বই পড়েই শেখা যাবে হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার কৌশল!
হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন । আমিও বেশ ভালো আছি । আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই ব্যক্ত করি সব সময়। বন্ধুরা, প্রতিবারের মতো আজকেও আমি নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকের এ আর্টিকেলে আমি সম্পূর্ন নতুন একটি বিষয় বলব যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ যারা নিয়মিত আমার আর্টিকেল গুলো নিয়মিত পড়ে থাকে তাদের কিছুটা হলেও এই আর্টিকেলটি পড়ে নিজেদের উপকারে আসবে।
হতাশা! হতাশা! হতাশা! পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যে এই রোগে কখনো আক্রান্ত হয় নি। আমার নিজেরি হতাশা আসে, তখন আমিও বেশ হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু তখনই মনে হয় হতাশা আমাকে পেয়ে বসার আগেই আমি হতাশাকে কোনো একটা কিছু করে হারিয়ে দেব। আর এই চিন্তাটা মাথার মাঝে তাকার কারণে হতাশা জিনিসটা আর জেঁকে বসতে পারে না। হতাশ হয়ে বসলে আমও একটা কাজ করে থাকি, যতক্ষণ না এই হতাশা ব্যাটাটা হার না মানে! আজকে এই কৌশলটিই আমি আপনাদের বলব কেননা আমি জানি যে, হাতাশা খুব নাছোরবান্দা। খুব সহজে এটি আমাদের ছেড়ে যাবে না। যাই হোক, কিছু কৌশলে এটি আমাদের তাড়াতে হবে।
বন্ধুরা বই কিন্তু আমরা কম বেশি সকলেই পড়ি। কেউ পাঠ্যবই, কেউ পাঠ্যবইয়ের বাইরে গল্প কি উপন্যাসের বই। যাই হোক সব ধরনের বই-ই কিন্তু আমাদের কল্পনাশক্তি, সৃজনশীলতা ইত্যাদি গুণাবলির বিকাশ ঘটাতে পারে। কিন্তু যদি বলা হয়, বই পড়েই বদলে ফেলা যাবে নিজেকে। তাহলে হয়তো আপনি বিশ্বাস করবেন কিন্তু বই পড়েই শেখা যাবে হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার কৌশল! এটা কি আপনি বিশ্বাস করবেন। আজকের এ আর্টিকেলে আমি প্রথমবারের মতো বাস্তব জীবনে এমনই কিছু অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু কৌশল শেয়ার করব যাতে আপনি সহজেই শিখে যাবেন হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার কৌশল।
বন্ধুরা বর্তমান এ সময়টা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে হাজারো ফিকশনের ভীড়ে আজকাল কিন্তু বই পড়ে যে হাতাশাকে দূর করা যায়, আমরা এটা ভুলতেই বসেছি। বাস্তবিক-ই বই পড়ে কিন্তু হতাশা দূরে রাখা যায়। তবে এর জন্য আমাদের বই পড়তে হবে। কিন্তু কিভাবে এটা হবে? তাহলে বলতে হয় যে, যখন আমরা মানসিকভাবে হতাশায় পড়ি তখন সবকিছুকে কঠিন না মনে করে সব কিছুকে সহজভাবে চিন্তা করতে হবে। তাহলেই হতাশা ছেড়ে ভালো কিছু করার আইডিয়াটা আসবে। আর এই সময়টাতে যদি আমরা বই পড়ার কথা ভাবি এবং আমাদের প্রিয় লেখকের সম্পূর্ণ আগে না পড়া অর্থাৎ নতুন একটি উপন্যাস বা গল্পের বই পড়ি তাহলে কিন্তু খুব সহজেই আমরা সাময়িকভাবে তখন হতাশাকে দূর করতে পারি। এবং শেষে দারুন একটা সময় উপভোগ করতে পারি যখন আমরা হতাশাকে দূর করতে পারব।
আর এভাবে প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের লাইফস্টাইলেও বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারি। কেননা শেখার কোনো নির্দিষ্ট সময়, স্থান কিংবা সীমা-পরিসীমা নেই। আমরা প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানছি এবং শিখছি। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষাও সমভাবে প্রয়োজনীয়। আর তাই, সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করতে আমাদের বেশকিছু কৌশল রপ্ত করতে হবে। যেমন– হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার আজকের এই সম্পূর্ণ ভিন্ন কিন্তু দারুন এই কৌশলটি। আর এ কৌশল বা আইডিয়াগুলোই আমাদের বাস্তব জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সহায়তা করবে।
তো বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। আশা করি আর্টিকেলটি সবার উপকারে আসবে। সামনে নতুন একটি আর্টিকেলে আবার আপনাদের সাথে হাজির হব। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।