ফিচার ফোন ও হয়ে যাবে অস্থির যখন সাথে থাকবে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ২১০

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। আমরা সবাই আমাদের জীবনের বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করার জন্য আমাদের হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ব্যবহার করে থাকি। দেখতে গেলে এন্ড্রয়েড ফোনের যাত্রা শুরু হয়েছে প্রায় ২০ বছর যাবৎ। এই 20 বছরে অ্যান্ড্রয়েড ফোন তাদের মধ্যে এনেছে ব্যাপক পরিবর্তন। কিন্তু এই পরিবর্তন একদিনে আসা সম্ভব হয়নি। কারণ পূর্বে আমরা সবাই ফিচার ফোন ব্যবহার করে এসেছি। ফিচার ফোন বলতে আমরা বাটন মোবাইল কি বুঝে থাকি। অ্যান্ড্রয়েড আসার পর ফিচার ফোন মার্কেটে বেশ খানিকটা ভাটা পড়েছে।

তবে আমাদের দেশ সহ বেশ কয়েকটি দেশে মানুষ এখনও ফিচার ফোন ব্যবহার করে। কিন্তু এন্ড্রয়েড ফোনের সুবিধার সাথে একটি ফিচার ফোনের সুবিধার কোন তুলনাই হতে পারেনা। তাই বলে কি ফিচার ফোনে নতুন কিছু দেওয়া সম্ভব নয়। অবশ্যই সম্ভব। ফিচার ফোনের গ্রহনযোগ্যতা আরো বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ফিচার ফোন গুলোকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বানানোর চেষ্টা করে চলেছে। আর সেই ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ফোনের চিপসেট। আর যখন ফিচার ফোনে কোয়ালকম এর চিপসেট থাকে তখন তো আর কোন কথাই নেই।

অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্য। এই চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সুবিধা ফিচার ফোনে ব্যবহার করার জন্য কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন নিয়ে এসেছে তাদের এন্ট্রি লেভেল চিপসেট স্নাপড্রাগণ ২১০।

কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ২১০:

চিপসেটটিকে আপনারা স্ন্যাপড্রাগন এর এন্ট্রি লেভেল চিপসেট হিসেবে গণ্য করতে পারেন। আমরা জানি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্নাপড্রাগণ তাদের কোয়ালিটি এবং পারফরম্যান্সের জন্য আমাদের কাছে অতি জনপ্রিয়। সাধারণত স্নাপড্রাগণ মিড রেঞ্জ এবং ফ্লাগশিপ ফোন গুলোতে ব্যবহার করার জন্য তাদের চিপসেট গুলো তৈরি করে থাকে। কিন্তু এন্ট্রি লেভেলের জন্য এই প্রথম স্ন্যাপড্রাগন নিয়ে আসে স্নাপড্রাগণ ২১০। এটি ২০১৪ সালে বাজারে উন্মুক্ত করা হলেও এর ব্যবহার তেমন একটা আমাদের চোখে আসেনি। এন্ট্রি লেভেলের জন্য তৈরি করা হয় এই চিপসেটটি। কিন্তু আমাদের অবাক করে দেয়া ঘটনা ঘটে যখন ফিচার ফোনে ব্যবহার করা হয় এই চিপসেটটি। একটি ফিচার ফোন কে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এই চিপসেটের বিকল্প কোন চিপসেট বর্তমানে বাজারে নেই। এই চিপসেটের আকর্ষণীয়তার কারণগুলো হলো:

১. এটি একটি কোয়ার্ড-কোর প্রসেসর।
২.এর সর্বোচ্চ ক্লক স্পিড ১.১ গিগাহার্টজ।
৩.গ্রাফিক্স ইউনিট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এড্রেনো ৩০৪।
৪.ডিসপ্লে হিসেবে থাকছে 720p ডিসপ্লে।
৫.৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সাপোর্ট সিস্টেম।
৬.1080p পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ডিং।
৭.৪জি(LTE) সাপোর্ট সিস্টেম।
৮. কুইক চার্জিং ২.০।

আর এই সুবিধাগুলো যখন পেয়ে যাবেন আপনার ফিচার ফোনটিতে তখন তো আর কোন কথাই নেই। বর্তমানে আমরা যারা ফিচার ফোন কেনার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করি তাদের জন্য কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ২১০ একটি আকর্ষণীয় চিপসেট।

Related Posts

41 Comments

মন্তব্য করুন