বন্ধুত্বের আঙিনার সেরা সময়ের কিছু কথা

ফজরেরএই দিনটা একটা বিশেষ দিন।😇😇😇 আর দশটা দিনের মতো অসাধারণ না। আসলে আজ আমি ঈদের দিনের কথা লিখছি। ঈদ বলতে কোরবানির ঈদের কথা বোঝাচ্ছি স্বাভাবিকভাবেই দিনটি আনন্দের ছিল তবে এ দিনটি আমি যে স্পেশাল আনন্দটা পেয়েছি তা মূলত বিকেলের শেষ বেলায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটার এবং পরবর্তী সন্ধ্যার ঘটনার জন্য। আর পাঁচটা ঈদের দিনের মতোই এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পরে কবর জিয়ারত করতে গেলাম আসলাম হাওয়া গোসল ইত্যাদি করলাম। ঈদগাহ মাঠে গিয়ে ঈদের নামাজ পড়ে আসলাম। তারপর এল পশু কুরবানী দেওয়া পালা। এদিন প্রায় প্রত্যেক মুসলমান ছেলেই গরুর মাংস কাটে কিন্তু আমি কাটেনি যদি হাত কেটে ফেলি এই ভয়ে কারণ এবার আমার এইচএসসি পরীক্ষা। মাংস কাটার কাজে পরিবারের পক্ষ থেকে ভাইয়া একাই বাসায় সমস্ত রান্নাবান্নার কাজ আম্মু একাই করে নিয়েছে অবশ্য আমি যে একেবারে কিছু না করে চুপ করে বসে ছিলাম তা কিন্তু নয়। একজন আদর্শ অলস ছেলের মত আমি দুপুরবেলা ঘুমানো কাজটা অত্যন্ত নিপুণভাবে শেষ করেছি। ঘুম থেকে উঠে খাওয়া করে খুব কাছের একজন নিকটস্থ বন্ধুকে দিলাম ফোন। সে বলল যে ও নাকি ও নানি বাড়ি গিয়েছিল আর বাসায় তারা রান্না করেনি। আমি অনেক অনুরোধ করার পরও সে আমাদের বাসায় আসলো না আসতে পুরোপুরি নারাজ। কিন্তু আমিতো সারাদিন কোথাও যাইনি একটু তো আমাকে ঘুরতেই হয়। ইতিমধ্যে আম্মু আমাকে বলল মেঝো আব্বারে বাসায় একটা মাংসের প্যাকেট দিয়ে আসতে। আসরের নামাজ পড়ে আমি মাংসের প্যাকেট নিয়ে গেলাম বড় আব্বারে বাসায়। আমার মেজ আব্বা দের বাড়ি রামনাথ। সেখানে হালকা খাওয়া করলাম। প্রায় 45 মিনিট সেখানে অবস্থানের পর তাদের বাসা থেকে বের হলাম।তখন সময়টা বিকেলে সেই ভাগ আর আধা ঘন্টার মধ্যেই সূর্যাস্ত হবে এমন অবস্থা। আমি বড় আব্বা বাসা থেকে বের হওয়ার প্রায় দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই পুরো আকাশটা কালো মেঘে ছেয়ে গেল। সুনিশ্চিত বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখে আমি আশ্রয় নিলাম বাজারের দোকানের এক বারান্দায়। সাইকেলটা স্ট্যান্ড করে বসলাম বারান্দায় রাখা একটা বেঞ্চিতে।তারপরে দোকানের দিকে তাকাতেই অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে চলে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। নিজের চোখ দুটোকে যেন কিছুক্ষনের জন্য বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। নিজের শরীরে একটু চিমটি কাটলাম চেক করে নিলাম । না স্বপ্ন দেখছি না যা দেখছি তা সত্যিই আসলে দোকানের ভেতরে যা দেখছিলাম তা হলো একটা মেয়ে মেয়েটা পেছনে ঘুরে আছে তাই ঠিকমতো চেনা যাচ্ছে না কিন্তু পেছন থেকে যতটা দেখছি বোরখা আর পর্দার স্টাইলে দেখা 100% শিউর হয়ে গেছি যে এটা আর কেউ না এটা হল সেই মানবী যার প্রেমে ক্যান্সারে আমি নিজেই আক্রান্ত হল সেই মেয়ে যে আমার কম্পোজারের রাজকুমারী।আমার লিখা এ প্রেক্ষাপট অনেকটা বাকি অংশ পরবর্তী পোষ্টে লিখব। আমি এত কষ্ট করে লিখলাম আর আপনিও আপনার মূল্যবান সময়টুকু দিয়ে এতক্ষণ যেহেতু ধর্য নিয়ে পড়ে আসলেন প্লিজ একটা কমেন্ট করে যাবেন তাহলে আমার লিখা এবং আপনার পড়ার সার্থকতা পূর্ণ হবে। বর্তমান সময়ে জরুরী প্রযোজন ছাড়া বাইরে যাবেন না। নিজে সুস্থ থাকুন আপনার পরিবারকে সুস্থ রাখুন।

Related Posts

22 Comments

মন্তব্য করুন