিবীর সমস্ত কন্ট্রোল সূর্যের উপর চলে যাচ্ছে। তাহলে তখন যেটা হবে সম্ভবত তাকে বলে কেয়ামত। মহাকর্ষ বলের টান ঠিক যখনি সূর্যর হাতে চলে যাবে ঠিক তখনই সমুদ্র স্তরে জোয়ারের টানে বিরাট বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হবে। এটা এতো বড় হবে যে ঠিক তা কল্পনার বাইরে। এই তীব্র ঢেউ তখন সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল সমূহকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। এর পর মাত্র 5 মিনিটের মধ্যেই সারা পৃথিবীর সমুদ্রের মধ্যে যে সকল আইল্যান্ড আছে তা নিমিষেই সমুদ্রের তলে চলে যাবে। এরকম অবস্থা হয়তো ঠিক এক ঘণ্টা যাবৎ চলতে পারে তারপর ঠিক যখন সকল সমুদ্রের পানির স্তর একটা ব্যালেন্স এর ভিতর চলে আসবে তখন হয়তো তা থেমে যাবে। কিন্তু এটাতো গেল মাত্র এক ঘণ্টার ব্যাপার 24 ঘন্টা পর তাহলে কি হবে? এই যে আমাদের পৃথিবী ঠিক সাড়ে 66 ডিগ্রী কোণে হেলে আছে তা কিন্তু এই চাদের জন্য। যখন চাঁদ থাকছে না তখন কিন্তু পৃথিবী ঠিক এভাবে আর হেলে থাকবে না। যখনই এভাবে আর হেলে থাকবে না তখনই পৃথিবীর মাঝে একটা প্রবল ঝাকুনির সৃষ্টি হবে আর ঠিক তখনি সূর্যের প্রভাবে পৃথিবীতে প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় ঋতু পরিবর্তন দেখা যাবে। তারমানে যে অঞ্চলে তুষারপাত হতো সে অঞ্চলে হঠাৎ করেই প্রচন্ড গরমের দেখা দেবে। আবার যে অঞ্চলে ঠিক গরমের জন্য মানুষ হাঁসফাঁস করত সেখানে হঠাৎ করেই তুষারপাত সৃষ্টি হতে পারে। আবার আমাদের পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে যে বরফ আছে যেখানে সারা বছর তুষারপাত হয় এবং প্রচন্ড ঠান্ডা থাকে সেখানে হঠাৎ করেই অনেক বেশী গরম হয়ে যাবে যার কারণে এই বরফ গুলো গলতে থাকবে আর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তেই থাকবে। আবার এই যে পৃথিবীতে প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে তার জন্য ভুমিকম্প হতে পারে।যেখানে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল সেখানে হঠাৎ করেই ০ ডিগ্রি হয়ে যেতে পারে।যার ফলে আমাদের সকল জমানো পানি বরফ হয়ে যাবে। আবার এই ঘন ঘন ঋতু পরিবর্তনের জন্য পৃথিবীতে আর কোন ফসল ফলানো সম্ভব হবে না। মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় সমস্ত পৃথিবী খাদ্য শূন্য হয়ে পড়বে। খাবারের জন্য সমস্ত মানুষ হাহাকার করতে থাকবে কিন্তু চাইলেও খাবারের উৎপাদন করতে পারবে না। তারপর আবার চাঁদ না থাকার কারণে প্রতিটা দিন 24 ঘন্টায় না হয়ে মাত্র 4 ঘন্টা হয়ে যাবে। এভাবেই পৃথিবীতে আস্তে আস্তে মানুষ কমতে থাকবে। কারণ পৃথিবী তখন ঠিক বসবাস উপযোগী থাকবে না আর খুব সহজেই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।
পৃথিবীর সাথে চাঁদ এবং সুর্যের সম্পর্কের বিস্ময়কর কিছু তথ্য। জানলে আপনি আঁতকে উঠবেন।
📢 Promoted post: বাংলায় আর্টিকেল লেখালেখি করে ইনকাম করতে চান?
wow
wow
nc
Nice
সুন্দর পোস্ট
No. This is because of Space Time Curve!
Wow
Nice post
good
nice
wow
Nice, my post
Nice
Good post
Ok