বদলে যাচ্ছে ধরণী

মানুষ হয়ে যাচ্ছে স্বার্থপর। বিশেষ মানুষদের পাশেও দাড়াতে চায় না কেউ। সবাই শুধু নিজের দিকটাই দেখে। অন্যের উপকার করে কী হবে? তাদের মনে এই প্রশ্নের হাতছানি বরাবরইন। সব মানুষের উপকার না করতে চাইলেও সুবিধা বঞ্চিত আর প্রতিবন্ধীদের জন্য করুন, মনে শান্তি অনুভব করবেন।লাভের জন্য উপকার করার কথা চিন্তা করলে সেই উপকারের দরকার নেই।
আয়তনে ক্ষুদ্র হলেও জনসমষ্টিতে খুব এগিয়ে।এটা কী কোনো উন্নত রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য? না আমি বলছিনা আমাদের দেশের সব মানুষ আমাদের জন্য বোঝা! তবে এটা বলতেই পারি কিছু বেকার সমষ্টি আমাদের জন্য বড়ই বোঝা।

আমরা অনেকে বলি প্রতিবন্ধী। কেউ তাদের মনে আঘাত দিতে চায় না বলে বিশেষ মানুষ বলে ডাকে।কিন্তু তাদের জন্য আমাদের বিশেষ ব্যবস্থাটা কোথায়? শুধু খাতায় কলমে তাদের অধিকার,স্বাধীনতার কথা বলা থাকলেই হবে? এখানেই কী সব শেষ? তাদের অধিকার তারা ফলাতে পারবে না? স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে না?

বাসে বা বিভিন্ন যানবাহনে সুন্দর ভাবে সাদা কিংবা কালো কালী দ্বারা লিখা থাকে “প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত জায়গা” কিন্তু আমরা সক্ষম মানুষরাই ঐ জায়গাগুলো বেশি পছন্দ করি! কেনো? আমরা কী অক্ষম?

এখন ডিজিটাল যুগ! প্রতিবন্ধীদের জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি বের হয়েছে। রাস্তায় তাদের চলাফেরা করার জন্য বিশেষ ধরনের গাড়ি বা হুইল চেয়ার তৈরী করে দিচ্ছে। কিন্তু এগুলো চালনার জন্য তো বিশেষ রাস্তারও প্রয়োজন! তাই নয় কী? কারণ তারা তো আর প্রফেশনাল ড্রাইভার না!

আমরা কী বোধে নিজেদের আধুনিক দাবি করি? এখনো তো কুসংস্কার নিয়েই পরে আছি।একটা প্রতিবন্ধী ছেলে বা মেয়ে বাইরে দের হতে চায়।সূর্যের,পৃথিবীর স্বাদ গ্রহন করতে চায়। তখন পরিবার থেকে বাধা
আসে “বাইরে গেলে লোকে কী বলবে?”
যতদিন এসব কথা বাধা বন্ধ না হবে ততদিন তারা স্বাধীন না। আমরা তাদের স্বাধীন বলতে পারি না। তারা সব কিছু থেকেই বঞ্চিত।

শুরুতেই বলেছিলাম বেকার রা বোঝা!!
তাদের থেকে হয়তো প্রশ্ন আশতে পারে এত লেখাপড়া করেও যে দেশে চাকরি পাওয়া দুষ্কর। সে দেশে বেকার বলতে কিছু আছে কি? এটাকেও একধরণের কাজই বলতে হবে।
কথায় যুক্তি আছে বইকি এটা এখন সত্যি ঘটনা। জনসমষ্টি বেশি থাকায় কর্ম সংস্থান হয়ও না। আর যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাই নড়বড়ে,সেখানে কর্মসংস্থান হবে কীভাবে?
বলতে লজ্জা লাগে, আমাদের দেশের মাধ্যমিক পাশ করা আর পাশের দেশ ভারতে তা ৭-৮ শ্রেণি পাশ করার সমান।
কেনো এমন? কারণ টা হলো বড় বড় ব্যক্তি, কর্মকর্তাদের মাতাব্বরির কারণে।
তারা দুইএকদিন পর পর মনগড়া নিয়ম তৈরী করে যা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত করছে।
আর তার কারণেই বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Related Posts