প্যাসিভ ইনকাম করার সেরা ৪ টি মাধ্যম।

প্যাসিভ ইনকাম করার সেরা ৪ টি মাধ্যম। আসসালামুয়ালাইকুম সবাইকে, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

আজকে আমি আপনাদের সাথে যেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো সেটা হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম।  প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে জানার আগে আমাদের প্রথমে জানতে হবে যে, ইনকাম সাধারণত কয় ধরনের হয়। সাধারণত ইনকাম ২ ধরনের হয়ে থাকেঃ 

১। একটিভ ইনকাম

২। প্যাসিভ ইনকাম

একটিভ ইনকাম কি ?

সহজভাবে বলতে গেলে, আপনি যতক্ষণ কাজ করবেন ততক্ষণ আপনার ইনকাম হবে। আপনি কাজ করবেন না, ইনকাম বন্ধ হয়ে যাবে।

যেমনঃ আপনি যদি কোথাও জব করেন, সেখানে আপনি যতক্ষণ কাজ করবেন আপনাকে কোম্পানি টাকা দিবে কিন্তু যদি আপনি 

অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন আপনাকে কোম্পানি টাকা দিবে না। বরং আপনার জবটাই চলে যেতে পারে ।

প্যাসিভ ইনকাম কি ?

প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে একটিভ ইনকাম এর ঠিক বিপরীত। অর্থাৎ 

প্যাসিভ ইনকাম এর মাধ্যমে আপনি এমন একটি সিস্টেম তৈরি করবেন 

যেখানে আপনাকে প্রথম অবস্থায়ে কিছু কাজ করতে হবে কিন্তু তারপর, 

থেকে আপনি কাজ না করলেও আপনার টাকা ইনকাম হতে থাকবে।

এমনকি আপনি যখন ঘুমিয়ে থাকবেন তখনও আপনার ইনকাম হবে।

এবার চলুন, প্যাসিভ ওয়েতে ইনকাম করার সেরা ৪ টি মাধ্যম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।

১। ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম 

সহজভাবে বলতে গেলে ডিজিটাল প্রোডাক্ট হচ্ছে এমন সব 

প্রোডাক্ট বা পণ্য যেইটা একবার তৈরি করে বার বার বিক্রি করা যায়।

যেকোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হতে পারলেই প্রোডাক্ট তৈরির মাধ্যমে 

ইনকাম করা সম্ভব। 

যেমনঃ ভিডিও কোর্স,  অডিওবুক,  ই-বুক,  ওয়েবসাইট টেম্পলেট, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ  ইত্যাদি।

২। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে ইনকাম

এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কমিশন ভিত্তিক একটি সিস্টেম। যার মাধ্যমে কোম্পানি আপনাকে প্রোডাক্ট সেল করে দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন আপনাকে দিবে।

এখানে আপনাকে কোম্পানি বেতন দিয়ে রাখবে না, আপনি তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারলে আপনাকে তারা কমিশন দিবে।

কিছু জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস সমুহ 

ইত্যাদি।

৩। নিজের ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার মাধ্যমে ইনকাম  

ইউটিউব একটি জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম। যার মাধ্যমে আপনি চ্যানেল ক্রিয়েট করে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউবে সাধারণত গুগল এড এর মাধ্যমে এবং বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সারশিপ এর মাধ্যমে ইনকাম হয়ে থাকে। এছাড়াও 

আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর সম্পর্কে তথ্য দেয়ার মাধ্যমে এফিলিয়েট 

লিঙ্ক দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। 

৪। নিজের ব্লগ ওয়েবসাইট শুরু করার মাধ্যমে ইনকাম 

একটা ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে ওয়েবসাইট তৈরি করে লেখালিখি করার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। আপনি ওয়েবসাইটে যত বেশি ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন তত ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।  এটাও গুগল অ্যাড এর মাধ্যমে এবং প্রোডাক্ট এর এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে ইনকাম হয়ে থাকে। 

সব শেষে এইটুকু বলতে পারি যে , উপরের যে মাধ্যম গুলো সম্পর্কে যেই আলোচনা করলাম সেই গুলো যদি কেউ মন থেকে ভালোবেসে প্যাশন নিয়ে কাজ করতে থাকে তাহলে ইনশাআল্লাহ্‌ তারা এই ফিল্ডে সফল হতে পারবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

 

Related Posts